#চুরিবিদ্যা_মহাবিদ্যা
আমার নাম সুদীপ সেন। সুদীপ্ত সেন এর বংশধর আমি। তাই লোকঠকানো, চুরিবিদ্যা, আর অন্যের জিনিস নিজের বলে চালানোর ব্যাপারে আমার সাথে পেরে ওঠা কঠিন।
চুরি অনেক কিছুই করা যায়। টাকা-পয়সা, গার্লফ্রেন্ড, অন্যের ভাবনা অথবা অন্যের লেখা চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে লাইক কমেন্ট আর বাহবা কুড়ানো।
নিজের সক্ষমতার জায়গা গুলো জানার পরেও আমি কোনওদিন চুরি করিনি। কারণ, চোরের সাতদিন গৃহস্থের একদিন। সুদীপ্ত সেন এখন জেলে মুক্তির অপেক্ষাই দিন গুনছে।
আচ্ছা দাদা! একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি!
চুরি করে কখনও বড় হওয়া যায়?
কখনও কী বিবেকের কাছে নিজেদের দংশিত হতে হয়না আপনাদের? ও হ্যাঁ! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম বিবেক থাকলে তবেই তো তার দংশনের সম্ভাবনা থাকবে!
আমরা যারা দুটো বাক্যের একটা কবিতা লিখি কিংবা 'চব্বিশে সেপ্টেম্বর' নামের গল্প লিখি, আপনারা জানেন না সৃষ্টি কতটা যন্ত্রণার! প্রত্যেকটা শব্দ, প্রত্যেকটা বাক্য যখন সৃষ্টি হয় গর্বিত মায়ের গর্ভাবস্থা সময়ের প্রসবযন্ত্রণা আমাদের মনের ভিতরে অনুভূত হয়। সৃষ্টি যে শুধু ভাবনার গভীরতায় পূর্ণতা পায় তাই কিন্তু নয়। আমাদের অনেকের অনেক গল্প 'গল্প হলেও সত্যি'। কাছের কেউ ছেঁড়ে যাওয়ার যন্ত্রণাটা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি, তাই হয়তো সৃজনশীলতাই তা প্রকাশ পায়। দেখুন কেউ যদি ভালো না বাসে তার মুখে তো আর অ্যাসিড ছুড়তে পারি না! বরং সে বেঁচে থাকুক মনের গভীরে, ব্যাপ্তিশীল ভাবনাই...যেখান থেকে কেউ কোনওদিন কেড়ে নিতে পারবেনা।
খুব কষ্ট হয়, যখন সেই যন্ত্রণা, সেই কষ্টভোগ না করে, পীড়িত বা বিজড়িত না হয়েই আপনারা সেই লেখা চুরি করেন, ভাবনা চুরি করেন, একজন ভিন্ন মানুষের অন্য একজন মানুষের প্রতি প্রেম চুরি করেন, ইমোশন চুরি করেন, দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা চুরি করেন। চুরি করে নিজের বলে চালান।
খুবই বেশি অবাক হই যখন একজন বয়স্ক মানুষ চুরি করেন। স্যার, আপনার তো তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে! জীবনে সত্যের সন্ধান পেয়েছেন। এই বয়সেও! আপনার কাছ থেকে আমার মত নাতিনাতনিরা কী শিখবে বলতে পারেন? চুরি করা!
তবে চুরি করলে সবসময় মন্দ লাগেনা। কেন জানেন?
আসলে আমরা তো আর 'লেখক' নই। কখনও যদি দেখি আমার লেখনী অপরিচিত কেউ অন্য কোথাও পোস্ট করে প্রশংসা পাচ্ছে, সানন্দে নিজের প্রতিভা, সহজাত ক্ষমতা বা বিশেষ দক্ষতার ঔদ্ধত্য জাহির করছে, নিজের প্রতি গর্ববোধ হয়। নিজেকে কেমন সেলিব্রিটি মনে হয়!
যাক পাবলিকে খাচ্ছে, এবার 'প্রকাশক' এর সাথে কথা বলা যায়।
এই গেল অভিযোগ আর অনুযোগের সমাহার। এবার অন্য কথা বলি। অনেকে যখন লেখা শেয়ার করে, কৌটাসি দিয়ে নিজেদের ওয়ালে আপডেট করে, অথবা কমেন্ট এ লেখে 'আপনার সোনার কলম হোক' কিংবা 'এই হাত বাঁধিয়ে দিতে হয়' মন এক অদ্ভুত ভালোলাগাতে ভরে যায়। তখন আর চোরের খেয়াল থাকেনা। লেখা চুরি করুন, প্রতিভা চুরি করতে পারবেন কী?
এখানে আমি শুধু 'আমি' নই, আমার মত সমস্ত ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ অথবা উপন্যাসের ছোট লেখকদের পক্ষ থেকে 'এই বার্তা' আপনি অর্থাৎ আপনার মত সমস্ত চোরের উদ্দেশ্যে সমর্পিত হলো।
© Sudip Sen
17/Oct/15
আমার নাম সুদীপ সেন। সুদীপ্ত সেন এর বংশধর আমি। তাই লোকঠকানো, চুরিবিদ্যা, আর অন্যের জিনিস নিজের বলে চালানোর ব্যাপারে আমার সাথে পেরে ওঠা কঠিন।
চুরি অনেক কিছুই করা যায়। টাকা-পয়সা, গার্লফ্রেন্ড, অন্যের ভাবনা অথবা অন্যের লেখা চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে লাইক কমেন্ট আর বাহবা কুড়ানো।
নিজের সক্ষমতার জায়গা গুলো জানার পরেও আমি কোনওদিন চুরি করিনি। কারণ, চোরের সাতদিন গৃহস্থের একদিন। সুদীপ্ত সেন এখন জেলে মুক্তির অপেক্ষাই দিন গুনছে।
আচ্ছা দাদা! একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি!
চুরি করে কখনও বড় হওয়া যায়?
কখনও কী বিবেকের কাছে নিজেদের দংশিত হতে হয়না আপনাদের? ও হ্যাঁ! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম বিবেক থাকলে তবেই তো তার দংশনের সম্ভাবনা থাকবে!
আমরা যারা দুটো বাক্যের একটা কবিতা লিখি কিংবা 'চব্বিশে সেপ্টেম্বর' নামের গল্প লিখি, আপনারা জানেন না সৃষ্টি কতটা যন্ত্রণার! প্রত্যেকটা শব্দ, প্রত্যেকটা বাক্য যখন সৃষ্টি হয় গর্বিত মায়ের গর্ভাবস্থা সময়ের প্রসবযন্ত্রণা আমাদের মনের ভিতরে অনুভূত হয়। সৃষ্টি যে শুধু ভাবনার গভীরতায় পূর্ণতা পায় তাই কিন্তু নয়। আমাদের অনেকের অনেক গল্প 'গল্প হলেও সত্যি'। কাছের কেউ ছেঁড়ে যাওয়ার যন্ত্রণাটা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি, তাই হয়তো সৃজনশীলতাই তা প্রকাশ পায়। দেখুন কেউ যদি ভালো না বাসে তার মুখে তো আর অ্যাসিড ছুড়তে পারি না! বরং সে বেঁচে থাকুক মনের গভীরে, ব্যাপ্তিশীল ভাবনাই...যেখান থেকে কেউ কোনওদিন কেড়ে নিতে পারবেনা।
খুব কষ্ট হয়, যখন সেই যন্ত্রণা, সেই কষ্টভোগ না করে, পীড়িত বা বিজড়িত না হয়েই আপনারা সেই লেখা চুরি করেন, ভাবনা চুরি করেন, একজন ভিন্ন মানুষের অন্য একজন মানুষের প্রতি প্রেম চুরি করেন, ইমোশন চুরি করেন, দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা চুরি করেন। চুরি করে নিজের বলে চালান।
খুবই বেশি অবাক হই যখন একজন বয়স্ক মানুষ চুরি করেন। স্যার, আপনার তো তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে! জীবনে সত্যের সন্ধান পেয়েছেন। এই বয়সেও! আপনার কাছ থেকে আমার মত নাতিনাতনিরা কী শিখবে বলতে পারেন? চুরি করা!
তবে চুরি করলে সবসময় মন্দ লাগেনা। কেন জানেন?
আসলে আমরা তো আর 'লেখক' নই। কখনও যদি দেখি আমার লেখনী অপরিচিত কেউ অন্য কোথাও পোস্ট করে প্রশংসা পাচ্ছে, সানন্দে নিজের প্রতিভা, সহজাত ক্ষমতা বা বিশেষ দক্ষতার ঔদ্ধত্য জাহির করছে, নিজের প্রতি গর্ববোধ হয়। নিজেকে কেমন সেলিব্রিটি মনে হয়!
যাক পাবলিকে খাচ্ছে, এবার 'প্রকাশক' এর সাথে কথা বলা যায়।
এই গেল অভিযোগ আর অনুযোগের সমাহার। এবার অন্য কথা বলি। অনেকে যখন লেখা শেয়ার করে, কৌটাসি দিয়ে নিজেদের ওয়ালে আপডেট করে, অথবা কমেন্ট এ লেখে 'আপনার সোনার কলম হোক' কিংবা 'এই হাত বাঁধিয়ে দিতে হয়' মন এক অদ্ভুত ভালোলাগাতে ভরে যায়। তখন আর চোরের খেয়াল থাকেনা। লেখা চুরি করুন, প্রতিভা চুরি করতে পারবেন কী?
এখানে আমি শুধু 'আমি' নই, আমার মত সমস্ত ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ অথবা উপন্যাসের ছোট লেখকদের পক্ষ থেকে 'এই বার্তা' আপনি অর্থাৎ আপনার মত সমস্ত চোরের উদ্দেশ্যে সমর্পিত হলো।
© Sudip Sen
17/Oct/15
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন