- বলো হে সুদীপ! জীবনের শেষ ইচ্ছা কী?
- ডিয়ার যমদূত! বড় সাধ ছিল এবারের অষ্টমীতে কারও হাত ধরে ঘুরব। জানেন! গত ছমাস আমি উপবাসে বনবাসিনী হয়ে দিন যাপন করেছি। নাইদার নীলাচলে ছবি, নর হস্তশিল্প! জীবনের 'তেত্রিশ পূর্ণ একের তিন অংশ' কাল আমার শক্তিসঞ্চারণে কেটে গেল, এবার যৌবনে ঘুণ ধরতে চলেছে। আর কত আসমুদ্রহিমাচল অপেক্ষা! আমার 'ইয়ে' পেকে যে তালতলা যেতে বসেছে।
- তুমি কেমন নারীর সান্নিধ্য চাও?
- ডিয়ার যমদূত! আই অ্যাম সো মিডিলক্লাস! তাই করীনা, ক্যাটরিনা কাওকে চাইনা। সিতা, মিতা, গীতা, খেঁদি, বুচি, নূর্জাহান হলেই হলো। অ্যাকচুয়্যালি এর থেকে বেশি কিছু এক্সপেকটেশন রাখা ঠিক নয়। আমি বুঝেই গিয়েছি পেম পিরিত যার তার কম্য নয়।
- আচ্ছা! অদূরস্থ ওই বালিকা তোর। যা, গিয়ে হাত ধরে প্রেম নিবেদন কর....
- মেয়েটা চোখে স্পষ্ট দেখতে পায়না, আমাকে চিনবে কিভাবে। না যমদূত এ সম্ভব নয়। শেষমেশ যদি আমাকে ভেবে অন্য কাওকে জড়িয়ে ধরে!
- তাহলে সাতান্ন পা পিছিয়ে যা, সেখানে এক নারী তোর জন্য অপেক্ষা করছে।
- না, এ কিকরে সম্ভব! তিনি যে কানে শুনতে পায় না, আমি আদর করে 'কাজলনয়না হরিণী' বলে ডাকলে সে শুনবে কিভাবে? এ সম্ভব নয়!
- আচ্ছা, ঊনসত্তর পা সামনে এগিয়ে, তিন পা ডান দিকে এগিয়ে যা, সে শুধু তোর অপেক্ষাই দিন গুনছে....
- একি! অন্নহীন, বস্ত্রহীন, জীর্ণদেহ! এদের কিভাবে ভালোবাসা যায়! কি পাবো ভালোবেসে?
অসম্ভব! শেষ একটা চান্স দিন....
- তেরোবার শরীরের মাপ কেটে সামনে এগিয়ে ঊনপঞ্চাশ পা বাম দিকে যা। ইনি তোর জন্য পূর্ণতাপ্রাপ্ত কেউ।
- আমাকে মাপ করুন ভগবান! ইনি যে অন্তঃসত্ত্বা! এ পাপের বোঝা আমি কেন বইবো?
- পাপ! কেউ জমি চাষ করে রেখে চলে গেলে, তার ফসল তুই ভোগ করতে পারবি না! ভেবে দেখ, জমি কর্ষণ, বপন, রোপণ কিছুই তোকে করতে হবেনা।
- না, ভগবান। এ সম্ভব নয়।
- যা মেফিসটোফিলিস! যা শয়তান! তোর মৃত্যু নেই! তুই আবার নরকযন্ত্রণা ভোগ করগে যা! ড্যামনেশন!
- ডিয়ার যমদূত! বড় সাধ ছিল এবারের অষ্টমীতে কারও হাত ধরে ঘুরব। জানেন! গত ছমাস আমি উপবাসে বনবাসিনী হয়ে দিন যাপন করেছি। নাইদার নীলাচলে ছবি, নর হস্তশিল্প! জীবনের 'তেত্রিশ পূর্ণ একের তিন অংশ' কাল আমার শক্তিসঞ্চারণে কেটে গেল, এবার যৌবনে ঘুণ ধরতে চলেছে। আর কত আসমুদ্রহিমাচল অপেক্ষা! আমার 'ইয়ে' পেকে যে তালতলা যেতে বসেছে।
- তুমি কেমন নারীর সান্নিধ্য চাও?
- ডিয়ার যমদূত! আই অ্যাম সো মিডিলক্লাস! তাই করীনা, ক্যাটরিনা কাওকে চাইনা। সিতা, মিতা, গীতা, খেঁদি, বুচি, নূর্জাহান হলেই হলো। অ্যাকচুয়্যালি এর থেকে বেশি কিছু এক্সপেকটেশন রাখা ঠিক নয়। আমি বুঝেই গিয়েছি পেম পিরিত যার তার কম্য নয়।
- আচ্ছা! অদূরস্থ ওই বালিকা তোর। যা, গিয়ে হাত ধরে প্রেম নিবেদন কর....
- মেয়েটা চোখে স্পষ্ট দেখতে পায়না, আমাকে চিনবে কিভাবে। না যমদূত এ সম্ভব নয়। শেষমেশ যদি আমাকে ভেবে অন্য কাওকে জড়িয়ে ধরে!
- তাহলে সাতান্ন পা পিছিয়ে যা, সেখানে এক নারী তোর জন্য অপেক্ষা করছে।
- না, এ কিকরে সম্ভব! তিনি যে কানে শুনতে পায় না, আমি আদর করে 'কাজলনয়না হরিণী' বলে ডাকলে সে শুনবে কিভাবে? এ সম্ভব নয়!
- আচ্ছা, ঊনসত্তর পা সামনে এগিয়ে, তিন পা ডান দিকে এগিয়ে যা, সে শুধু তোর অপেক্ষাই দিন গুনছে....
- একি! অন্নহীন, বস্ত্রহীন, জীর্ণদেহ! এদের কিভাবে ভালোবাসা যায়! কি পাবো ভালোবেসে?
অসম্ভব! শেষ একটা চান্স দিন....
- তেরোবার শরীরের মাপ কেটে সামনে এগিয়ে ঊনপঞ্চাশ পা বাম দিকে যা। ইনি তোর জন্য পূর্ণতাপ্রাপ্ত কেউ।
- আমাকে মাপ করুন ভগবান! ইনি যে অন্তঃসত্ত্বা! এ পাপের বোঝা আমি কেন বইবো?
- পাপ! কেউ জমি চাষ করে রেখে চলে গেলে, তার ফসল তুই ভোগ করতে পারবি না! ভেবে দেখ, জমি কর্ষণ, বপন, রোপণ কিছুই তোকে করতে হবেনা।
- না, ভগবান। এ সম্ভব নয়।
- যা মেফিসটোফিলিস! যা শয়তান! তোর মৃত্যু নেই! তুই আবার নরকযন্ত্রণা ভোগ করগে যা! ড্যামনেশন!
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন