পাগোলের প্রলাপ ::
নতুন সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে আমাদের এই প্রজন্মের তুলনায় অপেক্ষাকৃত আগের প্রজন্মের মানুষেরা একটু অতিরিক্ত (বিশেষ) ক্ষমতার অধিকারী। আগেকার সম্পর্ক গুলো লোকাল ট্রেনে,বাসে,মন্দিরে,পার্কে,রেশনের ভীর লাইনে এমনকি হাসপাতালের অপেক্ষমাণ লাইনেও তৈরি হত।দাদা কোত্থেকে আসছেন?ট্রেনটা কখন ছারবে?এইভাবে কিছু সাধারণ কথাবার্তা দিয়ে শুরু হত তারপর দেশের বাড়ি,কার্যক্ষেত্র এইসব দিয়ে গভীরে প্রবেশ করতো।এখন সম্পর্ক তৈরির শর্তগুলো শহজ হয়েছে,আর কঠিন হয়েছে সেগুলো সযত্নে বাঁচিয়ে রাখার উপায়।
সম্পর্ক মানে শুধু নারী পুরুষের অবাধ প্রণয়সংক্রান্ত বিষয়কেই নির্দেশ করেনা।এটা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে আমরা যেন কারো কোন ব্যাপারে উৎসাহি নয়!যে যেখানেই আছি একটা নির্দিষ্ট সম্পর্কের বৃত্তে আবদ্ধ।সেই বৃত্তের বাইরে আসা মুশকিল।
ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলা যাক,এই যেমন ধরুন আপনার কার্যক্ষেত্র থেকে যখন বাড়ি ফিরছেন,যেইমাত্র হেডফোন'টা কানে গুঁজলেন আর পাওয়ার ব্যাঙ্কটা মোবাইলের সাথে কানেক্ট করলেন,অমনি গল্প শেষ।মাইন্ড অটোলক।আপনি কারো সাথে কথা বলতে আগ্রহী নন।ইভেন,পরবর্তী দুঘণ্টা আপনার শিড়দাড়া সোজা হবে কিনা এটাও বলা কঠিন!!
অথচ আপনি মোবাইলে যাদের খোজার চেষ্টা করলেন (ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস) তাদের না পেয়ে আপনার ইরিটেশন বাড়লো।অথবা যাদের পিং করলেন তাদের উত্তর না পেয়ে আপনি অপেক্ষা করতে লাগলেন:
"কখন আমার বাজবে টেলিফোন ",এই অপেক্ষা আর সাময়িক উত্তেজনা আপনাকে অচিরেই ধীরে ধীরে বিপদে ফেলছে।যা আপনি ততক্ষণাত উপলব্ধি করতে পারছেন না।অধীকতর ভালো হত আপনি যদি আপনার পাসে বসে থাকা বৃদ্ধ লোকটির সাথে একটু আলাপ করতেন,জানতে চাইতেন,উনার শরীর ভালো আছে কিনা বা এই গরমে একটু জল খাবেন কিনা!!
এটা একটু মানসিক শান্তি দিতো,অন্তত নিজের কাছে নিজেকে স্বচ্ছ লাগতো।।
তবে হ্যা,এখন সোসাল নেটওয়ার্কএর ট্রেন্ড টা একটু পরিবর্তন হয়েছে, এখন এটা শুধু "উনিশ বছরের ছেলের ষোল বছরের মেয়েকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠিয়ে এবং এর তিনদিন পর তাদের রিলেশনশিপ ব্রেকআপে "আটকে নেই,সমাজ সচেতনতামুলক এবং শিক্ষার অগ্রগতিতে এটা বেশ কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এইসব কিছু সত্ত্বেও কোন কোন সময়ে মনে হয়,আমরা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি।ফেলে আসা যে দিনগুলো আমরা ফেলে এসেছি,তা চিরতরেই ফেলে এসেছি।পরবর্তী প্রজন্ম ক্রিকেট খেলবে হোয়াটসএপে,ফুটবল খেলবে হোয়াটসএপে,ঠাকুরমার রূপকথার গল্প শুনবে হোয়াটসএপে।
মাঝে মধ্যে হোয়াটসএপের প্রতি আমার খুব রাগ হয়।দুদিন Account Deactivate করে রাখি।তারপর মনে হয় কেমন যেন একটা 'বিরক্তি ' মিস করছি,আবার ReActive করি।ও বাবা!
দুদিনে দেড়শো ম্যাসেজ,. ১৪৮ টা কপি পেস্ট Shayari আর দুটো গুড মর্নিং উইশ।।তারপর ভাবতে বসি এ আমরা কোথায় চলেছি?????
নতুন সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে আমাদের এই প্রজন্মের তুলনায় অপেক্ষাকৃত আগের প্রজন্মের মানুষেরা একটু অতিরিক্ত (বিশেষ) ক্ষমতার অধিকারী। আগেকার সম্পর্ক গুলো লোকাল ট্রেনে,বাসে,মন্দিরে,পার্কে,রেশনের ভীর লাইনে এমনকি হাসপাতালের অপেক্ষমাণ লাইনেও তৈরি হত।দাদা কোত্থেকে আসছেন?ট্রেনটা কখন ছারবে?এইভাবে কিছু সাধারণ কথাবার্তা দিয়ে শুরু হত তারপর দেশের বাড়ি,কার্যক্ষেত্র এইসব দিয়ে গভীরে প্রবেশ করতো।এখন সম্পর্ক তৈরির শর্তগুলো শহজ হয়েছে,আর কঠিন হয়েছে সেগুলো সযত্নে বাঁচিয়ে রাখার উপায়।
সম্পর্ক মানে শুধু নারী পুরুষের অবাধ প্রণয়সংক্রান্ত বিষয়কেই নির্দেশ করেনা।এটা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে আমরা যেন কারো কোন ব্যাপারে উৎসাহি নয়!যে যেখানেই আছি একটা নির্দিষ্ট সম্পর্কের বৃত্তে আবদ্ধ।সেই বৃত্তের বাইরে আসা মুশকিল।
ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলা যাক,এই যেমন ধরুন আপনার কার্যক্ষেত্র থেকে যখন বাড়ি ফিরছেন,যেইমাত্র হেডফোন'টা কানে গুঁজলেন আর পাওয়ার ব্যাঙ্কটা মোবাইলের সাথে কানেক্ট করলেন,অমনি গল্প শেষ।মাইন্ড অটোলক।আপনি কারো সাথে কথা বলতে আগ্রহী নন।ইভেন,পরবর্তী দুঘণ্টা আপনার শিড়দাড়া সোজা হবে কিনা এটাও বলা কঠিন!!
অথচ আপনি মোবাইলে যাদের খোজার চেষ্টা করলেন (ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস) তাদের না পেয়ে আপনার ইরিটেশন বাড়লো।অথবা যাদের পিং করলেন তাদের উত্তর না পেয়ে আপনি অপেক্ষা করতে লাগলেন:
"কখন আমার বাজবে টেলিফোন ",এই অপেক্ষা আর সাময়িক উত্তেজনা আপনাকে অচিরেই ধীরে ধীরে বিপদে ফেলছে।যা আপনি ততক্ষণাত উপলব্ধি করতে পারছেন না।অধীকতর ভালো হত আপনি যদি আপনার পাসে বসে থাকা বৃদ্ধ লোকটির সাথে একটু আলাপ করতেন,জানতে চাইতেন,উনার শরীর ভালো আছে কিনা বা এই গরমে একটু জল খাবেন কিনা!!
এটা একটু মানসিক শান্তি দিতো,অন্তত নিজের কাছে নিজেকে স্বচ্ছ লাগতো।।
তবে হ্যা,এখন সোসাল নেটওয়ার্কএর ট্রেন্ড টা একটু পরিবর্তন হয়েছে, এখন এটা শুধু "উনিশ বছরের ছেলের ষোল বছরের মেয়েকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠিয়ে এবং এর তিনদিন পর তাদের রিলেশনশিপ ব্রেকআপে "আটকে নেই,সমাজ সচেতনতামুলক এবং শিক্ষার অগ্রগতিতে এটা বেশ কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এইসব কিছু সত্ত্বেও কোন কোন সময়ে মনে হয়,আমরা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি।ফেলে আসা যে দিনগুলো আমরা ফেলে এসেছি,তা চিরতরেই ফেলে এসেছি।পরবর্তী প্রজন্ম ক্রিকেট খেলবে হোয়াটসএপে,ফুটবল খেলবে হোয়াটসএপে,ঠাকুরমার রূপকথার গল্প শুনবে হোয়াটসএপে।
মাঝে মধ্যে হোয়াটসএপের প্রতি আমার খুব রাগ হয়।দুদিন Account Deactivate করে রাখি।তারপর মনে হয় কেমন যেন একটা 'বিরক্তি ' মিস করছি,আবার ReActive করি।ও বাবা!
দুদিনে দেড়শো ম্যাসেজ,. ১৪৮ টা কপি পেস্ট Shayari আর দুটো গুড মর্নিং উইশ।।তারপর ভাবতে বসি এ আমরা কোথায় চলেছি?????
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন