অফ টাইমের আর্টিকেল.....

গতকাল রাত্রে ফেসবুক করতে করতে একটা বিষয় নজরে এল... একজন ভদ্রলোক তার স্ত্রীর ওয়ালে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছে... তার স্ত্রী প্রত্যুত্তরে লিখেছে 'থ্যাংক ইউ সো মাচ মাই বিলাভ্ড'...।

হয়তো আমার স্ত্রীর জন্মদিনেও আমি তার ওয়ালে গোটাগোটা অক্ষরে 'শুভ জন্মদিন' লিখতাম যদি আমি বিবাহিত হতাম.... তবু ব্যাপারটা আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়েছে.....

নিজের জন্মদিনটাকে একটা 'স্পেশাল ডে' হিসেবে সেলিব্রেট করার অভ্যাস আমার নেই... তাই একটা সময় চেষ্টা করেছিলাম অন্য কারও জন্মদিনটাকে নিজের মতন করে পালন করতে.... কাউকে স্পেশাল ভাবাতে, তাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে....

আমরা প্রায় প্রত্যেকেই ফেসবুকে জন্মদিনটা উপভোগ করি... সেদিন টাইমলাইন জুড়ে হাজার হাজার উইশ... ইনবক্সে গ্রীটিংস... এমনও অনেকে আছে যাদের সঙ্গে জীবনে কখনও কথা হয়নি... তাদের ম্যাসেজ....  আমার তো বেশ ভাল লাগে....

একটা সময় একজনের বার্থডে কোনদিন তা জানার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলাম.....  সে প্রায় উন্মত্ততার চরম পর্যায়...  প্রফেশনাল হ্যাকার দিয়ে ফেসবুক খুঁজে তার জন্মদিন বের করব এমন মিশন নিয়েছিলাম...  এতকিছুর প্রয়োজন হয়নি, একদিন ফোন করতে সে এমনিই বলে দেয়... ব্যাস! ঘরে টাঙানো ক্যালেন্ডারের একটা বড় অংশ জুড়ে লালকালির দাগ.....  'বি ডে'....।

সেলিব্রেশনের আইডিয়া জোগাড় করতে করতেই বার্থডে চলে এল... খুব সমারোহভাবে যে জন্মদিন পালন করা হল তা কিন্তু নয়... আসলে সেদিন বুঝতে পারলাম আমার মত অনেকেই আছে..... যারা সবকিছুকে স্পেশাল অ্যাডজেক্টিভ দিয়ে জুড়তে চায়না, গিফট ও চায়না.....  হয়তো একটু স্পেস চায়... একটু বেশি সময় চায়।

সত্যি বলছি, কেউ উইশ করলে আমার বেশ ভাল লাগে... অথচ অনেককে দেখেছি এই জন্মদিনটাকে হাইড করে রাখতে... কারণ অনেককিছুই থাকতে পারে... তবে আমার মনে হয় এমন অনেকেই চায় তার জন্মদিনটা সত্যিই কেউ মনে রাখুক.... হঠাত ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখে দু-তিন শব্দের উইশ হয়তো খুবই ......

সব কিছু খুব সহজ হয়ে গিয়েছে তাই না! আমি ভাবছি এই সহজ ব্যাপারগুলো একটু জটিল করা ভাবার....