- এই তুমি সিওর যে আমায় আর একটুও ভালবাসো না?
- হুমম।
- আচ্ছা, আমি তবে চাই সব হিসেব চুকোতে, এই নাও তোমার তিনশো চৌত্রিশ টা চুমু, তিন হাজার বত্রিশ বার বলা I Love You।
- এ ভাবে আবার ফেরৎ দেওয়া যায় নাকি?
-  হুমম,যায়। গালটা দাও দেখি.....
-  এক দুই তিন... বাহাত্তর.. দুশো বারো..তিনশো...
- কি করেছো এ সব, গালে দাগ পড়ে যাবে তো!
- পড়ুক।
-  তিনশো ত্রিশ, তিনশো চোত্রিশ।
- আচ্ছা, এবার তুমি গোনো,আমি I Love You রিটার্ন করছি, ভুল গুনবেনা একদম। তাহলে আবার প্রথম থেকে বলতে হবে।
- এক দুই তিন পাঁচশো পঁয়ত্রিশ, সাতশো বিয়াল্লিশ, দুহাজার একশো উনত্রিশ, তিন হাজার তিন হাজার বত্রিশ।
- উফ! কি শান্তি লাগছে, তোকে আর কি বলব!  হাল্কা হলাম।
- তুমি তুই টা এখনও গুলিয়ে ফেলছো?
- গুলিয়ে না রে পাগলি, এটা স্বতঃস্ফূর্ত।
- আচ্ছা তাই। তা,এখন কি করবে? কারও সন্ধান পেলে? এই বয়সে নতুন প্রেম করতে হলে তোমায় অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে, এটা ভেবেই আমার মনটা খারাপ লাগছে।
- পাগলি, এসব ভাবিস না। তোর হবুবর কি যেন করে?
- মিষ্টির দোকান।
- তাহলে একটু সাবধানে থাকিস, মিষ্টির দোকানের লোকেরা খুব মোটা হয়, তোর খুব কষ্ট হবে রে! আমার ভেবেই কেমন খারাপ লাগছে, বেচারা রাতে তোকে নিয়ে কবিতা না শুনিয়ে, ছানার হিসেব করবে, দুধের হিসেবও করবে।
- ধুর!  তুমি শুধু ইয়ার্কি করো!
- তুই মিলিয়ে নিস। আমার মতো খেয়াল কেউ রাখবে না রে পাগলি। এত উৎসাহে শরীরের তিলও কেউ গুনবে না। কোমর পর্যন্ত চার, কোমরের উপরে সাত.... টোটাল এগারো।
- আচ্ছা থাক! অনেক হয়েছে।
- তোর যা ভালোবাসা আমাকে দিয়ে যা। তোর মিষ্টি কর্তা মিষ্টি বানাতে জানে, জানে না রাত্রে কতটা বৃষ্টি হলে ক'মিনিটে একটা চুমু দরকার।
- চুমু আর চুমু। এই তো আমার গাল লাল করে দিলে, তোমার সুগার হয় না কেন?
- পাগলি ওসব বুঝবিনা, ভাল তো আর বাসিস না। বাসলে তোর বাকি জীবনে গালটা লালই থাকত এমন।

আমার শুধু ভয় হয়। কেউ এমন রঙে তোকে আর রাঙাতে পারবেনা...