বাড়ির পাশের এক জেঠিমা প্রায়ই আমার বিকেলের হাঁটাতে সঙ্গ দিত। সুগার আর আর হাই ব্ল্যাড প্রেশার নিয়ে যখন পিচঢালাই রাস্তাটার কিনারে দাঁড়িয়ে থাকতো আর আমাকে দেখেই মৃদু হাসতো, বুঝতাম এই হাসিতে অনেক অপেক্ষা লুকিয়ে আছে...। বছরভরে স্বামীর জন্য অপেক্ষা, দুর্গা পূজোতে তার একমাত্র ছেলের বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা, আর এই সন্ধ্যার কিনারে আমার জন্য অপেক্ষা। তারপর একসঙ্গে পা মেপে হাঁটতাম আমরা.. এক পা দু-পা করে অনেকটা দূর....

মাস তিনেক হল জেঠিমা মারা গেছেন। এখন জেঠু রিটায়ার্ড করে সারাদিন বাড়িতেই বসে থাকেন। কিছুদিন আগে ওই একই জায়গায় জেঠুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললাম...
'আপনি বিকেলে একটু হাঁটতে পারেন তো? এতে শরীর মন দুটোই ভাল থাকবে, সঙ্গে নিজেকে একাও লাগবে না এতটা... '

আজ দুজনে একসঙ্গে হাঁটলাম কিছুদূর। বারবার ভাবছিলাম সব বাঁধা সত্ত্বেও জীবনের অনেকটা সময় দুজনের একসঙ্গে থাকাটা খুব প্রয়োজন...কিছুটা দূর একসঙ্গে হাঁটা প্রয়োজন.... না জানি কবে সময় ফুরিয়ে যায়!.....