নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ আমাকে আর যাই দিক বা না দিক একটা ভাল বন্ধু দিয়েছিল।
কলেজে আমাদের বিশেষ কোনও বান্ধবী ছিল না। থাকবে কীভাবে? ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের টিউশন জোগাড় করতেই অবস্থা খারাপ। তারপর রেজাল্টের চিন্তা তো ছিলোই। সেকেন্ড ইয়ারে পড়তে গেলাম কৃষ্ণনগর, থার্ড ইয়ার চাকদহতে। রেজাল্টের দিন রিভিউ করার জন্য মুখিয়ে থাকতাম, কারণ দেড়শ টাকার জন্য একটা পেপারে তিন-চার নম্বর বাড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম।
তখন থেকেই সায়ন্তন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। প্রায় ওদের বাড়ি থাকতাম, কারণ নবদ্বীপ থেকে চাকদহ বা কৃষ্ণনগর এর বাস অনেক ভোরে ধরতে হত।
সায়ন্তনের মত হেল্পফুল বন্ধু আমি জীবনে অনেক কম পেয়েছি। আমাদের যা কিছুই দেওয়া নেওয়া হত নিঃশর্ত এবং নিঃস্বার্থভাবে।
একদিন স্বরূপগঞ্জ ঘাঁট পাড় হয়ে আমরা কৃষ্ণনগর যাচ্ছি, অটোতে আমার আর সায়ন্তনের মাঝে একটা মেয়ে বসেছে। আমি আমার মোবাইল নম্বরটা স্ক্রিনে টাইপ করে রেখে দিয়েছি, উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটাকে নম্বর জানানোর। কৃষ্ণনগর স্টেশন এলে আমরা অটো থেকে নেমে যায়। বিকেলে মেয়েটি ফোন করে, বিশ্বাস করুন, সেদিন সায়ন্তনকে আমি নিঃস্বার্থভাবে সেই দশ ডিজিটের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম।
তারপর বারোতে আমাদের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেল। সায়ন্তন চলে গেল কল্যাণী ইউনিভারসিটি আর আমি চলে গেলাম কলকাতা।
ইগনুতে মাস্টার্স করার সময়ও ওর সাথে কথা হত, এমনকি তারাতলাতে যখন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট করছিলাম, তখনও ওর সাথে মাঝেমধ্যে কথা বলতাম।
এর মাঝে সায়ন্তন প্রাইমারি স্কুলের স্কুল টিচারের চাকরি পেল। আমিও ফিরে এলাম।
আমাদের দুজনের বেশ কিছু অভিন্নতা রয়েছে। ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ইংলিশ লিটেরাচার পড়তে এসেছিল। তার আগে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে ম্যাথম্যাটিকস অনার্স ছেড়েছিল। প্রেসিডেন্সিতেও কোনও একটা সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছিল, কিন্তু ছেড়ে দেয়।
এই আমাদের ছাড়াছাড়ি সম্পর্ক আবার কলেজ লাইফের মত জোরা লাগে। একসাথে বেশ কিছু ভাল ডিসিশন নিই। পড়াশোনা বা গার্লফ্রেন্ডগত সমস্যা , কেরিয়ার বা ডিপ্রেশন সব শেয়ার পুনরায় চলতে থাকে।
মাঝখানে বেশ কিছু পরিবর্তন, সায়ন্তন চাকরি পাওয়ার পর মনে হচ্ছে ও একটু যেন সাংসারিক হয়ে গিয়েছে। মোটা টাকা লোন নিয়ে বাড়ি করছে, গাড়ি কিনেছে, বেশ গোছালো হয়ে গিয়েছে।
আর আমি?
আমি এখনও যেন সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। বাড়ি গাড়ি যেন ভাবতেই পারছিনা এই মুহূর্তে। এইতো আজও অনলাইনে কেনা সানগ্লাস, ক্যানভাস, ওয়ালেট, ওয়াচ, আর মোবাইলের ব্যাক কভার বাড়িতে এল।
কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গাতে।
আর কত ফেল করে আমি এই ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে থাকব? কারণ পাস করেও ফার্স্ট ইয়ারে থাকা যে আরও সাংঘাতিক ভয়ংকর!
কলেজে আমাদের বিশেষ কোনও বান্ধবী ছিল না। থাকবে কীভাবে? ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের টিউশন জোগাড় করতেই অবস্থা খারাপ। তারপর রেজাল্টের চিন্তা তো ছিলোই। সেকেন্ড ইয়ারে পড়তে গেলাম কৃষ্ণনগর, থার্ড ইয়ার চাকদহতে। রেজাল্টের দিন রিভিউ করার জন্য মুখিয়ে থাকতাম, কারণ দেড়শ টাকার জন্য একটা পেপারে তিন-চার নম্বর বাড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম।
তখন থেকেই সায়ন্তন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। প্রায় ওদের বাড়ি থাকতাম, কারণ নবদ্বীপ থেকে চাকদহ বা কৃষ্ণনগর এর বাস অনেক ভোরে ধরতে হত।
সায়ন্তনের মত হেল্পফুল বন্ধু আমি জীবনে অনেক কম পেয়েছি। আমাদের যা কিছুই দেওয়া নেওয়া হত নিঃশর্ত এবং নিঃস্বার্থভাবে।
একদিন স্বরূপগঞ্জ ঘাঁট পাড় হয়ে আমরা কৃষ্ণনগর যাচ্ছি, অটোতে আমার আর সায়ন্তনের মাঝে একটা মেয়ে বসেছে। আমি আমার মোবাইল নম্বরটা স্ক্রিনে টাইপ করে রেখে দিয়েছি, উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটাকে নম্বর জানানোর। কৃষ্ণনগর স্টেশন এলে আমরা অটো থেকে নেমে যায়। বিকেলে মেয়েটি ফোন করে, বিশ্বাস করুন, সেদিন সায়ন্তনকে আমি নিঃস্বার্থভাবে সেই দশ ডিজিটের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম।
তারপর বারোতে আমাদের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেল। সায়ন্তন চলে গেল কল্যাণী ইউনিভারসিটি আর আমি চলে গেলাম কলকাতা।
ইগনুতে মাস্টার্স করার সময়ও ওর সাথে কথা হত, এমনকি তারাতলাতে যখন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট করছিলাম, তখনও ওর সাথে মাঝেমধ্যে কথা বলতাম।
এর মাঝে সায়ন্তন প্রাইমারি স্কুলের স্কুল টিচারের চাকরি পেল। আমিও ফিরে এলাম।
আমাদের দুজনের বেশ কিছু অভিন্নতা রয়েছে। ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ইংলিশ লিটেরাচার পড়তে এসেছিল। তার আগে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে ম্যাথম্যাটিকস অনার্স ছেড়েছিল। প্রেসিডেন্সিতেও কোনও একটা সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছিল, কিন্তু ছেড়ে দেয়।
এই আমাদের ছাড়াছাড়ি সম্পর্ক আবার কলেজ লাইফের মত জোরা লাগে। একসাথে বেশ কিছু ভাল ডিসিশন নিই। পড়াশোনা বা গার্লফ্রেন্ডগত সমস্যা , কেরিয়ার বা ডিপ্রেশন সব শেয়ার পুনরায় চলতে থাকে।
মাঝখানে বেশ কিছু পরিবর্তন, সায়ন্তন চাকরি পাওয়ার পর মনে হচ্ছে ও একটু যেন সাংসারিক হয়ে গিয়েছে। মোটা টাকা লোন নিয়ে বাড়ি করছে, গাড়ি কিনেছে, বেশ গোছালো হয়ে গিয়েছে।
আর আমি?
আমি এখনও যেন সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। বাড়ি গাড়ি যেন ভাবতেই পারছিনা এই মুহূর্তে। এইতো আজও অনলাইনে কেনা সানগ্লাস, ক্যানভাস, ওয়ালেট, ওয়াচ, আর মোবাইলের ব্যাক কভার বাড়িতে এল।
কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গাতে।
আর কত ফেল করে আমি এই ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে থাকব? কারণ পাস করেও ফার্স্ট ইয়ারে থাকা যে আরও সাংঘাতিক ভয়ংকর!
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন