- তা বাছা এখন কী করছ?
- এই পড়াশোনাই করছি কাকু।
- এখনও?
- হুম।
- এতদিন তো তোমার হান্ড্রেড পাশ হয়ে যাওয়ার কথা!
- এখনও অনেক বাকি, পড়াশোনার কী কোনও শেষ আছে?
- তা নেই, কিন্তু বয়স তো অনেক হল, এবার বাবার চাষবাসে মন দাও।
- হুম তাই ভাবছি।
- আচ্ছা! তোমার এই সাইকেলটা অনেক পুরনো তাই না! তোমার বাবাকেও চালাতে দেখেছি।
- হুম।
- তুমি এক কাজ কর বাপু, সাইকেলটা নিয়ে ছাগলের ব্যবসায় মন দাও, তাতে অনেক লাভ।
সাইকেলের সামনে একটা বস্তা বাঁধবে, তারপর পাড়াই পাড়াই চিল্লাবে, ছাগল আছে বিক্রি?
- তাই করব ভাবছি কাকু, বিশ্বাস করুন অনেকবার ভেবেছি।
- আচ্ছা, ছাগল থাক। তোমায় একটা বিনা পুঁজির ব্যবসার সন্ধান দিই।
- দিন না প্লিজ।
- তুমি বিড়ি বাঁধা শেখ, অমুকের ছেলে তমুক সেন হ্যান বয়স থেকে বিড়ি বেঁধে ত্যানত্যান সব কিছু করল, কাল আবার মোটরবাইক কিনে হাটুর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করে এনেছে, কী ফুটফুটে মুখ! ঠিক যেন সরস্বতী!
- আচ্ছা কাকু, মাথাই থাকল।
- শুধু মাথাই নিলে হবেনা বাপু, কাজে করে দেখাতে হবে।
- কাকু, আমার একটু তাড়া আছে, পরে আবার কথা হবে।
- আচ্ছা, বাবা বলতো আমার ছেলেকে বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করব না ইংলিশ মিডিয়ামে?
- দেখুন কাকু, এখানকার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির ইনফ্রস্ট্রাকচার ভাল না, বাবা-মাও পড়াতে পারেন না। স্কুলের শিক্ষকরাও তেমন অভিজ্ঞ নয়। আপনি বরং ওকে বাংলা মাধ্যমেই পড়ান।
- তুমি কী অমুক ঘোষের থেকে বেশি জান? ও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে এমনকি গ্রাজুয়েশনেও তোমার থেকে বেশি পেয়েছে, তোমার বুদ্ধি কোনও প্রকারেই ওর থেকে বেশি হতে পারেনা। ও বললো ইংলিশ আর তুমি বলছো বাংলা!
- কাকু আমার ট্রেন ঢুকে গেছে, পরে কথা বলব।
- দাদা চায়ের টাকাটা....
- ভাই তোকে দিতে হবেনা, আমিই দিয়ে দিচ্ছি। তুই আর কী করিস? আমি চোরাই করা পেট্রোল বেঁচি। যা দু-এক টাকা আয় করিস নিজের পকেটেই রাখ।
- দাদা একটা শান্তিপুর দেবেন....
Sudip Sen
- এই পড়াশোনাই করছি কাকু।
- এখনও?
- হুম।
- এতদিন তো তোমার হান্ড্রেড পাশ হয়ে যাওয়ার কথা!
- এখনও অনেক বাকি, পড়াশোনার কী কোনও শেষ আছে?
- তা নেই, কিন্তু বয়স তো অনেক হল, এবার বাবার চাষবাসে মন দাও।
- হুম তাই ভাবছি।
- আচ্ছা! তোমার এই সাইকেলটা অনেক পুরনো তাই না! তোমার বাবাকেও চালাতে দেখেছি।
- হুম।
- তুমি এক কাজ কর বাপু, সাইকেলটা নিয়ে ছাগলের ব্যবসায় মন দাও, তাতে অনেক লাভ।
সাইকেলের সামনে একটা বস্তা বাঁধবে, তারপর পাড়াই পাড়াই চিল্লাবে, ছাগল আছে বিক্রি?
- তাই করব ভাবছি কাকু, বিশ্বাস করুন অনেকবার ভেবেছি।
- আচ্ছা, ছাগল থাক। তোমায় একটা বিনা পুঁজির ব্যবসার সন্ধান দিই।
- দিন না প্লিজ।
- তুমি বিড়ি বাঁধা শেখ, অমুকের ছেলে তমুক সেন হ্যান বয়স থেকে বিড়ি বেঁধে ত্যানত্যান সব কিছু করল, কাল আবার মোটরবাইক কিনে হাটুর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করে এনেছে, কী ফুটফুটে মুখ! ঠিক যেন সরস্বতী!
- আচ্ছা কাকু, মাথাই থাকল।
- শুধু মাথাই নিলে হবেনা বাপু, কাজে করে দেখাতে হবে।
- কাকু, আমার একটু তাড়া আছে, পরে আবার কথা হবে।
- আচ্ছা, বাবা বলতো আমার ছেলেকে বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করব না ইংলিশ মিডিয়ামে?
- দেখুন কাকু, এখানকার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির ইনফ্রস্ট্রাকচার ভাল না, বাবা-মাও পড়াতে পারেন না। স্কুলের শিক্ষকরাও তেমন অভিজ্ঞ নয়। আপনি বরং ওকে বাংলা মাধ্যমেই পড়ান।
- তুমি কী অমুক ঘোষের থেকে বেশি জান? ও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে এমনকি গ্রাজুয়েশনেও তোমার থেকে বেশি পেয়েছে, তোমার বুদ্ধি কোনও প্রকারেই ওর থেকে বেশি হতে পারেনা। ও বললো ইংলিশ আর তুমি বলছো বাংলা!
- কাকু আমার ট্রেন ঢুকে গেছে, পরে কথা বলব।
- দাদা চায়ের টাকাটা....
- ভাই তোকে দিতে হবেনা, আমিই দিয়ে দিচ্ছি। তুই আর কী করিস? আমি চোরাই করা পেট্রোল বেঁচি। যা দু-এক টাকা আয় করিস নিজের পকেটেই রাখ।
- দাদা একটা শান্তিপুর দেবেন....
Sudip Sen
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন