সময়ের সাথে সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। কিছুকিছু সম্পর্ক মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়.... আবহবিকার, ক্ষয়িভবনের প্রভাবে এবং পারিপার্শ্বিক চাপ ও তাপের ফলে সম্পর্কগুলো খনিজ তেল অথবা কয়লাতে রূপান্তরিত হয়.... শত চেষ্টাতেও সেই কয়লাকে সোনাতে ফিরিয়ে আনা যায়না....।
সেইসব পুরনো মুখ হঠাত মুখোমুখি হলে জিজ্ঞেস করার মত কোনও প্রশ্ন খুঁজে পাওয়া যায়না... হাতের কাছে পরে থাকা হাতের পাঁচ ঘেঁটে ততক্ষণাত একটাই প্রশ্ন মাথাই আসে......
- কাকিমা... ক্যামন আছেন?
গলায়গলায় বন্ধুত্বেরা আজ একাকীত্বে ভোগে... পড়তে যাওয়ার আগে সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সত্যজিতের বাড়িতে একবার ঢুঁ মেরে যাওয়ার অপরিবর্তনীয় নিয়ম, কোনও এক বাজেট অধিবেশনের আগে সংশোধন লাভ করে। এখন আর পিঠে হলুদ রঙের চৌক ব্যাগটা নিতে হয়না.... সত্যজিতের মা বাসের কন্ডাকটর বলেও ডাকেনা....।
এখন আইডেন্টিটি তৈরি করার সময়... ভবিষ্যতে ক্রাইসিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য 'মেকিং মাইসেল্ফ' ইনিশিয়েটিভ....
- 'আর ভাল থাকা যায়!'
উত্তরটাতে চার আনার বিস্ময়, আট আনার হতাশা, তিন আনার ক্লেশ আর বাকি এক আনার নীরব প্রশ্ন.....
সত্যিই তো... কিছুদিন আগেই সত্যজিতের বাবা মারা গিয়েছে... এখন কীভাবে ভাল থাকা যায়!
কাকিমাকে এরকম একটা মর্মান্তিক যন্ত্রণা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নিজেকে ভর্ৎসনা করতে লাগলাম....
এটা সারসংক্ষেপের যুগ... এই কারণেই বোধহয় পরীক্ষাতে প্রবন্ধের পরিবর্তে প্রিসাইস লিখতে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও যদি কোনওদিন প্রবন্ধ লেখার সুযোগ পাই....আর যদি বিষয়বস্তু 'তোমার দেখা সেরা বোকা' হয়... নিজেকে নিয়ে তেত্রিশ পাতার আংশিক রচনা অবশ্যই লিখব সেদিন....
Sudip Sen
11 April 16
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন