সেদিন পাঁচু দে কে চরম ক্যালিয়েছিলাম।
শালা রোজ স্কুলে যাবে আর আমার পেন চুরি করবে!
কিছু বললেই মেয়েদের মত বুক নিয়ে এগিয়ে আসবে। কতদিন বলেছি, ভাই তুই ব্লাউজ পর! এসবে আর আটকাই?
সেদিন আমাকে খুব মেরেছিল, আমি শুয়ে শুয়ে কাঁদছিলাম। পাশ দিয়ে মিলি যাচ্ছিল, মুখ টিপে হাঁসছিল। আমার প্রেস্টিজ নেই! মিলির সাথে লাইনটা আর হবেনা ভেবে দুঃখ আমার কয়েক শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। গান শুনে আমি হৃদয়ে মিলির নাম লিখতে চেয়েছিলাম। স্যারকে হৃদয়ে নাম লেখার পদ্ধতি জিজ্ঞেস করলে স্যার বলেছিল মিলি বামুন আর তুমি নাপিত। তোমাদের হয় না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তাইলে বামুন বাড়ির কেও মরলে নাপিত ডাকে ক্যানো? যত দোষ বঞ্চিত নাপিতের!
স্যার আমাকে ক্যালিয়েছিল আর পাঁচু দে বুক বার করে দাঁত ক্যালিয়ে হাঁসছিল। সেদিনই রাগ আমার বেড়ে গিয়েছিল। একটা কাগজে লিখেছিলাম পাঁচু দে একটা বুকা , আরও কিছু ভয়ংকর গালাগালি। পাঁচুর প্রতি রাগ বাড়লেই আমি কাগজের গালাগালি গুলো খুলে পড়তাম।
আহ! কী মহা শান্তি! সেদিন বিকেলে কালো মাস্টার বাড়িতে পড়াতে এসেছিল। আমি শেষবারের মত কাগজের গালাগাল পড়ে রাখতে যাব, হঠাৎ স্যার ধরে ফেললো! কাগজময় 'ব' 'চ' যোগে শব্দ। স্যার সেদিনও খুব ক্যালিয়েছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল বাড়ির ছাদ থেকে স্যারের মাথায় ইট ছুরে মারি। সব শালা পাঁচু দের জন্য।
আজ যখন পেয়েছি। সুদে-আসলে এর হিসেব তুলব। শালার হুদোর মত চেহারা, মোষের মত গাঁয়ের জোর, আর বর্তমান মহানায়ক দেবের মত উচ্চারণ। শালাকে মারব আর বলবে 'জনতোনা'।
প্রথমে বস্তায় পুরবো, তারপর গরুর গোজ পোতা মুগুরে করে মারবো। শালা, আমার লাইন কেটেছে, কালো মাস্টারের হাতে মার খাইয়েছে। এইতো বস্তায় বাঁধা হয়ে গিয়েছে। আগে কয়েকবার লাথিয়ে নিই। আমার পা চলছে। মনে হচ্ছে নরম ফুটবল খেলছি। শালা রোজ আমাকে মারে। আমার মামার সাথে পড়ে ফেল করে এখন আমার সাথে, তাই তোর এত গায়ের জোর। আজ দেখ কেমন লাগে। পা আমার চলছে বারংবার। হঠাৎ খেয়াল হলো এত শক্তি আমার কী করে হলো।
ষন্ডাকৃতি পাঁচু কে আমি কিভাবে মারছি! ঘুম থেকে উঠে দেখি শূন্যে আমার পা চলছে।
যাক, স্বপ্নেও যে আমি পাঁচু দে কে মারতে পেরেছিলাম এই ভেবেই এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছিল।
শালা রোজ স্কুলে যাবে আর আমার পেন চুরি করবে!
কিছু বললেই মেয়েদের মত বুক নিয়ে এগিয়ে আসবে। কতদিন বলেছি, ভাই তুই ব্লাউজ পর! এসবে আর আটকাই?
সেদিন আমাকে খুব মেরেছিল, আমি শুয়ে শুয়ে কাঁদছিলাম। পাশ দিয়ে মিলি যাচ্ছিল, মুখ টিপে হাঁসছিল। আমার প্রেস্টিজ নেই! মিলির সাথে লাইনটা আর হবেনা ভেবে দুঃখ আমার কয়েক শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। গান শুনে আমি হৃদয়ে মিলির নাম লিখতে চেয়েছিলাম। স্যারকে হৃদয়ে নাম লেখার পদ্ধতি জিজ্ঞেস করলে স্যার বলেছিল মিলি বামুন আর তুমি নাপিত। তোমাদের হয় না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তাইলে বামুন বাড়ির কেও মরলে নাপিত ডাকে ক্যানো? যত দোষ বঞ্চিত নাপিতের!
স্যার আমাকে ক্যালিয়েছিল আর পাঁচু দে বুক বার করে দাঁত ক্যালিয়ে হাঁসছিল। সেদিনই রাগ আমার বেড়ে গিয়েছিল। একটা কাগজে লিখেছিলাম পাঁচু দে একটা বুকা , আরও কিছু ভয়ংকর গালাগালি। পাঁচুর প্রতি রাগ বাড়লেই আমি কাগজের গালাগালি গুলো খুলে পড়তাম।
আহ! কী মহা শান্তি! সেদিন বিকেলে কালো মাস্টার বাড়িতে পড়াতে এসেছিল। আমি শেষবারের মত কাগজের গালাগাল পড়ে রাখতে যাব, হঠাৎ স্যার ধরে ফেললো! কাগজময় 'ব' 'চ' যোগে শব্দ। স্যার সেদিনও খুব ক্যালিয়েছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল বাড়ির ছাদ থেকে স্যারের মাথায় ইট ছুরে মারি। সব শালা পাঁচু দের জন্য।
আজ যখন পেয়েছি। সুদে-আসলে এর হিসেব তুলব। শালার হুদোর মত চেহারা, মোষের মত গাঁয়ের জোর, আর বর্তমান মহানায়ক দেবের মত উচ্চারণ। শালাকে মারব আর বলবে 'জনতোনা'।
প্রথমে বস্তায় পুরবো, তারপর গরুর গোজ পোতা মুগুরে করে মারবো। শালা, আমার লাইন কেটেছে, কালো মাস্টারের হাতে মার খাইয়েছে। এইতো বস্তায় বাঁধা হয়ে গিয়েছে। আগে কয়েকবার লাথিয়ে নিই। আমার পা চলছে। মনে হচ্ছে নরম ফুটবল খেলছি। শালা রোজ আমাকে মারে। আমার মামার সাথে পড়ে ফেল করে এখন আমার সাথে, তাই তোর এত গায়ের জোর। আজ দেখ কেমন লাগে। পা আমার চলছে বারংবার। হঠাৎ খেয়াল হলো এত শক্তি আমার কী করে হলো।
ষন্ডাকৃতি পাঁচু কে আমি কিভাবে মারছি! ঘুম থেকে উঠে দেখি শূন্যে আমার পা চলছে।
যাক, স্বপ্নেও যে আমি পাঁচু দে কে মারতে পেরেছিলাম এই ভেবেই এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছিল।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন