প্রেম দিবস এবং একটি সতর্কবাণী....
আজ চোদ্দই ফেব্রুয়ারি, প্যালেস্টাইন ডে। রুমকির গালটা এগিয়ে নিয়েছি চুমু খাবো, হঠাত পেট টা গুলিয়ে উঠল......
এখন মেয়েদের ডিমান্ড বেশী। বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অ্যাডভান্সড বায়না না দিলে মেয়ে পাওয়া যায়না। যাই দু-একটা মেয়ে আছে, সবাই চাকরিবালা ছেলে খোঁজে।
মাসতুতো দাদার পিসতুতো বোনের বান্ধবী রুমকি। রুমকি পড়াশুনোতে অত্যন্ত মেধাবী, শুধুমাত্র বাংলাতে দুবার ব্যাক পেয়েছে। সাহিত্যের ইতিহাস পড়লে ওর মনে হয় বাংলা বইতে ইংরেজি লেখা, কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। ভূগোল বই মানেই 'ককতকান্তি, মকতকান্তি' ছোটদিন-বড়দিন, জলবিষুব-মহাবিষুব। পৃথিবীর সমস্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাবনা ভূগোল বইতে লেখা। জীবন বিজ্ঞান বই অত্যন্ত সহজ, তবে কলাকোষের চ্যাপ্টার পড়লেই ওর মনে হয় জীবন মানে 'লাইসোজোম'...আত্মঘাতী থলি।
ইতিহাস রুমকির প্রিয় বিষয়, মোঘল সাম্রাজ্য পড়েছে বারকয়েক, আকবর রুমকির প্রিয় ঐতিহাসিক চরিত্র, যতবার আকবর পড়েছে ততবার হৃত্বিক রোশনের কথা মনে করেছে, আকবরের প্রেমে পড়েছে।
এই পৃথিবীর সমস্ত মেয়ে প্রশংসাতে খুশি হয়, রুমকির খুশির পরিমাণ তাদের সবার থেকে বেশী। আমি প্রায়ই রুমকির সঙ্গে মল্লিকার তুলনা করি, বলি 'রুমকি তুমি মল্লিকারর মতই এক কাপ গরম চা, যার উপর দিয়ে সর্বদা ধোঁয়া বেরোয়, আর আমি একটি নোনতা বিস্কুট... গরম চায়ে পড়লেই ভিজে যাই'।
দুদিন আগে আমি গডেস সরস্বতীকে ফোন করি। ফোন ডাইভার্ট ছিল, দুর্ভাগ্যবশত কল যায় মা লক্ষ্মীর কাছে। মা লক্ষ্মী স্বর্গের লক্ষ্মীপুরে ধান ভাঙছিল। বেশ কিছুটা ক্ষিপ্ত কণ্ঠস্বরে আমার উপর চেঁচিয়ে ওঠে, ফোন করার কারণ জানতে চায়.....
দুঃখবাজার পত্রিকার ফেসবুক পেজে সেক্সসংক্রান্ত কিছু গবেষণাধর্মী পোস্ট ছাড়াও ভাল কিছু সংবাদ পরিবেশিত হয়। দুদিন আগের একটি খবরে দেখেছিলাম স্বর্গের নেটওয়ার্ক এ ফ্রীকোয়েন্সি গণ্ডগোল করছে, মর্ত্যলোক থেকে ফোন করার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
'নেই সময়' অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা যারা যৌনসংসর্গ বিষয়ক উপদেশ নিয়মিত প্রদান করে থাকে, ভুলবশত তারাও যে অত্যাধুনিক খবর সরবরাহ করবে, তা একপ্রকার আমার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং কাকতালীয়। "স্বর্গের দেবদেবী মর্তলোকের থেকে ফোনের মাধ্যমে অতিমাত্রায় অভাব অভিযোগ পেতে পেতে তারা ক্লান্ত। তাঁরা স্বর্গে ডিজিটাল স্বর্গ এবং 'বিরক্ত করিবেন না' শীর্ষক দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চলেছে" এই ছিল 'নেই সময়' এর প্রধান উপজিব্য বিষয়।
মা সরস্বতীকে ফোন করে আমি জানতে চেয়েছিলাম প্রেমের জন্য এবারে পরপর দুদিন ক্যানো রাখা হলো? কিছু মানুষ পরপর দুদিন ক্যানো শোকাকুলা হবে? আর কিছু মানুষ আনন্দে আত্মহারা? প্যালেস্টাইন ডে আর সরস্বতীপূজার মধ্যে এবছর ক্যানো কোনো অতিরিক্ত দিন দেওয়া হয়নি? ক্যালেন্ডারের কোনও পরিবর্তন করা এখনও সম্ভব কী?
মা লক্ষ্মী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হলেন আমার কথা শুনে। অভিশাপ দিলেন... প্রেম দিবসে আমার যান্ত্রিক গোলযোগ হবে।
আজ সেই প্রেম দিবস। সকাল থেকেই প্রত্যেকটা কাজ অত্যন্ত সাবধানতার মাধ্যমে করতে হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে মা লক্ষ্মীর অভিশাপের কথা মনে পড়ছে। রুমকিকে ফোন করে সময় আর মিলিত হওয়ার স্থান নির্দিষ্ট করে বলে দিলাম। একটা পাঞ্জাবি, পাজামা আর চামড়ার চটি পরে বাসে উঠলাম।
বাসের ঝাঁকুনিতে পেটের নাড়িভুঁড়ি এস্পার ওস্পার হয়ে যাচ্ছে। তলপেটে হাল্কা ব্যথা জমেছে। এইতো আরেকটু গিয়েই নামবো.....
একটা বিপাশা, আর একটা মল্লিকার সংকরায়ন ঘটালে যেমন লাগবে, রুমকিকে ঠিক তেমন দেখাচ্ছে। রুমকির বুক পকেটের বিড়াল ছানার ছবিটা কিছুটা দিল্লির লাড্ডুর মত লাগছে, জিন্সের পিছনটার রঙ কিছুটা ছানার জিলিপির মত, রুমকির ঠোঁট যেন লর্ড চমচম।
কিছুটা ঝোপঝাড় খুঁজে আমরা বসলাম। রুমকির সাজগোজে অত্যন্ত রুচিশীলতার ছাপ পাওয়া যায়, তবু আজ মনে হলো রুমকি কোনও কমদামী রজনীগন্ধা টাইপের সেন্ট মেখে এসেছে। আমার গা গোলাতে লাগল।
তবু.... আজ প্যালেস্টাইন ডে.... আজ প্রেম দিবস.... আমি রমকির হাতটা জরিয়ে ধরলাম। ওকে বললাম.... ভালবাসি.... বিপত্তির শুরুটা এখানেই... আমার পেটটা ক্যামন মোচড় দিয়ে উঠল। সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে রুমকির গালটা এগিয়ে নিয়েছি চুমু খাবো, হঠাত পেটটা গুলিয়ে উঠল। সমস্যা বুঝতে আর দেরি নেই... যান্ত্রিক গোলযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার সারা শরীর জুরে ঘাম ঝরছে, চোখমুখ লাল হয়ে গিয়েছে, একটা সময় মনে হল আমি আর পৃথিবীতে নেই... দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য অবস্থায় রুমকিকে ছিটকে ফেলে আমি ছুটতে লাগলাম....
পাজামার পিছনের অংশটা হলুদ হয়ে গিয়েছিল কিনা আমার মনে নেই, কতটা ভিজেছিল সেটাও মনে নেই। শুধু মনে আছে উন্মুক্ত মাঠের পাশেই একটা নালা দিয়ে পরিষ্কার জল যাচ্ছিল, সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করার পর যখন জল দেখতে পেলাম আমার মনে হয়েছিল আমি স্বর্গে অবস্থান করছি।
Sudip Sen
9 Feb '16
আজ চোদ্দই ফেব্রুয়ারি, প্যালেস্টাইন ডে। রুমকির গালটা এগিয়ে নিয়েছি চুমু খাবো, হঠাত পেট টা গুলিয়ে উঠল......
এখন মেয়েদের ডিমান্ড বেশী। বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অ্যাডভান্সড বায়না না দিলে মেয়ে পাওয়া যায়না। যাই দু-একটা মেয়ে আছে, সবাই চাকরিবালা ছেলে খোঁজে।
মাসতুতো দাদার পিসতুতো বোনের বান্ধবী রুমকি। রুমকি পড়াশুনোতে অত্যন্ত মেধাবী, শুধুমাত্র বাংলাতে দুবার ব্যাক পেয়েছে। সাহিত্যের ইতিহাস পড়লে ওর মনে হয় বাংলা বইতে ইংরেজি লেখা, কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। ভূগোল বই মানেই 'ককতকান্তি, মকতকান্তি' ছোটদিন-বড়দিন, জলবিষুব-মহাবিষুব। পৃথিবীর সমস্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাবনা ভূগোল বইতে লেখা। জীবন বিজ্ঞান বই অত্যন্ত সহজ, তবে কলাকোষের চ্যাপ্টার পড়লেই ওর মনে হয় জীবন মানে 'লাইসোজোম'...আত্মঘাতী থলি।
ইতিহাস রুমকির প্রিয় বিষয়, মোঘল সাম্রাজ্য পড়েছে বারকয়েক, আকবর রুমকির প্রিয় ঐতিহাসিক চরিত্র, যতবার আকবর পড়েছে ততবার হৃত্বিক রোশনের কথা মনে করেছে, আকবরের প্রেমে পড়েছে।
এই পৃথিবীর সমস্ত মেয়ে প্রশংসাতে খুশি হয়, রুমকির খুশির পরিমাণ তাদের সবার থেকে বেশী। আমি প্রায়ই রুমকির সঙ্গে মল্লিকার তুলনা করি, বলি 'রুমকি তুমি মল্লিকারর মতই এক কাপ গরম চা, যার উপর দিয়ে সর্বদা ধোঁয়া বেরোয়, আর আমি একটি নোনতা বিস্কুট... গরম চায়ে পড়লেই ভিজে যাই'।
দুদিন আগে আমি গডেস সরস্বতীকে ফোন করি। ফোন ডাইভার্ট ছিল, দুর্ভাগ্যবশত কল যায় মা লক্ষ্মীর কাছে। মা লক্ষ্মী স্বর্গের লক্ষ্মীপুরে ধান ভাঙছিল। বেশ কিছুটা ক্ষিপ্ত কণ্ঠস্বরে আমার উপর চেঁচিয়ে ওঠে, ফোন করার কারণ জানতে চায়.....
দুঃখবাজার পত্রিকার ফেসবুক পেজে সেক্সসংক্রান্ত কিছু গবেষণাধর্মী পোস্ট ছাড়াও ভাল কিছু সংবাদ পরিবেশিত হয়। দুদিন আগের একটি খবরে দেখেছিলাম স্বর্গের নেটওয়ার্ক এ ফ্রীকোয়েন্সি গণ্ডগোল করছে, মর্ত্যলোক থেকে ফোন করার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
'নেই সময়' অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা যারা যৌনসংসর্গ বিষয়ক উপদেশ নিয়মিত প্রদান করে থাকে, ভুলবশত তারাও যে অত্যাধুনিক খবর সরবরাহ করবে, তা একপ্রকার আমার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং কাকতালীয়। "স্বর্গের দেবদেবী মর্তলোকের থেকে ফোনের মাধ্যমে অতিমাত্রায় অভাব অভিযোগ পেতে পেতে তারা ক্লান্ত। তাঁরা স্বর্গে ডিজিটাল স্বর্গ এবং 'বিরক্ত করিবেন না' শীর্ষক দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চলেছে" এই ছিল 'নেই সময়' এর প্রধান উপজিব্য বিষয়।
মা সরস্বতীকে ফোন করে আমি জানতে চেয়েছিলাম প্রেমের জন্য এবারে পরপর দুদিন ক্যানো রাখা হলো? কিছু মানুষ পরপর দুদিন ক্যানো শোকাকুলা হবে? আর কিছু মানুষ আনন্দে আত্মহারা? প্যালেস্টাইন ডে আর সরস্বতীপূজার মধ্যে এবছর ক্যানো কোনো অতিরিক্ত দিন দেওয়া হয়নি? ক্যালেন্ডারের কোনও পরিবর্তন করা এখনও সম্ভব কী?
মা লক্ষ্মী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হলেন আমার কথা শুনে। অভিশাপ দিলেন... প্রেম দিবসে আমার যান্ত্রিক গোলযোগ হবে।
আজ সেই প্রেম দিবস। সকাল থেকেই প্রত্যেকটা কাজ অত্যন্ত সাবধানতার মাধ্যমে করতে হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে মা লক্ষ্মীর অভিশাপের কথা মনে পড়ছে। রুমকিকে ফোন করে সময় আর মিলিত হওয়ার স্থান নির্দিষ্ট করে বলে দিলাম। একটা পাঞ্জাবি, পাজামা আর চামড়ার চটি পরে বাসে উঠলাম।
বাসের ঝাঁকুনিতে পেটের নাড়িভুঁড়ি এস্পার ওস্পার হয়ে যাচ্ছে। তলপেটে হাল্কা ব্যথা জমেছে। এইতো আরেকটু গিয়েই নামবো.....
একটা বিপাশা, আর একটা মল্লিকার সংকরায়ন ঘটালে যেমন লাগবে, রুমকিকে ঠিক তেমন দেখাচ্ছে। রুমকির বুক পকেটের বিড়াল ছানার ছবিটা কিছুটা দিল্লির লাড্ডুর মত লাগছে, জিন্সের পিছনটার রঙ কিছুটা ছানার জিলিপির মত, রুমকির ঠোঁট যেন লর্ড চমচম।
কিছুটা ঝোপঝাড় খুঁজে আমরা বসলাম। রুমকির সাজগোজে অত্যন্ত রুচিশীলতার ছাপ পাওয়া যায়, তবু আজ মনে হলো রুমকি কোনও কমদামী রজনীগন্ধা টাইপের সেন্ট মেখে এসেছে। আমার গা গোলাতে লাগল।
তবু.... আজ প্যালেস্টাইন ডে.... আজ প্রেম দিবস.... আমি রমকির হাতটা জরিয়ে ধরলাম। ওকে বললাম.... ভালবাসি.... বিপত্তির শুরুটা এখানেই... আমার পেটটা ক্যামন মোচড় দিয়ে উঠল। সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে রুমকির গালটা এগিয়ে নিয়েছি চুমু খাবো, হঠাত পেটটা গুলিয়ে উঠল। সমস্যা বুঝতে আর দেরি নেই... যান্ত্রিক গোলযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার সারা শরীর জুরে ঘাম ঝরছে, চোখমুখ লাল হয়ে গিয়েছে, একটা সময় মনে হল আমি আর পৃথিবীতে নেই... দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য অবস্থায় রুমকিকে ছিটকে ফেলে আমি ছুটতে লাগলাম....
পাজামার পিছনের অংশটা হলুদ হয়ে গিয়েছিল কিনা আমার মনে নেই, কতটা ভিজেছিল সেটাও মনে নেই। শুধু মনে আছে উন্মুক্ত মাঠের পাশেই একটা নালা দিয়ে পরিষ্কার জল যাচ্ছিল, সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করার পর যখন জল দেখতে পেলাম আমার মনে হয়েছিল আমি স্বর্গে অবস্থান করছি।
Sudip Sen
9 Feb '16
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন