অর্ঘ্য সাবান দিয়ে স্নান করছিল।অচেতন মনে সাবানটা বারবার পিছলিয়ে হাত থেকে নীচে পরে যাচ্ছে।আবার কুরিয়ে নিয়ে প্রথমে বাম হাতের গোড়ালি থেকে শুরু করে ক্রমশ উপড়ের দিকে উঠাচ্ছে।ঘাড়ের পিছনে,তারপর একটু গলার সামনেটা আস্তে আস্তে বুকে।সাবান মাখতে মাখতে ওর হঠাৎ খেয়াল হল আজ কি বার!কিছুতেই মনে করতে পারছেনা।দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী আজ বৃহস্পতি অথবা মঙ্গলবার হওয়া উচিৎ।তবে যদি আজ বৃহস্পতিবার হয়,তবেতো অনেক কাজ।দাঁড়ি কাটতে হবে।ট্রিমার টাও খারাপ হয়ে গেছে। সেই ম্যানুয়ালি!দিনে দাঁড়ি কাটলে রাত্রে ওর মাথাটা ঝিম ধরে থাকে।রাত্রে ঘুম আসতে চাইনা।তারপর ভাবলো স্নান শেষ হলে মোবাইলে আজ কি বার দেখে নেবে।যন্ত্রনির্ভর সমাজে আমরা নিজেরাই যান্ত্রিক হয়ে পড়ছি এটা ও উপলব্ধি করতে পারলো।গামছাটা কোমরে জড়িয়ে বাথরুমের দড়জা খুলে বেরিয়ে এল।মুখের সামনে আয়নাটা এনে দেখলো, সত্যি গোফদাঁড়ি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।বাহাতে করে তেলের শিশিটা এগিয়ে, ডান হাতে একটু ঢাললো।না!এটা একটু চ্যাটচ্যাটে লাগছে।ভালো করে শিশিটার দিকে তাকালো।এটাতো ওষুধের শিশি! সব কেমন যেন ভুল হয়ে যাচ্ছে।আজকাল ওর অর্ধচেতন মনকে ও কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারছেনা।সব যেন কেমন গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। চার্জে বসানো মোবাইলে দেখে নেয় আজ কি বার..যাক বাঁচা গেল।আজ মঙ্গলবার। কিছুটা ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল।একটা বিষয়ে ও অবাক হ'ল, মোবাইলে নতুন কোন নোটিফিকেশন নেই।বেশ কিছুক্ষণ ভেবে নেয়।তবে ও কি কারোর ম্যাসেজের অপেক্ষা করছিল,হয়তো হতে পারে।আবার নাও হতে পারে।কাল-ই তো বিকেলে সায়ন্তন বলছিল প্রকৃতপক্ষে আমরা সকলেই নিরাপত্তাহীনতাই ভুগি। তাই,বারবার মোবাইলের ডিসপ্লেতে চোখ যাই,হয়তো কেও ফোন করেছিল অথবা টেক্সট, কিমবা কোন সামাজিক মাধ্যমের অপরিচিত বন্ধু।কারো একটু উদবিগ্নতার আশায় মন ব্যাকুল হয়ে থাকে।পার্কের কয়েকটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে ও একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার করে দেই।ও বলেছিল, দেখ এই মেয়েগুলো আজ ফোনে এত ব্যস্ত কেন?ওরাও একটা নিরাপদ মন খুঁজছে। মোবাইলের জগতে প্রেম আরো শহজ হয়েছে।কমপক্ষে সবার প্রেম করার সুযোগ হয়েছে।সায়ন্তন এক বৌদির সাথে ফোনে কথা বলে,সায়ন্তন অর্ঘ্যকে ওর ব্যাপারে বলেছিল।কিভাবে মাধ্যমিকে অংকে ৮০ পাওয়া একটা মেয়ের জীবন ধ্বংস হতে বসেছে।তিন বছরের এক মেয়ে নিয়ে চার দেওয়ালে আবদ্ধ বৌদির জীবন।বয়সের সাথে সাথে ওজন বাড়াই বৌদির জীবন এখন নরক।দাদা কোন খেয়াল রাখেনা।বৌদি মাঝে মধ্যে সায়ন্তনের কাছে পালিয়ে আসতে চাই।সায়ন্তন ওকে বোঝায়,এটা পাপ।বৌদি শব্দটার প্রতি সায়ন্তনের একটু আক্ষেপ। ও অর্ঘ্যকে বলেছে,ওর নাম ধরে ডাকতে। সায়ন্তন ও নাম ধরেই ডাকে।'মিতালি'।বাংলা শব্দভাণ্ডারের বৌদি শব্দটাই কেমন যেন অনিয়ত সম্পর্কের বার্তাবাহক।
এ'সব কথায় জানে অর্ঘ্য, উল্টে প্রশ্ন করে :
আচ্ছা তুই যে বৌদির সাথে কথা বলিস এটাও কি নিরাপত্তাহীনতা থেকে?
সায়ন্তন জানায়,ও ভোগে নিরাপত্তাহীনতাই, আর আমি জাস্ট ওকে একটু সাপোর্ট করি মাত্র।আমি মনে করি কেও যদি আমার সাথে কথা বলে একটু ভালো থাকে,তাহলে আর সমস্যা কোথায়??
কিন্ত সম্পর্কটা তো লিগাল নয়??
লিগাল ইল্লিগালের প্রশ্ন না।ভালো রাখার ব্যাপার।
সায়ন্তন উল্টে অর্ঘ্যকে প্রশ্ন করে;তুই যে নতুন সম্পর্কের কথা ভাবছিস,ভাব তোদের পরিণতি বিয়োগান্তক হল।সেই শকটা কি সহ্য করতে পারবি?যদি ওকে পাওয়ার আগেই মুক্ত করতে পারিস তবেই সম্পর্কে এগো,নতুবা নয়।
মনে আছে?
...Loved me enough to Let me Go...
মাত্র কয়েক মিনিটে অর্ঘ্য তার মনকে নিয়ে অনেক দুর থেকে ঘুরে এল।চোখটা একটু ভারি ভারি লাগছে। ঘুম আসছে না। দুপুরে ওর ঘুমানোর অভ্যাস নেই।তা সত্ত্বেও ও গা'টা একটু গড়িয়ে নিতে চাইলো। গত কয়েকটা রাত ঠিকঠাক ঘুম হয়নি।দীর্ঘ রাত কেটেছে চোখের উপর মোবাইলের ডিসপ্লে রেখে।সেই আওয়াজ.... কেও যেন শিষ দিয়ে কারোর আগমনের বার্তা দিচ্ছে।সায়ন্তন ওকে বারবার বিবেকানন্দ পড়তে বলে।বলে নিজেকে জানতে গেলে আগে বিবেকানন্দ পড়ার দরকার। অর্ঘ্যর এসব আধ্যাত্মিক কথায় বিশ্বাস হয়না।ওর মনে প্রশ্ন জাগে পৃথিবীর সব প্রেমিক কি প্রেম করে তাদের বান্ধবীকে মুক্ত করার জন্য?কোথাও যেন বাস্তব আর আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে একটা ফাড়াক লক্ষ্য করা যায়।
আসোলে ধর্মগ্রন্থের থিওরি কখনো প্র্যাকটিকাল লাইফের সাথে মেলানো যায়না।দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এত সমস্যা,কখনো মনকে, কখনো শরীরকে কখনো আত্মাকে নিয়ন্ত্রক করার ব্যর্থ প্রয়াস আমরা করে থাকি..তবে সফল হতে পারিকি??সুপারহিউম্যান ছারা মনে হয়না কেও-ই আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে জানে।গত রাত্রে অর্ঘ্য-ও পারেনি। অযথায় একটা সম্পর্কে সেমিকোলন বসিয়ে যে ভুল করেছে তার জন্য ও লজ্জিত। নিজের প্রতি নিজের ধিক্কার আর অনুশোচনাবোধ ওকে বারবার চিন্তার গভীরে নিয়ে যাচ্ছে। ওর দুতিন বছর আগের কথা মনে পড়ে। তখন সম্পর্ক নিয়ে ভাববার সময় ছিলনা।টেকনোব্লগ,এন্ড্রোয়েড রুটিং,অপেরামিনি মডিফিকেশন, কাস্টম রম এই সব-ই ওর লাইফ ছিল।তখন অপ্রেমের কথা মাথায় আসতো, প্রেমের নয়।কোনরকমে মনকে আশ্বস্ত করে।দুপুর পেরিয়ে বিকেল গড়িয়ে রাত।কোন রকমে এই রাতটা কাটাতে পারলে কাল থেকে আবার নতুন করে ভাববে।নতুন ভোর নতুন সূর্য আর একটা নতুন দিন।না!এই নিরাপত্তাহীনতা আর এই অন্তহীন অপেক্ষা আর নয়।বিছানার চাদর ঘেঁষে মধ্যমাঙ্গুলি মোবাইলটার মাঝখানটা সজোরে চালনা করে।মোবাইলটা গড়িয়ে নীচে পড়ে যায়।হঠাৎ-ই মোবাইল বেজে ওঠে,হয়তো নতুন কোন নোটিফিকেশন এসেছে অথবা শিষ দিয়ে নতুন কারো বার্তাবহন করছে।।।
এ'সব কথায় জানে অর্ঘ্য, উল্টে প্রশ্ন করে :
আচ্ছা তুই যে বৌদির সাথে কথা বলিস এটাও কি নিরাপত্তাহীনতা থেকে?
