#রিক্সাওয়ালার_গল্প
#অঙ্ক১_দৃশ্য১
এই রিক্সা! একটু জোরে চালাও না প্লিজ.......
রিক্সাওয়ালা মাথায় গামছাটা স্বামীজির মত করে বাঁধলো,জীবনের 'কামক্রীড়া ' এখন গামছাই বাঁধা।
২৬ বছরের রিক্সাবালার আজ বিকেলে বোধহয় একটু বেশী ই গাঁজা টানা হয়ে গেছে।বিংশতি প্রীতি পেছনে বসে।
দুলকি চালে রিক্সা চালাচ্ছে আর গুনগুন করে বেসুরে গান গাইছে..
"বারি মাস্তানি হ্যা মেরি মেহেবুবা
পারি ও কি রানি হ্যা,মেরি মেহেবুবা
মেরে জিন্দেগানি হ্যা,মেরি মেহেবুবা ...."
প্রীতি বোধহয় কোন যুবকের সাথে ফোনালাপে ব্যস্ত।এই একটা রিক্সাতেই প্রীতি রোজ ওঠে।তারপর প্রীতি নেমে গেলে রিক্সাওয়ালা ধুপ ধুনো নিয়ে সিটের চারিদিকে পুজো করে।
ভগবান!
রিক্সাওয়ালা তাহলে কি প্রীতিকে ভগবান ভাবে?
প্রীতির পা'টা যেখানে থাকে সেই ধুলো নিয়ে মাথায় মাখে।বুকে পিঠে সব জাগায়।'সাইকো'?হবে হয়তো!
রিক্সা চালিয়ে যে দু দশ টাকা আয় হয়,তাতে শনি মন্দিরে দিয়ে 'প্রীতি যেন ভাল থাকে'সেই প্রার্থনা করে,
আর বকিটা?
বিষন্নতা কাটাতে স্টেশনের ধারে ডুমুর গাছের তলায় বসে "শুদ্ধ জল"পান করে।
প্রীতি কি সব জানে?জানে...অথবা জেনেও না জানার ভান করে থাকে।
মনে মনে পাগলের কর্মকান্ড উপভোগ করে।
রিক্সাওয়ালা রিক্সা থামালো।
এই ভর সন্ধ্যাতে,কি ব্যাপার মতলব খারাপ নাকি??
রিক্সাওয়ালা নিজের সিট থেকে নামলো,বন্য জন্তুর মত প্রীতির দিকে এগিয়ে আসছে।
প্রীতি'কি পুলিশ কে ফোন করবে?
ওমা!রিক্সাওয়ালার চোখে জল!
ম্যাডাম! ম্যাডাম!আজ সন্ধ্যাটা আমার সাথে কাটাননা প্লিজ।আমি আমার সারা বছরের ইনকাম এই ব্যাগে রেখেছি।আপনি সব নিয়ে নিন।শুধু আজ সন্ধ্যাটা আমার সাথে কাটান।কথা দিচ্ছি স্পর্শ করবোনা।
কাতর কন্ঠের শর্তাধীন আবেদন প্রীতির মনের গভীরে স্পর্শ করলো।আজ প্রীতি সুখী তাই সুখের গভীরের শেষ নিশ্বাসে নিজেকে নিঃশেষ করতে চাই.....
#অঙ্ক১_দৃশ্য১
এই রিক্সা! একটু জোরে চালাও না প্লিজ.......
রিক্সাওয়ালা মাথায় গামছাটা স্বামীজির মত করে বাঁধলো,জীবনের 'কামক্রীড়া ' এখন গামছাই বাঁধা।
২৬ বছরের রিক্সাবালার আজ বিকেলে বোধহয় একটু বেশী ই গাঁজা টানা হয়ে গেছে।বিংশতি প্রীতি পেছনে বসে।
দুলকি চালে রিক্সা চালাচ্ছে আর গুনগুন করে বেসুরে গান গাইছে..
"বারি মাস্তানি হ্যা মেরি মেহেবুবা
পারি ও কি রানি হ্যা,মেরি মেহেবুবা
মেরে জিন্দেগানি হ্যা,মেরি মেহেবুবা ...."
প্রীতি বোধহয় কোন যুবকের সাথে ফোনালাপে ব্যস্ত।এই একটা রিক্সাতেই প্রীতি রোজ ওঠে।তারপর প্রীতি নেমে গেলে রিক্সাওয়ালা ধুপ ধুনো নিয়ে সিটের চারিদিকে পুজো করে।
ভগবান!
রিক্সাওয়ালা তাহলে কি প্রীতিকে ভগবান ভাবে?
প্রীতির পা'টা যেখানে থাকে সেই ধুলো নিয়ে মাথায় মাখে।বুকে পিঠে সব জাগায়।'সাইকো'?হবে হয়তো!
রিক্সা চালিয়ে যে দু দশ টাকা আয় হয়,তাতে শনি মন্দিরে দিয়ে 'প্রীতি যেন ভাল থাকে'সেই প্রার্থনা করে,
আর বকিটা?
বিষন্নতা কাটাতে স্টেশনের ধারে ডুমুর গাছের তলায় বসে "শুদ্ধ জল"পান করে।
প্রীতি কি সব জানে?জানে...অথবা জেনেও না জানার ভান করে থাকে।
মনে মনে পাগলের কর্মকান্ড উপভোগ করে।
রিক্সাওয়ালা রিক্সা থামালো।
এই ভর সন্ধ্যাতে,কি ব্যাপার মতলব খারাপ নাকি??
রিক্সাওয়ালা নিজের সিট থেকে নামলো,বন্য জন্তুর মত প্রীতির দিকে এগিয়ে আসছে।
প্রীতি'কি পুলিশ কে ফোন করবে?
ওমা!রিক্সাওয়ালার চোখে জল!
ম্যাডাম! ম্যাডাম!আজ সন্ধ্যাটা আমার সাথে কাটাননা প্লিজ।আমি আমার সারা বছরের ইনকাম এই ব্যাগে রেখেছি।আপনি সব নিয়ে নিন।শুধু আজ সন্ধ্যাটা আমার সাথে কাটান।কথা দিচ্ছি স্পর্শ করবোনা।
কাতর কন্ঠের শর্তাধীন আবেদন প্রীতির মনের গভীরে স্পর্শ করলো।আজ প্রীতি সুখী তাই সুখের গভীরের শেষ নিশ্বাসে নিজেকে নিঃশেষ করতে চাই.....
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন