ঋজুতা হাতরে হাতরে অন্ধকার খোঁজে।পেনসনের টাকায় কেনা চশমার খাঁপ সেলাই মেশিনের পাশ থেকে পড়ে ভেঙে গেছে।কোন মাথা ব্যথা নেই।জীবনটাইতো ভাঙা।চশমা পরলে আলো দেখা যায়,আর খালি চোখে অন্ধকার।
বছরের বিশেষ দিনগুলোতে স্টার জলসার বাংলা সিরিয়াল দেখেই কেটে যাই...'বধূবরণ ' 'বধূ কোন আলো লাগলো চোখে'।শব্দগুলো ঋজুতার কাছে বড্ড স্পর্শককাতর।সিরিয়ালের দেখানো আদর্শ 'বধূ' ও কোনদিন ই হতে পারেনি।আর হতেও চাইনি।কিন্তু আজ 'বিশ্ব বাবা দিবস'এ সন্তানের কাছে আদর্শ বাবার কোন স্মৃতিচিহ্ন হয়তো রাখতে চেয়েছিল।সাদা কোন 'জংলি' ফুলে,চন্দনের টিপ পরানো 'ছবিটা 'দেখিয়ে বলতে চেয়েছিল..হ্যা এটাই তোর বাবা..আর এই লোকটা খারাপ হলেও আজ ও আমার মনে আনাগোনা করে।বিয়ের রাতের "এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যা"থেকে আজ আমি আর 'তোর', এই দুইএর সংসারে এখনো তার উপস্থিতি বর্তমান।ঋজুতার চোখের কোন দিয়ে জল বেড়োতে থাকে,শর্মিষ্ঠা ওড়না দিয়ে মুছে দেয়,মাকে শান্ত করে।
জীবন মানে জি বাংলা!সত্যিই কি তাই?ঋজুতা কোনদিন জীবনের মানে খুঁজতে যায়নি।জীবন মানে দুঃখের পাহাড়। চড়াই উতরাই। প্রত্যেক মূহুর্তে মনে হয়, এই পড়ে গেলাম।জীবন মানে অনেক 'দুঃখ দিয়ে তৈরি 'একটা মালা,যেটা পরে ইহজগৎ থেকে আমাদের পারি দিতে হয় সেই লোকটার কাছে,যে শুকতারাই সুখে কাটাচ্ছে।আর ঋজুতা এখনো সেলাই মেশিনে মাথা রেখে দুঃখের দিন গুনছে।
'সংসার' মানে অনেক দুঃখ,যন্ত্রণা আর আত্মীয়দের স্বার্থপরতার সমষ্টি।স্বার্থপর মানুষ 'হিংস্র বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর '।ঋজুতা দেখে এসেছে কিভাবে সুযোগ সন্ধানীরা মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়।প্রত্যেক মূহুর্তে বাঁচার চেষ্টা করা,আর প্রত্যেক বার ব্যর্থ হওয়া।এ এক ব্যর্থ জীবনের উপাখ্যান, প্রত্যেক পাতাই নিজে বাঁচা আর মেয়েকে বাঁচানোর সংগ্রাম।
অতীত বড় দুঃখময়, আর জীবন থেকে অতীত না বাদ দিতে পারলে শুধুমাত্র কিছু মানুষের প্রতি 'ক্ষোভ' অবশিষ্ট থাকে।ঋজুতা এখন আর অতীত নিয়ে ভাবতে চায়না। চাই শর্মিষ্ঠা মানুষের মত মানুষ হোক আর নীরবে সেইসব অ'মানুষদের' প্রশ্নের উত্তর দিক।
ঋজুতার মাথা ঘুরতে থাকে।মাথা ধরে বসে থাকে।কেও যেন মনের আর মননের ওপার থেকে ডাকতে থাকে...'ঋজুতা ভাল আছো?? '
চল্লিশ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের এ ডাক ভোলার নয়।তবে কি??
'হ্যালুসিনেসন'!
নাকি বিশেষ দিনে 'তাঁর'প্রত্যাগমন??
বছরের বিশেষ দিনগুলোতে স্টার জলসার বাংলা সিরিয়াল দেখেই কেটে যাই...'বধূবরণ ' 'বধূ কোন আলো লাগলো চোখে'।শব্দগুলো ঋজুতার কাছে বড্ড স্পর্শককাতর।সিরিয়ালের দেখানো আদর্শ 'বধূ' ও কোনদিন ই হতে পারেনি।আর হতেও চাইনি।কিন্তু আজ 'বিশ্ব বাবা দিবস'এ সন্তানের কাছে আদর্শ বাবার কোন স্মৃতিচিহ্ন হয়তো রাখতে চেয়েছিল।সাদা কোন 'জংলি' ফুলে,চন্দনের টিপ পরানো 'ছবিটা 'দেখিয়ে বলতে চেয়েছিল..হ্যা এটাই তোর বাবা..আর এই লোকটা খারাপ হলেও আজ ও আমার মনে আনাগোনা করে।বিয়ের রাতের "এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যা"থেকে আজ আমি আর 'তোর', এই দুইএর সংসারে এখনো তার উপস্থিতি বর্তমান।ঋজুতার চোখের কোন দিয়ে জল বেড়োতে থাকে,শর্মিষ্ঠা ওড়না দিয়ে মুছে দেয়,মাকে শান্ত করে।
জীবন মানে জি বাংলা!সত্যিই কি তাই?ঋজুতা কোনদিন জীবনের মানে খুঁজতে যায়নি।জীবন মানে দুঃখের পাহাড়। চড়াই উতরাই। প্রত্যেক মূহুর্তে মনে হয়, এই পড়ে গেলাম।জীবন মানে অনেক 'দুঃখ দিয়ে তৈরি 'একটা মালা,যেটা পরে ইহজগৎ থেকে আমাদের পারি দিতে হয় সেই লোকটার কাছে,যে শুকতারাই সুখে কাটাচ্ছে।আর ঋজুতা এখনো সেলাই মেশিনে মাথা রেখে দুঃখের দিন গুনছে।
'সংসার' মানে অনেক দুঃখ,যন্ত্রণা আর আত্মীয়দের স্বার্থপরতার সমষ্টি।স্বার্থপর মানুষ 'হিংস্র বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর '।ঋজুতা দেখে এসেছে কিভাবে সুযোগ সন্ধানীরা মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়।প্রত্যেক মূহুর্তে বাঁচার চেষ্টা করা,আর প্রত্যেক বার ব্যর্থ হওয়া।এ এক ব্যর্থ জীবনের উপাখ্যান, প্রত্যেক পাতাই নিজে বাঁচা আর মেয়েকে বাঁচানোর সংগ্রাম।
অতীত বড় দুঃখময়, আর জীবন থেকে অতীত না বাদ দিতে পারলে শুধুমাত্র কিছু মানুষের প্রতি 'ক্ষোভ' অবশিষ্ট থাকে।ঋজুতা এখন আর অতীত নিয়ে ভাবতে চায়না। চাই শর্মিষ্ঠা মানুষের মত মানুষ হোক আর নীরবে সেইসব অ'মানুষদের' প্রশ্নের উত্তর দিক।
ঋজুতার মাথা ঘুরতে থাকে।মাথা ধরে বসে থাকে।কেও যেন মনের আর মননের ওপার থেকে ডাকতে থাকে...'ঋজুতা ভাল আছো?? '
চল্লিশ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের এ ডাক ভোলার নয়।তবে কি??
'হ্যালুসিনেসন'!
নাকি বিশেষ দিনে 'তাঁর'প্রত্যাগমন??
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন