- ভাই, ডেট করা মানে কী?
- ডেটের একটা কম্প্রিহেন্সিভ মিনিং আছে। তোকে কিভাবে বোঝায়! দেখ, ডেট মানে তোকে ভাল জামাকাপড় পরতে হবে, ভাল করে সাপ্টে চুল আঁচড়াতে হবে, গায়ে সুগন্ধি ডিও লাগাতে হবে।
তারপর নিরিবিলি উদ্যানের ঝোপঝাড়ের তলাই বসতে হবে, যেন কেউ দেখতে না পায়।
- তারপর? তারপর?
- তারপর বাবা কামদেব এর নাম করে রামদেব এর যোগাসন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডানহাতের কনুই বাঁপায়ে ঠ্যাকাও। থ্রি-প্লে আর ফাইভ-প্লের মাঝের গান শোনাও। ব্যাস! পুরো পঞ্চুর বাপ!
- আর? আর কী?
- তুই শালা, মহা আবাং। এর পরেও বলতে হবে?
- বল না ভাই! প্লিজ.... তোর পায়ে ধরি.. ইয়েতে চুমু খাই... তাও বল..
- এইতো, তুই ই বলে দিলি। প্রথমে শুরশুরি দিতে হয়। তারপর দীর্ঘতর চুমু, রাতের অন্ধকারে বঞ্চিত বানতোচের সুয়েজ খাল দর্শন।
- তারপরে?
- ভাই! তোর না মিথুনরাশি! তারপর টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখাই, দেখিস না! 'এত্ত বড়'?
- সেতো মা দুর্গার প্রতিমা!
- আরে না! পুরো সলিড সেটিং!  লুডো খেলতে হয় বুঝলি!  কখনও ছক্কা কখনও পুট! তোর শালা মাথাটা পুরো গেছে, কথার 'ইয়ে' মেরে দিস। বেশ শালা বলছিলাম, কোথায় ঠাকুর দেবতা নিয়ে চলে এলি। তুই ভাই ব্রাহ্মী শাকের চাট দিয়ে, দেশি মালের সাথে ব্রেনোলিয়া মিশিয়ে খা। নাহলে এ জনমে তোর আর সুয়েজ খাল দেখা হবে না। সাগরসঙ্গমে নবকুমার হওয়া হবে না, আর কাওকে বলতেও পারবি না....
"আহা! কি দেখিলাম! জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না"
আর শোন, সবিতা বৌদিকে বলে দেব, তোকে একটা বাৎস্যায়ন উপহার দেবে। দেখিস! আবার বাঘ হয়ে যাস না!
- ভাই, তোর এই ঋণ আমি কোনদিন ভুলব না। বিশ্বাস কর, ডেট মানে এত্তকিছু আমি জানতাম না। আমি ভাবতাম ডেট করা মানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যাকগ্রাউন্ডে দুটো মনের কথা খুলে বলা। ওকে কাতর কন্ঠে বলা....
"মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না?"
"ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
হারাই-হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে ॥"

তুই আমার জ্ঞানচক্ষু খুলে দিলি। চোখের আলোয় বোকা মনের বাইরে অনেক কিছু দেখালি। বুকে আয় ভাই।
                     .............©.............