সূর্য পশ্চিমদিকে উঠেছে।
আমি বাথরুমের বিছানা ত্যাগ করে আড়িমুড়ি ছাড়ছি।
সকালে ভগবানের নাম করতে হয়। আমি বাবা ভূতনাথের সামনে গিয়ে প্রার্থনা করছি। বাবা ভূতনাথের বেশ বয়স হয়েছে, চুলে পাক ধরেছে। ভূতনাথের পর আমি করজোড়ে বাবা দেবদাসের সামনে একটা সিগারেট ধরিয়ে সিগারেটদানিতে ওটা রাখলাম। বাবা আমার আশীর্বাদ করলেন।
এর পর পূজ্যমান  বাবা হরিদাস নমস্কারের সময় এসেছে। আমি হাঁটু ভেঙে প্রোপজ করার ধরনে প্রার্থনাবাক্য উচ্চারণ করলাম।

আজ আমার বিবাহবার্ষিকী। গত কাল ফোন করে বেশ কয়েক জনকে নিমন্ত্রণ করে তাদের নিজের বাড়িতেই ভালমন্দ রান্না করে খাওয়া আর আমার বিবাহবার্ষিকী পালন করার নির্দেশ দিয়েছি।
আমার ছেলে ক্লাস টুয়ে ভর্তির জন্য এই সক্কাল সক্কাল বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছে।
বৌ আমাকে আজকের দিনে বারবার নিরামিষ খাওয়ার উপদেশ দিয়েছে। আমি বাড়িতে একটা ষাঁড় পুষেছি এখানে ওখানে যাওয়ার জন্য। হাতে চটি আর মাথায় জিন্স পড়ে আমি ষাঁড়ের পিঠে চড়লাম শপিং মলে নিরামিষ মাংস আর মাংস রান্নার জন্য নারকেল তেল আনতে।
রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি, সেগুলো আকাশে উড়ছে। বাচ্চাকাচ্চা হরিণের পিঠে চড়ে স্কুলে যাচ্ছে। একটা মেয়ে ট্র্যাক্টর চালাচ্ছে, পাশ দিয়ে একটা ছেলে লেডিবার্ড সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা ছেলেটাকে আদম-টিজিং করছে, বলছে আমাকে তোর পিছনে চাপাবি? ছেলেটা লজ্জাবতী হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

আমি বাড়ি ফিরি। গ্যাস সিলিন্ডারে জল ভরে আগুন জ্বালাই। আমার বৌ আগের মতই বুদ্ধিমতী আছে, আমাকে এখনও ব্রেনোলিয়া আর ব্রাহ্মী শাক খেতে হয়।
আমি পেঁয়াজ রসুন আর আদা ছাড়িয়ে নিরামিষ মাংস রান্না করতে থাকি। আমার বৌ আগের মতই সুন্দরী, এখনও চুলে তেল মাখে। চুল আঁচড়ে সাদা কালো ক্লিপ লাগায়।

মাংস রান্না শেষ করে আমি বাবা দেবদাস, হরিদাস আর ভূতনাথ কে তৃপ্তি ভরে খাওয়াই। ওরা ঠ্যাং তুলে আশীর্বাদ করে..সারাজীবন খ্যাপামি কর...তার পর তিন জনে একসঙ্গে বলে শুভবিবাহবার্ষিকী।

আমি চেঁচিয়ে বলি জয় বাবা ভূতনাথ, জয় বাবা দেবদাস, জয় বাবা হরিদাস...!