- বাবা! এটা কী বলতো?
- এটা কাগজ..
- হ্যাঁ বাবা... এবার দেখ... আমি এই কাগজটা দিয়ে কী বানাই!
- কী বানাবি?
- এলেপেলেন...। তুমি দেখো বাবা... আমি বড় হলে সাইন্টিস্ট হব... অনেক বড় সাইন্টিস্ট...  তারপর একটা এলেপেলেন বানিয়ে তোমায় এই ধারটাতে চাপাবো, আমি মাঝখানে থাকব.. আর মাকে রাখব জানালার ধারে.. বাবা এলেপেলেনের জানালা হয়..? মা তো বাসে চড়লেই বমি করে.. বাবা এলেপেলেনের জানালা দিয়ে বমি করা যায়? কারও গায়ে বমি করলে গালাগাল দেয়..? মারতে আসে..? বাবা তুমি এলেপেলেন দেখেছ?
- দেখেছিলাম...  সেবার বন্যায় উপর থেকে চিঁড়ে ফেলছিল...  লোকগুলোকে নীচ থেকে পিঁপড়ের মত ছোট দেখাচ্ছিল.. সেবার ছাগল গুলো মাঠের পচা ঘাস খেয়ে মরে গেল.. তোর মায়ের পেটে অসহ্য যন্ত্রণা...  জানিস তোর একটা দাদাও... সব কেড়ে নিয়েছিল ঘোলাটে জলে... 
- বাবা তুমি শুধু দুঃখ করো কেন? আমি বড় হয়ে তোমায় একটা এলেপেলেন কিনে দেব... আচ্ছা বাবা! আমি যদি তিনদিন লেবুঞ্জুস না খাই.. তাহলে এলেপেলেনে চড়তে পারব? যদি পূজোতে নতুন জামাকাপড় না নিই..! তাহলে...! যদি বইখাতা নি কিনি..  তাহলে?
- বইখাতা না কিনলে এলেপেলেনে চড়া যায়না... এলেপেলেন অনেক উঁচুতে ওড়ে... আকাশে... বই না পড়লে আকাশ ছোঁয়া যায়না....
- তাহলে বাবা.. আমরা সবাই যদি একমাস না খেয়ে থাকি.. তাহলে...? একি বাবা! তোমার চোখে জল কেন? বাবা তুমি কাঁদছ?