সায়ন্তন জানায়,ও ভোগে নিরাপত্তাহীনতাই, আর আমি জাস্ট ওকে একটু সাপোর্ট করি মাত্র।আমি মনে করি কেও যদি আমার সাথে কথা বলে একটু ভালো থাকে,তাহলে আর সমস্যা কোথায়??
কিন্ত সম্পর্কটা তো লিগাল নয়??
লিগাল ইল্লিগালের প্রশ্ন না।ভালো রাখার ব্যাপার।
সায়ন্তন উল্টে অর্ঘ্যকে প্রশ্ন করে;তুই যে নতুন সম্পর্কের কথা ভাবছিস,ভাব তোদের পরিণতি বিয়োগান্তক হল।সেই শকটা কি সহ্য করতে পারবি?যদি ওকে পাওয়ার আগেই মুক্ত করতে পারিস তবেই সম্পর্কে এগো,নতুবা নয়।
মনে আছে?
...Loved me enough to Let me Go...
মাত্র কয়েক মিনিটে অর্ঘ্য তার মনকে নিয়ে অনেক দুর থেকে ঘুরে এল।চোখটা একটু ভারি ভারি লাগছে। ঘুম আসছে না। দুপুরে ওর ঘুমানোর অভ্যাস নেই।তা সত্ত্বেও ও গা'টা একটু গড়িয়ে নিতে চাইলো। গত কয়েকটা রাত ঠিকঠাক ঘুম হয়নি।দীর্ঘ রাত কেটেছে চোখের উপর মোবাইলের ডিসপ্লে রেখে।সেই আওয়াজ.... কেও যেন শিষ দিয়ে কারোর আগমনের বার্তা দিচ্ছে।সায়ন্তন ওকে বারবার বিবেকানন্দ পড়তে বলে।বলে নিজেকে জানতে গেলে আগে বিবেকানন্দ পড়ার দরকার। অর্ঘ্যর এসব আধ্যাত্মিক কথায় বিশ্বাস হয়না।ওর মনে প্রশ্ন জাগে পৃথিবীর সব প্রেমিক কি প্রেম করে তাদের বান্ধবীকে মুক্ত করার জন্য?কোথাও যেন বাস্তব আর আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে একটা ফাড়াক লক্ষ্য করা যায়।
আসোলে ধর্মগ্রন্থের থিওরি কখনো প্র্যাকটিকাল লাইফের সাথে মেলানো যায়না।দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এত সমস্যা,কখনো মনকে, কখনো শরীরকে কখনো আত্মাকে নিয়ন্ত্রক করার ব্যর্থ প্রয়াস আমরা করে থাকি..তবে সফল হতে পারিকি??সুপারহিউম্যান ছারা মনে হয়না কেও-ই আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে জানে।গত রাত্রে অর্ঘ্য-ও পারেনি। অযথায় একটা সম্পর্কে সেমিকোলন বসিয়ে যে ভুল করেছে তার জন্য ও লজ্জিত। নিজের প্রতি নিজের ধিক্কার আর অনুশোচনাবোধ ওকে বারবার চিন্তার গভীরে নিয়ে যাচ্ছে। ওর দুতিন বছর আগের কথা মনে পড়ে। তখন সম্পর্ক নিয়ে ভাববার সময় ছিলনা।টেকনোব্লগ,এন্ড্রোয়েড রুটিং,অপেরামিনি মডিফিকেশন, কাস্টম রম এই সব-ই ওর লাইফ ছিল।তখন অপ্রেমের কথা মাথায় আসতো, প্রেমের নয়।কোনরকমে মনকে আশ্বস্ত করে।দুপুর পেরিয়ে বিকেল গড়িয়ে রাত।কোন রকমে এই রাতটা কাটাতে পারলে কাল থেকে আবার নতুন করে ভাববে।নতুন ভোর নতুন সূর্য আর একটা নতুন দিন।না!এই নিরাপত্তাহীনতা আর এই অন্তহীন অপেক্ষা আর নয়।বিছানার চাদর ঘেঁষে মধ্যমাঙ্গুলি মোবাইলটার মাঝখানটা সজোরে চালনা করে।মোবাইলটা গড়িয়ে নীচে পড়ে যায়।হঠাৎ-ই মোবাইল বেজে ওঠে,হয়তো নতুন কোন নোটিফিকেশন এসেছে অথবা শিষ দিয়ে নতুন কারো বার্তাবহন করছে।।।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন