অঙ্কুরের মুখ থেকে আচমকা সিগারেট'টা নিজের মুখে পুরে নেয় অমৃতা।ধোঁয়াময় মন খারাপ গুলো,মেঘের সাথে আকাশে মিশে যায়।ব্লাক ডগের বোতলের ছিপি খোলে।এক ঝাঁক ধোঁয়া অঙ্কুরের মুখে ছুরে মারে,মুখ পুড়িয়ে দেয়।
কলেজ লাইফের শেষে আচমকা দুজনের পরিচয়।
বন্ধুত্বের ছলে অমৃতা কবে যে বন্ধুর ভূপ্রকৃতি পেরিয়ে ভালোবাসার সমতলভূমিতে প্রবেশ করে ঠিক মনে নেই।অঙ্কুর তখনো বেকার।কলেজ শেষ হয়েছে প্রায় দুবছর হতে চললো।এখনো ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বাড়িতে বসে আছে।হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াই কলকাতার ট্রাম বাসে একটা সেলস ম্যান এর চাকরির জন্য।কোন উপায় হয়নি।এমনি এক দিনে,রাস্তার ধারে লিকার চা আর ডিম টোস্ট খেতে খেতে অমৃতা ওর বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় অঙ্কুরের।
"মীট মাই বয়ফ্রেন্ড অঙ্কুর। "
অঙ্কুর তখনো বীজের সুপ্তবস্থায়।পুরো বাক্যটা শোনার পর ওর মনে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছিল।জালে আটকা পরা মাছ আজ যেন ছারা পেয়েছে। ডোবা থেকে বন্যার জলে সে ভেসে যেতে চাই নদীর মোহনাতে।না,মোহে পরে না!ভালোবাসা শব্দটা অঙ্কুরের মনে নিছক লজ্জার উদ্রেক ঘটায়।
তাই কোনদিন বলার সাহস করেনি।কিন্তু অমৃতা সব বুঝতে পারলো কি করে? মেয়েরা সব বুঝতে পারে,যেমন ওকে বুঝতে পারতো ওর দিদি।তবে এতটাও আশা করেনি অঙ্কুর। মেয়েরা আসোলে ছেলেদের অনেক আগেই পরিণত হয়ে যায়।আর অমৃতা... সব বুঝতে পারে।কখন মন খারাপ হয় আর কখন অভিমানের মেঘ মুখ ভার করে থাকে।
এভাবেই অঙ্কুরের মনে অমৃতা'কে নিয়ে ভাবনার জোয়ার আসে।প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারের অভাবে তা আবার ভাঁটা হয়ে নদীতে মিশে যায়।মনের পারে জমে থাকে কিছু নুড়ি বালি আর ঝিনুক। অঙ্কুর ঝিনুক নিয়ে ভাবতে বসে...ওর মন'টা ঝিনুকের মত।বাইরে শক্ত আবরণ আর ভীতরে কোমল ও সরস।অমৃতা'কে নিয়ে ভাবনার অনুভূতি কখনো শক্ত খোলের বাইরে আসেনা।অমৃতা......হয়তো কোন এক মরশুমি ভাঁটফুল,মৌমাছির দল এসে পরাগযোগ ঘটাবে, সময়ের সাথে ঝড়ে পড়বে ঘাঁসের আগায়।তবু মনে হয়.....দুজনে ব্যতিহার উদ্ভিদ, বাঁচার জন্য দুজনের দুজনাকে অনেক প্রয়োজন।
সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।সেদিনের সেলসম্যান এখন কলেজে পড়ায় আর অমৃতা উইপ্রোতে।দুজনে একসাথে থাকে,শুধু বিয়ে'টা বাকি রয়ে গেছে।বিয়েহীন স্বামীস্ত্রী সম্পর্কটা বন্ধুত্ব থেকে এখন ভাইবোন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে।দুজনের মধ্যে এখনো ঝগড়া হলে বালিশ নিয়ে মারামারি করে।
মদের নেশাটা অঙ্কুরের আজ বোধহয় একটু বেশী ই চড়ে গেছে।ভারি ভারি গলাতে অমৃতা'কে বলতে থাকে...
অমৃতা, এভাবে আর চলে না,চলতে পারেনা। "আমাদের সংসার করতে হবে, উই নীড আ চাইল্ড.."
অমৃতা নেশার ঘোরে বলতে থাকে...
"মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্টটা মনের থেকে দুর কর,আমার সামনে হিউজ অপারচুনিটি,রিজিওনাল হেড হওয়ার হাতছানি।"
অঙ্কুর বিকশিত হয়ে এখন মধ্যবয়সী বটের আকার ধারণ করেছে।তবু মনের মেঘে হঠাৎ চোখের কোণায় জল এল...
উত্তর দেয়....
"মধ্যবিত্ত ভাবনা তো সেদিন ই ছেরে এসেছি,মা আর দিদিকে ভুলে যেদিন থেকে তোমার সাথে এই উঁচু পাথরের বাড়িটাতে উঠেছি, এখানে মন নেই,আছে শুধু বড় হওয়ার হাতছানি।"
ওই আওয়াজ শোনা যায়, আবার বোধহয় শুরু হল ওদের ঝগড়া, মারামারি আর হাতাহাতি।এরপর রাত গভীর হবে,দুজন পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে।তারপর সকালে আবার অফিস যাবে।
দুজনেই অনেক গোপনে বেঁচে আছে,কেও যেন বুঝতে না পারে,ওদের মধ্যে অনেক সমস্যা ।
কলেজ লাইফের শেষে আচমকা দুজনের পরিচয়।
বন্ধুত্বের ছলে অমৃতা কবে যে বন্ধুর ভূপ্রকৃতি পেরিয়ে ভালোবাসার সমতলভূমিতে প্রবেশ করে ঠিক মনে নেই।অঙ্কুর তখনো বেকার।কলেজ শেষ হয়েছে প্রায় দুবছর হতে চললো।এখনো ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বাড়িতে বসে আছে।হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াই কলকাতার ট্রাম বাসে একটা সেলস ম্যান এর চাকরির জন্য।কোন উপায় হয়নি।এমনি এক দিনে,রাস্তার ধারে লিকার চা আর ডিম টোস্ট খেতে খেতে অমৃতা ওর বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় অঙ্কুরের।
"মীট মাই বয়ফ্রেন্ড অঙ্কুর। "
অঙ্কুর তখনো বীজের সুপ্তবস্থায়।পুরো বাক্যটা শোনার পর ওর মনে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছিল।জালে আটকা পরা মাছ আজ যেন ছারা পেয়েছে। ডোবা থেকে বন্যার জলে সে ভেসে যেতে চাই নদীর মোহনাতে।না,মোহে পরে না!ভালোবাসা শব্দটা অঙ্কুরের মনে নিছক লজ্জার উদ্রেক ঘটায়।
তাই কোনদিন বলার সাহস করেনি।কিন্তু অমৃতা সব বুঝতে পারলো কি করে? মেয়েরা সব বুঝতে পারে,যেমন ওকে বুঝতে পারতো ওর দিদি।তবে এতটাও আশা করেনি অঙ্কুর। মেয়েরা আসোলে ছেলেদের অনেক আগেই পরিণত হয়ে যায়।আর অমৃতা... সব বুঝতে পারে।কখন মন খারাপ হয় আর কখন অভিমানের মেঘ মুখ ভার করে থাকে।
এভাবেই অঙ্কুরের মনে অমৃতা'কে নিয়ে ভাবনার জোয়ার আসে।প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারের অভাবে তা আবার ভাঁটা হয়ে নদীতে মিশে যায়।মনের পারে জমে থাকে কিছু নুড়ি বালি আর ঝিনুক। অঙ্কুর ঝিনুক নিয়ে ভাবতে বসে...ওর মন'টা ঝিনুকের মত।বাইরে শক্ত আবরণ আর ভীতরে কোমল ও সরস।অমৃতা'কে নিয়ে ভাবনার অনুভূতি কখনো শক্ত খোলের বাইরে আসেনা।অমৃতা......হয়তো কোন এক মরশুমি ভাঁটফুল,মৌমাছির দল এসে পরাগযোগ ঘটাবে, সময়ের সাথে ঝড়ে পড়বে ঘাঁসের আগায়।তবু মনে হয়.....দুজনে ব্যতিহার উদ্ভিদ, বাঁচার জন্য দুজনের দুজনাকে অনেক প্রয়োজন।
সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।সেদিনের সেলসম্যান এখন কলেজে পড়ায় আর অমৃতা উইপ্রোতে।দুজনে একসাথে থাকে,শুধু বিয়ে'টা বাকি রয়ে গেছে।বিয়েহীন স্বামীস্ত্রী সম্পর্কটা বন্ধুত্ব থেকে এখন ভাইবোন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে।দুজনের মধ্যে এখনো ঝগড়া হলে বালিশ নিয়ে মারামারি করে।
মদের নেশাটা অঙ্কুরের আজ বোধহয় একটু বেশী ই চড়ে গেছে।ভারি ভারি গলাতে অমৃতা'কে বলতে থাকে...
অমৃতা, এভাবে আর চলে না,চলতে পারেনা। "আমাদের সংসার করতে হবে, উই নীড আ চাইল্ড.."
অমৃতা নেশার ঘোরে বলতে থাকে...
"মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্টটা মনের থেকে দুর কর,আমার সামনে হিউজ অপারচুনিটি,রিজিওনাল হেড হওয়ার হাতছানি।"
অঙ্কুর বিকশিত হয়ে এখন মধ্যবয়সী বটের আকার ধারণ করেছে।তবু মনের মেঘে হঠাৎ চোখের কোণায় জল এল...
উত্তর দেয়....
"মধ্যবিত্ত ভাবনা তো সেদিন ই ছেরে এসেছি,মা আর দিদিকে ভুলে যেদিন থেকে তোমার সাথে এই উঁচু পাথরের বাড়িটাতে উঠেছি, এখানে মন নেই,আছে শুধু বড় হওয়ার হাতছানি।"
ওই আওয়াজ শোনা যায়, আবার বোধহয় শুরু হল ওদের ঝগড়া, মারামারি আর হাতাহাতি।এরপর রাত গভীর হবে,দুজন পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে।তারপর সকালে আবার অফিস যাবে।
দুজনেই অনেক গোপনে বেঁচে আছে,কেও যেন বুঝতে না পারে,ওদের মধ্যে অনেক সমস্যা ।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন