প্রতাপবাবু অত্যন্ত ভাল ফুটবল কোচ। সাধারণত মাঠে যখন খেলা হয় উনি বাঁশি বাজিয়ে গোটা মাঠ পরিক্রমা করেন। কেউ উনাকে গুরু বলে মানুক ছাই না মানুক, উনি নিশ্চিতভাবে শেখাতে থাকেন। কিভাবে পাশ দিতে হয়, কিভাবে ডস মারতে হয়, কিভাবে পেনাল্টি শট মারতে হয়, এছাড়াও ফ্রীকিক, কর্ণার তোলা এসব তো আছেই। উনাকে মাস শেষের বেতন কেউ দিক আর না দিক, কাঁচাগোল্লা, কলা দিয়ে পাউরুটি আর দুটো ডিমসিদ্ধ রোজ ক্লাসের শেষে দিতেই হবে। উনি পূর্ববঙ্গীয় লোক কিনা! ভীষণ খাওয়ার গলা।
সবে শীত পড়েছে, কালিপূজা উপলক্ষে পাড়াই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতাপ বাবু অত্যন্ত ভাল একজন বক্তা। জানিনা, সেদিন রাত্রে প্রতাপবাবুকে কে কী খাইয়ে দিয়েছে, নেশা যে চরম হয়েছে তা ঢুলুঢুলু লাল চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। হঠাৎ মাইকে অ্যানাউন্স হল 'এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবে বিশিষ্ট ফুটবল কোচ মাননীয় প্রতাপ বসু মহাশয় '।
উনি স্টেজে উঠতেই চারিদিক হাততালির আওয়াজে মুখরিত। সকলেই প্রত্যাশিত এবার কিছু একটা হতে চলেছে.....
প্রতাপ বাবু শুরু করলেন, যেদিন আমি ব্রাজিলের হয়ে আর্জেন্টিনাতে খেলতে যাই, মারাদোনার চোখের জল দেখেছিলাম, ওর পিঠ চাপড়ে বলেছিলাম এই বাঘের বাচ্চার সাথে তুমি পারবেনা মারাদোনা। সেই ম্যাচ মারাদোনা হেরে যায়, আমি মারাদোনা কে পদ্মার ইলিশ মাছভাজা দিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম; ভেঙে পড়না বন্ধু, তুমিও একদিন জিতবে।
চারিদিকে হাততালির আওয়াজ, তারপর আবার শুরু করলেন প্রতাপবাবু....
আমি যদি বেঁচে থাকি এই ফুটবলমাঠে জিনোদিন জিদান কোচ হয়ে আসবে, সাথে আনব বাংলার গোষ্ট পাল কে। আবার হাততালি।
এই মাঠে চালু হবে প্রতাপ প্রিমিয়ার লিগ। মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার, মাঁরিয়া, তেভেজ, কাকা, দাদু, দিদা,ঠাকুমা সকলে খেলতে আসবে। আবার হাততালি। ছচিন ফুটবল খেলবে এই মাঠে। হাততালির আওয়াজে গমগম পরিবেশ। উত্তম কুমার ফুটবল খেলবে এইমাঠে। এবার পুরো হৈহৈ ব্যাপার। বিশ্বগায়ক কিশোর কুমার বলেছিলেন সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। আরও জোরে করতালি। হঠাত প্রতাপবাবু মাইক্রোফোন ছেড়ে মাটিতে পড়ে গেলেন, জানতে পারা গেল শরীরের অত্যাধিক উত্তেজনাহেতু আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। শেষমেশ উনি মারা গেলেন।
সেদিন কে যে কাকে বোকা বানালো আজও বুঝতে পারিনা।
সবে শীত পড়েছে, কালিপূজা উপলক্ষে পাড়াই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতাপ বাবু অত্যন্ত ভাল একজন বক্তা। জানিনা, সেদিন রাত্রে প্রতাপবাবুকে কে কী খাইয়ে দিয়েছে, নেশা যে চরম হয়েছে তা ঢুলুঢুলু লাল চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। হঠাৎ মাইকে অ্যানাউন্স হল 'এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবে বিশিষ্ট ফুটবল কোচ মাননীয় প্রতাপ বসু মহাশয় '।
উনি স্টেজে উঠতেই চারিদিক হাততালির আওয়াজে মুখরিত। সকলেই প্রত্যাশিত এবার কিছু একটা হতে চলেছে.....
প্রতাপ বাবু শুরু করলেন, যেদিন আমি ব্রাজিলের হয়ে আর্জেন্টিনাতে খেলতে যাই, মারাদোনার চোখের জল দেখেছিলাম, ওর পিঠ চাপড়ে বলেছিলাম এই বাঘের বাচ্চার সাথে তুমি পারবেনা মারাদোনা। সেই ম্যাচ মারাদোনা হেরে যায়, আমি মারাদোনা কে পদ্মার ইলিশ মাছভাজা দিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম; ভেঙে পড়না বন্ধু, তুমিও একদিন জিতবে।
চারিদিকে হাততালির আওয়াজ, তারপর আবার শুরু করলেন প্রতাপবাবু....
আমি যদি বেঁচে থাকি এই ফুটবলমাঠে জিনোদিন জিদান কোচ হয়ে আসবে, সাথে আনব বাংলার গোষ্ট পাল কে। আবার হাততালি।
এই মাঠে চালু হবে প্রতাপ প্রিমিয়ার লিগ। মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার, মাঁরিয়া, তেভেজ, কাকা, দাদু, দিদা,ঠাকুমা সকলে খেলতে আসবে। আবার হাততালি। ছচিন ফুটবল খেলবে এই মাঠে। হাততালির আওয়াজে গমগম পরিবেশ। উত্তম কুমার ফুটবল খেলবে এইমাঠে। এবার পুরো হৈহৈ ব্যাপার। বিশ্বগায়ক কিশোর কুমার বলেছিলেন সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। আরও জোরে করতালি। হঠাত প্রতাপবাবু মাইক্রোফোন ছেড়ে মাটিতে পড়ে গেলেন, জানতে পারা গেল শরীরের অত্যাধিক উত্তেজনাহেতু আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। শেষমেশ উনি মারা গেলেন।
সেদিন কে যে কাকে বোকা বানালো আজও বুঝতে পারিনা।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন