- স্যার, আমার মতে অন্ততপক্ষে গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত পাস-ফেল তুলে দেওয়া উচিত।
- ক্যানো! তা ক্যানো?
- তাহলে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। ছেলেমেয়েরা ইচ্ছেমত টুকবে আর পাস করবে। অযথার্থভাবে স্যারের বুকে ছুরি ধরার প্রয়োজন হবেনা।
- তাতে তো দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।
- স্যার এটাই তো ভুল করছেন... দেশের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, দেশ অতীতকাল আর বর্তমান নিয়ে চলে। দেশের প্রগতি নির্ভর করে কাঁদা ছোড়াছুড়ির উপর, ট্যুইটার যুদ্ধ বুঝলেন....কে নিজেকে কতটা সুপিরিয়র প্রমাণ করতে পারে, তার যুদ্ধ।
- রাজ্যের কী হবে? ছেলেপুলে কী করে খাবে? তারা তো দেশ গড়বে.... 'কেউ বা হবে সেনানায়ক, গড়বে নতুন সৈন্যদল '
- কী বালের কথা বলছেন স্যার! ছাত্ররা হলো গিনিপিগ, তাদের উপর রিসার্চ করতে হয়। প্রথমে সিলেবাস চেঞ্জ,তারপর শুধু টেন নিয়ে মাধ্যমিক, তারপর ক্যোয়েশ্চেন প্যাটার্ন চেঞ্জ, তারপর ঢালো এম.সি.কিউ, ইউনিট টেস্ট..না না হঠাৎ করে বিনাপ্রস্তুতিতে পরীক্ষা.... এর পরেও ছেলেপিলে পাস করবে, টেট পরীক্ষা দেবে...আর অনির্দিষ্টকালের জন্য রেজাল্টের অনিশ্চয়তা।
- তুমি বাপু আলফাল বকছ, এর সাথে পাসফেলের কী সম্পর্ক?
- দেখুন স্যার, পাসের নিশ্চয়তা থাকলে অযথায় পড়াশোনা করে কেউ আর সময় অপচয় করবেনা। নিজের ইচ্ছেমত কাজকম্ম করবে, পরীক্ষার দিন উপস্থিত হলেই পাস। এর মধ্যে কেউকেউ প্রোপাগান্ডার কাজ করলেই 'চাগরি'!
- একটু খুলে বোঝাও দেখি.....
- স্যার, আমার পাড়াতে কার্তিক বলে এক মগা আছে। পুরো ক্যালা কার্তিক। কোনওদিন রাজনীতি ফাজনীতি করেনি। বয়স আঠাশ মত হবে। বেশ এস.এস.সি ফেসেসসি নিয়ে ছিল।
একদিন নতুন নিয়ম শুনে পুরো মর্মাহত, কী! না আর এসএসসি দেওয়ার যোগ্যতা নেই। পুরো বসে গেল...সেই যে বসে গেল আর উঠলো না....। বাবা শালা এখনো এই বাষট্টি বছর বয়সে কাজ করে খাওয়াই, না পারে মাঠে চাষ করতে....না পারে পড়াশোনা করতে। আরেক শালা আছে.... সেতো কয়েক শতাব্দী আগে পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় বসে। এরা যে কী করতে পড়াশোনা করেছিল...শালা বসেবসে বাবার অন্ন ধ্বংস করে। এর থেকে আমিই ভাল, ফাইভ পাস করেই কাঁচামালের ব্যবসাতে লেগে গেলাম। মাথাই ঝুড়ি নিলেই সাতশো টাকা।
- তাতে তোমার সমস্যা টা কী?
- আমার সমস্যা কী মানে?জানেন! ওর বাবা চোখ ডলতে ডলতে আজ সংসারের কথা শোনাচ্ছিল, আর চলেনা। বাড়িতে দুটো দামড়া বসেবসে খায়, আর বুড়ো লোকটা সক্কাল হলেই মুলোটা, বেগুনটা ঝুড়ি করে আড়তে নিয়ে আসে। আজ বিড়ি খেতে খেতে সব বললেন। আর কতদিন এভাবে চলতে পারে বলতে পারেন?
এর থেকে ভাল ছিল পড়াশোনা না করা, এখন তো আমার নিজের প্রতি গর্ব হয়। আমার মতে বলে পাসফেল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করিয়ে দেশে বেকার সৃষ্টি করার কোনও মানে হয় না। এইসব আলবাল পড়াশোনা দেশের যুবা সম্প্রদায়কে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে, শিরদাঁড়া ভেঙে পঙ্গু করে ছাড়ছে।
Sudip Sen
16 Dec 15
- ক্যানো! তা ক্যানো?
