- আপনি কি জানেন দেশের পঞ্চান্ন শতাংশ লোক কৃষিকাজের সাথে যুক্ত? দেশের মোট জিডিপির চোদ্দ শতাংশ আসে এগ্রিকালচার অ্যালাইভ সেক্টর থেকে। বর্তমানে ছেষট্টি দশমিক দুই শতাংশ গ্রাম্য পুরুষ এবং একাশি দশমিক ছয় শতাংশ গ্রাম্য মহিলা কৃষিকাজের শ্রমজীবী সম্প্রদায়।
আপনি কি জানেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মোট খাদ্য উৎপাদনের আট শতাংশ সরবরাহ করে, এখানে দেশের সবথেকে বেশি ধান উৎপন্ন হয় যা কিনা দেশের মোট ধান উৎপাদনের পনেরো শতাংশ। আচ্ছা! ছাড়ুন, আপনি কি জানেন বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধানের চাষ হয়! এমনকি বর্ধমানকে পশ্চিমবঙ্গের ধানের গোলা বলা হয়?
- সব-ই নতুন তথ্য, দেখুন মশাই আমি দেবের ফ্যান। লোকে আমায় আলিয়া ভাট মনে করে। এসব জেনে বুঝেও আপনি যদি আমার মাথায় ডেটা ইন্টারপ্রেটেশন ঢোকাতে আসেন, তা নেহাতই উলু বনে মুক্ত ছড়ানো!
- একদম-ই না। লার্জেস্ট ডেমোক্রেসির স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আপনাকেও ভাবতে হবে এবিপি আনন্দ দিনে দিনে কিভাবে পর্ণ আনন্দে রূপান্তরিত হচ্ছে। অমৃতবাজার পত্রিকা গরল বাজার পত্রিকাতে পরিণত হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'শখী তুমি কার' এর ভূমিকা পালন করছে?
- 'শখী তুমি কার' মানে?
- মানে রাজ্য যখন যার, তার।
আপনাকে আরও ভাবতে হবে কিভাবে মানুষ কৃষিকাজ থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে। জানেন প্রত্যেক গ্রামের তিরিশ শতাংশ যুবক কেরালা'তে রাজমিস্ত্রি অথবা বোম্বেতে হোটেলের কাজ করে! ফুটো হওয়া পশ্চিমবঙ্গে তেলেভাজা ছারা আর কোনও শিল্প গড়ে উঠছে না। মানুষ বাধ্য হয়ে রুজিরোজগারের উদ্দেশ্যে ভিনরাজ্যে পারি দিচ্ছে। আচ্ছা! এভাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গটা যদি কেরালা বা বোম্বেতে এমিগ্রেইন্ট করে তাহলে কি হবে বুঝতে পারছেন?
দেখুন, শুধু গ্রাম্য যুবক-ই না। আই.টি সেক্টরের খারাপ অবস্থার কারণে দেশের একটা বড় অংশের যুবকদের শুধুমাত্র চাকুরীগত কারণে পুণে বা ব্যাঙ্গালোর যেতে হয়। ভাবতেও অবাক লাগে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা একসময় ভারতের রাজধানী ছিল!
আরও আছে, নতুন প্রজন্মের কেউ আর চাষে আগ্রহ দেখাইনা, সবাই বোম্বেগামি। এর পরে চাষবাস বন্ধ হয়ে গেলে আমরা খাব কি বলতে পারেন? ভবিষ্যতের কথা ভাবলে কেমন যেন ভয় হয়!
- দেখুন, গতমাসের গত রবিবারে আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ হয়েছে, আমার আজও ও ঠিকঠাক চলে যাচ্ছে, কারও জন্য কারও ঠেকে থাকে না।
- সত্যি, আপনি একজন মহান আলিয়া ভাট!
এক কথাই পুরো সেশনের ইয়ে মেরে দিলেন।
আপনি কি জানেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মোট খাদ্য উৎপাদনের আট শতাংশ সরবরাহ করে, এখানে দেশের সবথেকে বেশি ধান উৎপন্ন হয় যা কিনা দেশের মোট ধান উৎপাদনের পনেরো শতাংশ। আচ্ছা! ছাড়ুন, আপনি কি জানেন বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধানের চাষ হয়! এমনকি বর্ধমানকে পশ্চিমবঙ্গের ধানের গোলা বলা হয়?
- সব-ই নতুন তথ্য, দেখুন মশাই আমি দেবের ফ্যান। লোকে আমায় আলিয়া ভাট মনে করে। এসব জেনে বুঝেও আপনি যদি আমার মাথায় ডেটা ইন্টারপ্রেটেশন ঢোকাতে আসেন, তা নেহাতই উলু বনে মুক্ত ছড়ানো!
- একদম-ই না। লার্জেস্ট ডেমোক্রেসির স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আপনাকেও ভাবতে হবে এবিপি আনন্দ দিনে দিনে কিভাবে পর্ণ আনন্দে রূপান্তরিত হচ্ছে। অমৃতবাজার পত্রিকা গরল বাজার পত্রিকাতে পরিণত হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'শখী তুমি কার' এর ভূমিকা পালন করছে?
- 'শখী তুমি কার' মানে?
- মানে রাজ্য যখন যার, তার।
আপনাকে আরও ভাবতে হবে কিভাবে মানুষ কৃষিকাজ থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে। জানেন প্রত্যেক গ্রামের তিরিশ শতাংশ যুবক কেরালা'তে রাজমিস্ত্রি অথবা বোম্বেতে হোটেলের কাজ করে! ফুটো হওয়া পশ্চিমবঙ্গে তেলেভাজা ছারা আর কোনও শিল্প গড়ে উঠছে না। মানুষ বাধ্য হয়ে রুজিরোজগারের উদ্দেশ্যে ভিনরাজ্যে পারি দিচ্ছে। আচ্ছা! এভাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গটা যদি কেরালা বা বোম্বেতে এমিগ্রেইন্ট করে তাহলে কি হবে বুঝতে পারছেন?
দেখুন, শুধু গ্রাম্য যুবক-ই না। আই.টি সেক্টরের খারাপ অবস্থার কারণে দেশের একটা বড় অংশের যুবকদের শুধুমাত্র চাকুরীগত কারণে পুণে বা ব্যাঙ্গালোর যেতে হয়। ভাবতেও অবাক লাগে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা একসময় ভারতের রাজধানী ছিল!
আরও আছে, নতুন প্রজন্মের কেউ আর চাষে আগ্রহ দেখাইনা, সবাই বোম্বেগামি। এর পরে চাষবাস বন্ধ হয়ে গেলে আমরা খাব কি বলতে পারেন? ভবিষ্যতের কথা ভাবলে কেমন যেন ভয় হয়!
- দেখুন, গতমাসের গত রবিবারে আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ হয়েছে, আমার আজও ও ঠিকঠাক চলে যাচ্ছে, কারও জন্য কারও ঠেকে থাকে না।
- সত্যি, আপনি একজন মহান আলিয়া ভাট!
এক কথাই পুরো সেশনের ইয়ে মেরে দিলেন।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন