- মশারিটা ক্যামন হয়েছে?
- খুব ভাল হয়েছে এই মশারিটা, সুতির মশারি। আগেরটার মত নাইলনের না। জ্যালজেলে ভাব নেই।
- খাটের স্ট্যান্ডের চারটে কোণায় ঠিকঠাক ভাবে আটকানো যাবে তো? নাকি অতিরিক্ত দড়ি জুড়তে হবে?
- কোনও দড়ির প্রয়োজন নেই, আমি খাটিয়ে দেখেছি। এই প্রথম বাড়িতে সঠিক মাপের মশারি এসেছে।
- আচ্ছা! মশারির ছিদ্র গুলো খুব বড় মনে হয়েছিল, কোনও মশা ওই ফুটো দিয়ে ঢুকতে পারবে নাতো? তুমি কী একটা মশা মেরে দেখেছিলে ওটা ঢুকতে পারছে কিনা?
- মশার সাথে পাখা থাকে, ঢুকতে পারবেনা। 
- মশারির পাড়ের রঙটা গোলাপি না হয়ে কমলা হলে ভাল হত, গোলাপি রঙ চোখে লাগে, আর খুব ময়লাও হয়।
- আমার তো গোলাপি রঙটা বেশ ভাল লাগে।
- মশারির মধ্যে ছাপা লাল রঙের গোলাপ গুলো ক্যামন? কয়েকটা কুঁড়ি আছে, কুঁড়ির নীচে দুটি পাতা.....ওগুলো আর ফুটবে না..... একেকদিন রাত্রে তুমি যখন শুয়ে থাকবে.... আমি পাশে থাকব না... তুমি একদৃষ্টিতে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে... তোমার চোখ পড়বে সব লাল রঙের গোলাপের উপর.... তখন দেখো.... আমার কথা মনে পড়বে...।
- গোলাপে চোখ না গেলে মনে পড়বে না?
- একটা সত্যি কথা বলবে?
- জিজ্ঞেস কর....
- নীলরঙা শাড়িটা তোমার খুব পছন্দ হয়েছিল.... আমি দেখেছি....  বারকয়েক তুমি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে আবার রেখে দিয়েছ.....


- পছন্দ অবশ্যই হয়েছিল.... তবে মশারির চেয়ে বেশি নয়। আমিও অনেকদিন দেখেছি... রাত্রে তোমার পাশ দিয়ে ভোঁভোঁ করে মশা উড়ে গিয়েছে....  ঘুমের ঘোরে হাত নাড়তে নাড়তে তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছ.... জানো! সেই রাতগুলোতে আমিও ঠিকমত ঘুমোতে পারিনি....।