- তাহলে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। ছেলেমেয়েরা ইচ্ছেমত টুকবে আর পাস করবে। অযথার্থভাবে স্যারের বুকে ছুরি ধরার প্রয়োজন হবেনা।
- তাতে তো দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।
- স্যার এটাই তো ভুল করছেন... দেশের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, দেশ অতীতকাল আর বর্তমান নিয়ে চলে। দেশের প্রগতি নির্ভর করে কাঁদা ছোড়াছুড়ির উপর, ট্যুইটার যুদ্ধ বুঝলেন....কে নিজেকে কতটা সুপিরিয়র প্রমাণ করতে পারে, তার যুদ্ধ।
- রাজ্যের কী হবে? ছেলেপুলে কী করে খাবে? তারা তো দেশ গড়বে.... 'কেউ বা হবে সেনানায়ক, গড়বে নতুন সৈন্যদল '
- কী বালের কথা বলছেন স্যার! ছাত্ররা হলো গিনিপিগ, তাদের উপর রিসার্চ করতে হয়। প্রথমে সিলেবাস চেঞ্জ,তারপর শুধু টেন নিয়ে মাধ্যমিক, তারপর ক্যোয়েশ্চেন প্যাটার্ন চেঞ্জ, তারপর ঢালো এম.সি.কিউ, ইউনিট টেস্ট..না না হঠাৎ করে বিনাপ্রস্তুতিতে পরীক্ষা.... এর পরেও ছেলেপিলে পাস করবে, টেট পরীক্ষা দেবে...আর অনির্দিষ্টকালের জন্য রেজাল্টের অনিশ্চয়তা।
- তুমি বাপু আলফাল বকছ, এর সাথে পাসফেলের কী সম্পর্ক?
- দেখুন স্যার, পাসের নিশ্চয়তা থাকলে অযথায় পড়াশোনা করে কেউ আর সময় অপচয় করবেনা। নিজের ইচ্ছেমত কাজকম্ম করবে, পরীক্ষার দিন উপস্থিত হলেই পাস। এর মধ্যে কেউকেউ প্রোপাগান্ডার কাজ করলেই 'চাগরি'!
- একটু খুলে বোঝাও দেখি.....
- স্যার, আমার পাড়াতে কার্তিক বলে এক মগা আছে। পুরো ক্যালা কার্তিক। কোনওদিন রাজনীতি ফাজনীতি করেনি। বয়স আঠাশ মত হবে। বেশ এস.এস.সি ফেসেসসি নিয়ে ছিল।
একদিন নতুন নিয়ম শুনে পুরো মর্মাহত, কী! না আর এসএসসি দেওয়ার যোগ্যতা নেই। পুরো বসে গেল...সেই যে বসে গেল আর উঠলো না....। বাবা শালা এখনো এই বাষট্টি বছর বয়সে কাজ করে খাওয়াই, না পারে মাঠে চাষ করতে....না পারে পড়াশোনা করতে। আরেক শালা আছে.... সেতো কয়েক শতাব্দী আগে পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় বসে। এরা যে কী করতে পড়াশোনা করেছিল...শালা বসেবসে বাবার অন্ন ধ্বংস করে। এর থেকে আমিই ভাল, ফাইভ পাস করেই কাঁচামালের ব্যবসাতে লেগে গেলাম। মাথাই ঝুড়ি নিলেই সাতশো টাকা।
- তাতে তোমার সমস্যা টা কী?
- আমার সমস্যা কী মানে?জানেন! ওর বাবা চোখ ডলতে ডলতে আজ সংসারের কথা শোনাচ্ছিল, আর চলেনা। বাড়িতে দুটো দামড়া বসেবসে খায়, আর বুড়ো লোকটা সক্কাল হলেই মুলোটা, বেগুনটা ঝুড়ি করে আড়তে নিয়ে আসে। আজ বিড়ি খেতে খেতে সব বললেন। আর কতদিন এভাবে চলতে পারে বলতে পারেন?
এর থেকে ভাল ছিল পড়াশোনা না করা, এখন তো আমার নিজের প্রতি গর্ব হয়। আমার মতে বলে পাসফেল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করিয়ে দেশে বেকার সৃষ্টি করার কোনও মানে হয় না। এইসব আলবাল পড়াশোনা দেশের যুবা সম্প্রদায়কে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে, শিরদাঁড়া ভেঙে পঙ্গু করে ছাড়ছে।
Sudip Sen
16 Dec 15
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন