শীতের দুপুরে ক্লাস এইটের সপ্তম বেঞ্চিতে বসে বোরিং বাংলার লেকচার কিছুতেই কানে ঢুকছিল না ছেলেটার। হাই বেঞ্চে ঝুঁকে শুয়ে পড়ে শরীরের আলস্যতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল। অন্ধকার ক্লাসের সমস্ত নীরবতা ভঙ্গ করে পাশের বন্ধু প্যান্টে হাত রেখেছিল, হাফ-প্যান্টের চেইন খুলে এক অস্থিহীন লম্বাকৃতি নরম মাংসলপিন্ড নিয়ে কয়েকবার উথান-পতন করার পর যা বেরোল তা আর যা হোক সৃষ্টির রহস্য ভেবে কিছুতেই ভুল করে নি। হয়তো, আনমনা পেচ্ছাপ বেরিয়েছিল।
তারপর গোঁফদাড়ি, শরীরের বিভিন্ন জাগায় অপ্রয়োজনীয়ভাবে লোম অথবা চলতি কথাই 'ব' 'ল' যোগে শব্দের বাড়াবাড়ি বৃদ্ধি। পরিবর্তন সাইন্সের বায়োলজি বইএর টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন আর পোজেস্টেরনের হাত ধরে। তখনও বোঝা যায়নি কিভাবে ঘটে?
বাড়ির নতুন আত্মীয়। বছর চল্লিশের কৃষ্ণকায় বৃদ্ধ। শিখিয়ে দেওয়া হল দাদু বলতে। একসময় যখন বাড়িতে কেউ থাকত না। দাদু এসে চুমু খেত ছেলেটার গালে, তারপর ঘরের খিল বন্ধ করে পায়ুপথে সেই হাড়হীন লম্বাটে অঙ্গের সঙ্কোচন-প্রসারণ। অত্যাচার সহ্য করেও বাড়ির কাউকে কিছু বলতে পারেনি। একটা কষ্ট যেটা নিজেকে সর্বদা গিলে খেত, ধ্বংস করত, দাদু বোনের কোনও ক্ষতি করছে নাতো? অথবা ভাইকেও মুখ বুঝে সব অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে নাতো? আসলে, এই সমস্ত দাদুরা জানেন, মানুষের দুর্বলতা কোথায়...
একদিন সমস্ত জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে দাদু বাড়ি থেকে বিদায় নিলেন। বোন বা ভাইকে কাউকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। তারাও হয়তো লজ্জার খাতিরে দাদাকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করতে পারেনি। দাদু ঘুমের ঘোরে শিখিয়ে দিয়েছিল বারবার হাত নিয়ে এদিক ওদিক করলে যেটা বেরোয় সেটা পেচ্ছাপ না, অন্যকিছু। এমনকি দাদু মুখেও নিয়েছে বারকয়েক। এই গেল ক্লাস নাইন টেনের গল্প।
বড় হয়ে বেশ কয়েকবার বন্ধুদের সাথে দাদুর শেখানো কীর্তিকলাপের চর্চা চলেছিল। একটা সময় ছেলেটা কোণঠাসা হতে থাকে। লোকজন ভাবতে থাকে এ এক আলাদা প্রজাতিভুক্ত কোনও প্রাণি বোধহয়। বন্ধুও কমে আসতে থাকে। সবাই তাকে সন্দেহের চোখে দেখে। কেউ বলে 'গে' কেউ 'বাইসেক্সুয়াল'.......
লোকজন এড়িয়ে যেতে থাকে এই ভেবে যে তাকেও যদি ওই প্রজাতিভুক্ত করে নেওয়া হয় এই ভয়ে।
নিঃসঙ্গতা বহুপ্রকারের। আমি নিঃসঙ্গ, তুমি আর সেও। মানুষভেদে এভাবেই নিঃসঙ্গতার শব্দার্থ পরিবর্তিত হয়। আমরা মানুষকে কেন ঘৃণার চোখে দেখি কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। অথচ এমন অনেক ঘটনাই অনেক পরিবারে ঘটে, অপ্রকাশিত থেকে যায়। পরিস্থিতির চাপে সে ভিন্ন হতে বাধ্য হয়।তারপর, সে যদি আজ আবার নতুন করে বাঁচতে চায়, তাহলে আমরা কেন বাঁধা দেব। মানুষের পছন্দ ভিন্ন থাকতেই পারে, যৌনতা যেখানে ভালবাসা দ্বারা তাড়িত সেখানে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ দেখিনা, অথচ যখন অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। জীবনের এমন কিছু সময় কাটাতে হচ্ছে যেখানে চরমসুখময়তার প্রতি মনে ভীতির সঞ্চার হচ্ছে! তারপর, পছন্দের ভিত্তিতে ভিন্ন প্রজাতি! অহেতুক ডিপ্রেশনের কারণে এই ধরণের ভিক্টিমাইজড দের ঘটছে অপমৃত্যু নারীপুরুষ নির্বিশেষে। হয়তো ভাব্বার সময় এসেছে।
Sudip Sen
10/ Nov /15
তারপর গোঁফদাড়ি, শরীরের বিভিন্ন জাগায় অপ্রয়োজনীয়ভাবে লোম অথবা চলতি কথাই 'ব' 'ল' যোগে শব্দের বাড়াবাড়ি বৃদ্ধি। পরিবর্তন সাইন্সের বায়োলজি বইএর টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন আর পোজেস্টেরনের হাত ধরে। তখনও বোঝা যায়নি কিভাবে ঘটে?
বাড়ির নতুন আত্মীয়। বছর চল্লিশের কৃষ্ণকায় বৃদ্ধ। শিখিয়ে দেওয়া হল দাদু বলতে। একসময় যখন বাড়িতে কেউ থাকত না। দাদু এসে চুমু খেত ছেলেটার গালে, তারপর ঘরের খিল বন্ধ করে পায়ুপথে সেই হাড়হীন লম্বাটে অঙ্গের সঙ্কোচন-প্রসারণ। অত্যাচার সহ্য করেও বাড়ির কাউকে কিছু বলতে পারেনি। একটা কষ্ট যেটা নিজেকে সর্বদা গিলে খেত, ধ্বংস করত, দাদু বোনের কোনও ক্ষতি করছে নাতো? অথবা ভাইকেও মুখ বুঝে সব অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে নাতো? আসলে, এই সমস্ত দাদুরা জানেন, মানুষের দুর্বলতা কোথায়...
একদিন সমস্ত জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে দাদু বাড়ি থেকে বিদায় নিলেন। বোন বা ভাইকে কাউকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। তারাও হয়তো লজ্জার খাতিরে দাদাকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করতে পারেনি। দাদু ঘুমের ঘোরে শিখিয়ে দিয়েছিল বারবার হাত নিয়ে এদিক ওদিক করলে যেটা বেরোয় সেটা পেচ্ছাপ না, অন্যকিছু। এমনকি দাদু মুখেও নিয়েছে বারকয়েক। এই গেল ক্লাস নাইন টেনের গল্প।
বড় হয়ে বেশ কয়েকবার বন্ধুদের সাথে দাদুর শেখানো কীর্তিকলাপের চর্চা চলেছিল। একটা সময় ছেলেটা কোণঠাসা হতে থাকে। লোকজন ভাবতে থাকে এ এক আলাদা প্রজাতিভুক্ত কোনও প্রাণি বোধহয়। বন্ধুও কমে আসতে থাকে। সবাই তাকে সন্দেহের চোখে দেখে। কেউ বলে 'গে' কেউ 'বাইসেক্সুয়াল'.......
লোকজন এড়িয়ে যেতে থাকে এই ভেবে যে তাকেও যদি ওই প্রজাতিভুক্ত করে নেওয়া হয় এই ভয়ে।
নিঃসঙ্গতা বহুপ্রকারের। আমি নিঃসঙ্গ, তুমি আর সেও। মানুষভেদে এভাবেই নিঃসঙ্গতার শব্দার্থ পরিবর্তিত হয়। আমরা মানুষকে কেন ঘৃণার চোখে দেখি কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। অথচ এমন অনেক ঘটনাই অনেক পরিবারে ঘটে, অপ্রকাশিত থেকে যায়। পরিস্থিতির চাপে সে ভিন্ন হতে বাধ্য হয়।তারপর, সে যদি আজ আবার নতুন করে বাঁচতে চায়, তাহলে আমরা কেন বাঁধা দেব। মানুষের পছন্দ ভিন্ন থাকতেই পারে, যৌনতা যেখানে ভালবাসা দ্বারা তাড়িত সেখানে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ দেখিনা, অথচ যখন অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। জীবনের এমন কিছু সময় কাটাতে হচ্ছে যেখানে চরমসুখময়তার প্রতি মনে ভীতির সঞ্চার হচ্ছে! তারপর, পছন্দের ভিত্তিতে ভিন্ন প্রজাতি! অহেতুক ডিপ্রেশনের কারণে এই ধরণের ভিক্টিমাইজড দের ঘটছে অপমৃত্যু নারীপুরুষ নির্বিশেষে। হয়তো ভাব্বার সময় এসেছে।
Sudip Sen
10/ Nov /15
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন