ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলাম, লোকাল ট্রেন অসম্ভব ভীড় আর তার সাথে অসহ্য গরম।গেটের পাশেই একটা বয়স্ক লোক হামু দিয়ে,দুটো হাটু ভাজ করে তার মাঝে থুতনিটা গুজে বসে আছে।হাটুর নীচে লুংগিটা এমনভাবে ঝুলছে যে কোন 'ভদ্রলোক'তার দিকে চেয়ে দেখলে হয়তো অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বেন। সাদাটে জামাটার সাদা রঙ এখন ফিকে হয়ে গেছে।আর পকেটের বাম দিকটা ছেড়া। মানে একটা অংশ মাথা উচু করে বাচার চেষ্টা করছে,আরেকটা অংশ অবনমিত।। হঠাত একজন হকার উঠলো 'আঙুল গজা'বিক্রি করতে।লোকটা হকার টাকে ডেকে কিছুটা কিনলো।আমি ভাবলাম দেখি কি করে?জলের বোতলটা নিয়ে সিট থেকে উঠে অন্যমনস্ক ভাবে গেটের ধারে দাড়িয়ে রইলাম।না কিচ্ছু করছে না...
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হবে এগুলো??
'লাতি খাবে'।।
'লাতির খাওয়া' আমি দেখতে পাইনি,কিন্তু কথাটা বলার সময় তার চোখে যে আত্মতৃপ্তির রেখা দেখতে পেয়েছিলাম, তাতে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি
"তুমি খুশি থাক আমার পানে চেয়ে চেয়ে
তোমার আঙিনাতে বেড়াই যখন গেয়ে গেয়ে ॥
তোমার পরশ আমার মাঝে সুরে সুরে বুকে বাজে,
সেই আনন্দ নাচায় ছন্দ বিশ্বভুবন ছেয়ে ছেয়ে ॥
ফিরে ফিরে চিত্তবীণায় দাও যে নাড়া,
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দেয় সে সাড়া।
তোমার আঁধার তোমার আলো দুই আমারে লাগল ভালো--
আমার হাসি বেড়ায় ভাসি তোমার হাসি বেয়ে বেয়ে ॥"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হবে এগুলো??
'লাতি খাবে'।।
'লাতির খাওয়া' আমি দেখতে পাইনি,কিন্তু কথাটা বলার সময় তার চোখে যে আত্মতৃপ্তির রেখা দেখতে পেয়েছিলাম, তাতে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি
"তুমি খুশি থাক আমার পানে চেয়ে চেয়ে
তোমার আঙিনাতে বেড়াই যখন গেয়ে গেয়ে ॥
তোমার পরশ আমার মাঝে সুরে সুরে বুকে বাজে,
সেই আনন্দ নাচায় ছন্দ বিশ্বভুবন ছেয়ে ছেয়ে ॥
ফিরে ফিরে চিত্তবীণায় দাও যে নাড়া,
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দেয় সে সাড়া।
তোমার আঁধার তোমার আলো দুই আমারে লাগল ভালো--
আমার হাসি বেড়ায় ভাসি তোমার হাসি বেয়ে বেয়ে ॥"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন