তখন ক্লাস নাইনে পড়ি।পাড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।আমি বড়াবর ই 'কোন কিছুর জন্যই ভালোনা' প্রকৃতির।মানে ক্রিকেট খেলতে গেলে দুটো পায়ের মাঝখানে বল গড়িয়ে যেত।দেখা গেলো তিন ঘন্টা ধরে ফুটবল খেলছি,অথচ একবারো বল পায়ে ঠেকাতে পারছিনা। বন্ধুরা অনেকে সহানুভূতির সাথে ব্যাপারগুলো গ্রহণ করতো।কিন্তু অনেক সময় হত কি,গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এরম ভুল করলে নিজের ই নিজের প্রতি ঘেন্না হত।
তখন বেশ বোকা ছিলাম।যেমন ধর কেও আমাকে মজার খোরাক বানাচ্ছে,আমি বুঝতে পারছি আমাই নিয়ে হাঁসাহাঁসি করছে।তবু আমি প্রতিবাদ করতাম না।করতাম না বলাটা ভুল হবে।আসোলে আমি জানতাম ই না কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে!
আমার এক বন্ধু ছিল।শারীরিক সক্ষমতাই আমি কোনদিন ই ওর সাথে পারতাম না।তবে ও আমাকে অনেক 'সয্যশক্তি' শিখিয়েছে।যেমন ধর আমি পুকুর পারে খেলছি,হঠাৎ প্যান্টের চেন'টা খোলে আমার গায়ে 'মুতে' দিল।ব্যাপারটা খেলার ছলেই করতো,ও বেশ মজা পেত,কিন্তু আমি বুঝে পেতাম এ সময় আমার কি করা উচিৎ??
পড়াশোনাতে বড়াবর ই খারাপ ছিলাম।বাবা যেদিন পিসি অথবা কাকুর কাছে Tuition এত মাইনে দিতে যেত,আমার মনে এক গভীর আশঙ্কার সৃষ্টি হত,হয়তো কাকু বলবে "পড়াশোনা ঠিকঠাক করে না" অথবা পিসি বলবে "অঙ্ক একদম পারেনা"।
মনে আছে,ক্লাস এইটে 'অমল দা' অঙ্ক পরীক্ষা নিয়েছিল,আমি একশো তে পঁচিশ পেয়েছিলাম, আর বাবার ভয়ে নিজেই বাবার নামে সই করে খাতা জমা দিয়েছিলাম।ধরাও পরে গেছিলাম।
সেদিনের কথা মনে পরলে এখনো গাঁ'টা শিড়শিড় করে ওঠে,বাবা স্টেশন থেকেই গর্জন করতে আসছিল.... সুদীপ...সুদীপ...
আমি তো বোকা ছিলাম,আর বোকাদের মত ভাবতে ভালো লাগতো।বাবা যখন সাইকেলের পিছনের সিটে আমাকে বসিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যেত।আমি চোখ বন্ধ করতাম,অনেকখন পরে চোখ খুলে দেখতাম...আঃ কতদুর পৌঁছে গেছি।
সময় আমাকে ছুতেই পারতোনা!
সেসময় তো আর ফেসবুক ছিল না।আমাদের একটা সন্তোষ কোম্পানির FM রেডিও ছিল।হিন্দি গান গুলো শুনতাম আর ডাইরিতে লিরিক লেখার চেষ্টা করতাম।সকাল ন'টা পর্যন্ত ঠিকঠাক FM আসতো,তারপর ঝিরঝির আওয়াজ হত।মনে আছে আমি বাড়ির ছাদে একটা এন্টেনা লাগিয়েছিলাম,তারপর সেই তাঁড়ের শেষ প্রান্তের সাথে FM এর এন্টেনা টা জুড়ে দিতাম। তবু ঝিরঝির করতো।"জীবনের ফ্রিকোয়েন্সি তো বুঝিনি" আমি ভাবতাম এন্টেনা ঘোরালেই গান শোনা যাবে।
FM শোনা'তো না!যেন জীবনের সাথে সংগ্রাম করা।
আমি বোধহয় কথাবার্তা একটু কম বুঝতাম।মানে কেও একবার কিছু বললে ঠিক বুঝতে পারতাম না।তাকে বেশ কয়েকবার বলতে হত।আর এতে যদি সে রেগে যেত,আমি আর জ্বালাতাম না।যেটুকু বুঝতাম সেটুকুই গোঁজামিল দিয়ে চালিয়ে দিতাম।
জীবনের প্রতিটা মূহুর্তে আমরা নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করি।যত প্রতারিত,ঘৃণিত আর ব্যর্থ হবে,ততই তোমার মানসিক সয্য ক্ষমতা বাড়বে।আমার এখনো মনে আছে আমার সেই "হাবল" টাইপের 'আমি'টা।
Status টা লেখার উদ্দেশ্য এটা নয় যে সবার সামনে নিজেকে আবার হেঁয়ো করা,আমি জানি আমি শক্তিশালী। কিন্তু আমার কিছু বন্ধু আছে,যারা এখন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত,তাদের বলছি...
"The Greater Your Storm, the Brighter your Rainbow"
হেরে যাসনা,দাঁতে দাঁত চেপে আটকে থাক।
তখন বেশ বোকা ছিলাম।যেমন ধর কেও আমাকে মজার খোরাক বানাচ্ছে,আমি বুঝতে পারছি আমাই নিয়ে হাঁসাহাঁসি করছে।তবু আমি প্রতিবাদ করতাম না।করতাম না বলাটা ভুল হবে।আসোলে আমি জানতাম ই না কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে!
আমার এক বন্ধু ছিল।শারীরিক সক্ষমতাই আমি কোনদিন ই ওর সাথে পারতাম না।তবে ও আমাকে অনেক 'সয্যশক্তি' শিখিয়েছে।যেমন ধর আমি পুকুর পারে খেলছি,হঠাৎ প্যান্টের চেন'টা খোলে আমার গায়ে 'মুতে' দিল।ব্যাপারটা খেলার ছলেই করতো,ও বেশ মজা পেত,কিন্তু আমি বুঝে পেতাম এ সময় আমার কি করা উচিৎ??
পড়াশোনাতে বড়াবর ই খারাপ ছিলাম।বাবা যেদিন পিসি অথবা কাকুর কাছে Tuition এত মাইনে দিতে যেত,আমার মনে এক গভীর আশঙ্কার সৃষ্টি হত,হয়তো কাকু বলবে "পড়াশোনা ঠিকঠাক করে না" অথবা পিসি বলবে "অঙ্ক একদম পারেনা"।
মনে আছে,ক্লাস এইটে 'অমল দা' অঙ্ক পরীক্ষা নিয়েছিল,আমি একশো তে পঁচিশ পেয়েছিলাম, আর বাবার ভয়ে নিজেই বাবার নামে সই করে খাতা জমা দিয়েছিলাম।ধরাও পরে গেছিলাম।
সেদিনের কথা মনে পরলে এখনো গাঁ'টা শিড়শিড় করে ওঠে,বাবা স্টেশন থেকেই গর্জন করতে আসছিল.... সুদীপ...সুদীপ...
আমি তো বোকা ছিলাম,আর বোকাদের মত ভাবতে ভালো লাগতো।বাবা যখন সাইকেলের পিছনের সিটে আমাকে বসিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যেত।আমি চোখ বন্ধ করতাম,অনেকখন পরে চোখ খুলে দেখতাম...আঃ কতদুর পৌঁছে গেছি।
সময় আমাকে ছুতেই পারতোনা!
সেসময় তো আর ফেসবুক ছিল না।আমাদের একটা সন্তোষ কোম্পানির FM রেডিও ছিল।হিন্দি গান গুলো শুনতাম আর ডাইরিতে লিরিক লেখার চেষ্টা করতাম।সকাল ন'টা পর্যন্ত ঠিকঠাক FM আসতো,তারপর ঝিরঝির আওয়াজ হত।মনে আছে আমি বাড়ির ছাদে একটা এন্টেনা লাগিয়েছিলাম,তারপর সেই তাঁড়ের শেষ প্রান্তের সাথে FM এর এন্টেনা টা জুড়ে দিতাম। তবু ঝিরঝির করতো।"জীবনের ফ্রিকোয়েন্সি তো বুঝিনি" আমি ভাবতাম এন্টেনা ঘোরালেই গান শোনা যাবে।
FM শোনা'তো না!যেন জীবনের সাথে সংগ্রাম করা।
আমি বোধহয় কথাবার্তা একটু কম বুঝতাম।মানে কেও একবার কিছু বললে ঠিক বুঝতে পারতাম না।তাকে বেশ কয়েকবার বলতে হত।আর এতে যদি সে রেগে যেত,আমি আর জ্বালাতাম না।যেটুকু বুঝতাম সেটুকুই গোঁজামিল দিয়ে চালিয়ে দিতাম।
জীবনের প্রতিটা মূহুর্তে আমরা নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করি।যত প্রতারিত,ঘৃণিত আর ব্যর্থ হবে,ততই তোমার মানসিক সয্য ক্ষমতা বাড়বে।আমার এখনো মনে আছে আমার সেই "হাবল" টাইপের 'আমি'টা।
Status টা লেখার উদ্দেশ্য এটা নয় যে সবার সামনে নিজেকে আবার হেঁয়ো করা,আমি জানি আমি শক্তিশালী। কিন্তু আমার কিছু বন্ধু আছে,যারা এখন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত,তাদের বলছি...
"The Greater Your Storm, the Brighter your Rainbow"
হেরে যাসনা,দাঁতে দাঁত চেপে আটকে থাক।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন