ভালোবাসা এবং.......
ভালোবাসা নিয়ে ন্যাকামি বা আদিখ্যেতা কোনোটাই আমার সহ্য হয় না। তাই কেউ যখন বলে তোমার সাথে ডাল-ভাত আর ঢ্যারোস সেদ্ধ খেয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারি, আমার মনে হয় সে শুধু মিথ্যে কথাই বলছে না, এক জঘন্যতম পাপ করছে।
আচ্ছা, একবার ভাবুন সপ্তাহের সাতটা দিন আপনাকে ডাল-ভাত আর আলুসিদ্ধ দিয়ে খেতে দেওয়া হলো, কিংবা একটা মাস টানা। কেমন লাগবে? এসব শুধু সাময়িক সুখের জন্য যথাযথ।
তীব্রতর অনুভূতিতে আবেগ তৈরি হয়, আর আবেগপ্রবণ মনে কতশত মিথ্যে কথাই না বলি আমরা! আচ্ছা, একবার ভেবে দেখেছেন আপনার কলেজের বন্ধু রেস্তরাঁতে খেয়ে যে টাকা ট্যাক্স দেবে সে টাকাই আপনি রাস্তার খাবার কিনে খাচ্ছেন! বান্ধবী গাড়ির জানালার নীল কাঁচটা সরিয়ে দেখছে আপনি টাকা বাঁচানোর তাগিদে অনেকটা রাস্তা হেঁটে পার হচ্ছেন, কেমন লাগবে তখন?
ভালোবাসা কী শুধু ভালোবাসতে শেখায়? আচ্ছা আপনি ইউনিভার্সিটিরর ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট, একটা ক্লাস টেন পাস ছেলেকে ভালোবাসতে পারবেন?
দেখুন, ফুচকাওয়ালা কে ভালো লাগতেই পারে, তার হাতের ফুচকা খেতে ভালো লাগে, কিংবা ধরুন সে দেখতেও ভাল, মানুষটাও ভাল। বিয়ে করতে পারবেন?
তাই সবকিছুতেই একটা সাম্যবাদী ভাবধারা আপনার মনের গভীরে অচিরেই দানা বাধে। রুচিবোধ বা নিয়মতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বাইরে হাঁটার সৎসাহস বা অধিকার কোনোটাই আপনার নেই।
তাই, স্পষ্টবাদী স্পষ্টভাষীদের আমার খুব পছন্দ। অন্তত তাদের মধ্যে কৃত্রিমতা দেখি না। আশা, আকাঙ্ক্ষা থেকে মানুষের মুক্তি নেই। মৃত্যুর পরেও কারও ইচ্ছে থাকে তাকে চন্দন কাঠে পোড়ানো হোক, কিংবা না পুড়িয়ে নদীর জলের ভাসিয়ে দেওয়া হোক অথবা তার শরীরটা মাটির নীচে চাপিয়ে দেওয়া হোক। তাতে জীবন্ত অবস্থায় চাওয়া পাওয়ার হিসেব থাকাটা স্বাভাবিক।
এই গেলো রিয়্যালিটি, এবার ভার্চুয়ালিটির কথা বলা হোক।
জানেন এসব সত্ত্বেও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে যাকে ভালোবাসি তার সাথে সুখে থাকতে বস্তুগত উপাদানের সাথে একটু না হয় আপস করি। আচ্ছা! জীবনের সব হিসেব কী মেলে? আপনি যেমন, ততটাই বুদ্ধিমতী, ততটাই প্রতিভাবান, ততটাই ধনবান বা ততটাই মিডিলক্লাস, ততটাই 'আপনি' কাওকে পাবেন?
তাই, আমার মনে হয় হিসেবের বৃথা চেষ্টায় আমরা সম্ভাবনীয় ঘটনাকে এড়িয়ে যায়। কতটা পাওয়া প্রয়োজন তার হিসেব করতে গিয়ে ভুলে যায় আমরা কতটা পেয়েছি। যদি ইচ্ছে থাকে চকলেটের র্যাপারেও ভালোবাসা খুঁজে পাবেন, আর না থাকলে তাজমহলের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যও ফিঁকে লাগবে। আসলে কী জানেন! ঝগড়া, মানসিক অবসাদ, আর ব্যস্ততা আর স্বার্থপরতার যুগে আমরা ভালোবাসতে ভুলে গিয়েছি। ব্যস্ততা আপেক্ষিক। ইচ্ছে থাকলে শত ব্যস্ততার মাঝেও অপর জনের খোঁজ নিতে পারেন, শত অবসাদেও জানতে পারেন সে কেমন আছে? বা কী করছে? সবই নির্ভর করে আপনি তাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তার উপর।
'সুখ' বা 'শান্তি' এমন একটা বিষয় তাকে যতটা খুঁজতে যাবেন, ততটাই আপনার সাথে তার দুরত্ব তৈরি হবে। তাই, খোঁজার বৃথা চেষ্টা না করে যা পেয়েছেন তাই সানন্দে উদযাপন করুন, দেখবেন সত্যিই সুখে আছেন। ভোগবাদ মানুষকে ছোট হতে শেখায়, স্বার্থপর হতে শেখায়। আর নয়, এবার সব ভুলে চার পা একসাথে হাটুন। সময় যে বড্ড কম! না জানি, আজই পৃথিবী ধ্বংস হয় কিনা!
ভালোবাসা নিয়ে ন্যাকামি বা আদিখ্যেতা কোনোটাই আমার সহ্য হয় না। তাই কেউ যখন বলে তোমার সাথে ডাল-ভাত আর ঢ্যারোস সেদ্ধ খেয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারি, আমার মনে হয় সে শুধু মিথ্যে কথাই বলছে না, এক জঘন্যতম পাপ করছে।
আচ্ছা, একবার ভাবুন সপ্তাহের সাতটা দিন আপনাকে ডাল-ভাত আর আলুসিদ্ধ দিয়ে খেতে দেওয়া হলো, কিংবা একটা মাস টানা। কেমন লাগবে? এসব শুধু সাময়িক সুখের জন্য যথাযথ।
তীব্রতর অনুভূতিতে আবেগ তৈরি হয়, আর আবেগপ্রবণ মনে কতশত মিথ্যে কথাই না বলি আমরা! আচ্ছা, একবার ভেবে দেখেছেন আপনার কলেজের বন্ধু রেস্তরাঁতে খেয়ে যে টাকা ট্যাক্স দেবে সে টাকাই আপনি রাস্তার খাবার কিনে খাচ্ছেন! বান্ধবী গাড়ির জানালার নীল কাঁচটা সরিয়ে দেখছে আপনি টাকা বাঁচানোর তাগিদে অনেকটা রাস্তা হেঁটে পার হচ্ছেন, কেমন লাগবে তখন?
ভালোবাসা কী শুধু ভালোবাসতে শেখায়? আচ্ছা আপনি ইউনিভার্সিটিরর ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট, একটা ক্লাস টেন পাস ছেলেকে ভালোবাসতে পারবেন?
দেখুন, ফুচকাওয়ালা কে ভালো লাগতেই পারে, তার হাতের ফুচকা খেতে ভালো লাগে, কিংবা ধরুন সে দেখতেও ভাল, মানুষটাও ভাল। বিয়ে করতে পারবেন?
তাই সবকিছুতেই একটা সাম্যবাদী ভাবধারা আপনার মনের গভীরে অচিরেই দানা বাধে। রুচিবোধ বা নিয়মতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বাইরে হাঁটার সৎসাহস বা অধিকার কোনোটাই আপনার নেই।
তাই, স্পষ্টবাদী স্পষ্টভাষীদের আমার খুব পছন্দ। অন্তত তাদের মধ্যে কৃত্রিমতা দেখি না। আশা, আকাঙ্ক্ষা থেকে মানুষের মুক্তি নেই। মৃত্যুর পরেও কারও ইচ্ছে থাকে তাকে চন্দন কাঠে পোড়ানো হোক, কিংবা না পুড়িয়ে নদীর জলের ভাসিয়ে দেওয়া হোক অথবা তার শরীরটা মাটির নীচে চাপিয়ে দেওয়া হোক। তাতে জীবন্ত অবস্থায় চাওয়া পাওয়ার হিসেব থাকাটা স্বাভাবিক।
এই গেলো রিয়্যালিটি, এবার ভার্চুয়ালিটির কথা বলা হোক।
জানেন এসব সত্ত্বেও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে যাকে ভালোবাসি তার সাথে সুখে থাকতে বস্তুগত উপাদানের সাথে একটু না হয় আপস করি। আচ্ছা! জীবনের সব হিসেব কী মেলে? আপনি যেমন, ততটাই বুদ্ধিমতী, ততটাই প্রতিভাবান, ততটাই ধনবান বা ততটাই মিডিলক্লাস, ততটাই 'আপনি' কাওকে পাবেন?
তাই, আমার মনে হয় হিসেবের বৃথা চেষ্টায় আমরা সম্ভাবনীয় ঘটনাকে এড়িয়ে যায়। কতটা পাওয়া প্রয়োজন তার হিসেব করতে গিয়ে ভুলে যায় আমরা কতটা পেয়েছি। যদি ইচ্ছে থাকে চকলেটের র্যাপারেও ভালোবাসা খুঁজে পাবেন, আর না থাকলে তাজমহলের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যও ফিঁকে লাগবে। আসলে কী জানেন! ঝগড়া, মানসিক অবসাদ, আর ব্যস্ততা আর স্বার্থপরতার যুগে আমরা ভালোবাসতে ভুলে গিয়েছি। ব্যস্ততা আপেক্ষিক। ইচ্ছে থাকলে শত ব্যস্ততার মাঝেও অপর জনের খোঁজ নিতে পারেন, শত অবসাদেও জানতে পারেন সে কেমন আছে? বা কী করছে? সবই নির্ভর করে আপনি তাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তার উপর।
'সুখ' বা 'শান্তি' এমন একটা বিষয় তাকে যতটা খুঁজতে যাবেন, ততটাই আপনার সাথে তার দুরত্ব তৈরি হবে। তাই, খোঁজার বৃথা চেষ্টা না করে যা পেয়েছেন তাই সানন্দে উদযাপন করুন, দেখবেন সত্যিই সুখে আছেন। ভোগবাদ মানুষকে ছোট হতে শেখায়, স্বার্থপর হতে শেখায়। আর নয়, এবার সব ভুলে চার পা একসাথে হাটুন। সময় যে বড্ড কম! না জানি, আজই পৃথিবী ধ্বংস হয় কিনা!
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন