রণিতকে আমরা কে.সি বলে ডাকতাম... কে.সি কিছুটা বি.সির মত, তবে কে ফর খেপা। আমরা কৃষ্ণনগর থেকে কল্যাণী যেতাম টিকিট ছাড়া... রণিত রোজ টিকিট কাটত... একদিন বললাম আরে কে.সি তুই তো আর টাটা বিরলার ছেলে নোস... টিউশন করে নিজের পড়াশোনা চালাস, তাও রোজ টিকিট কাটিস কেন? টাকাটা জমালে তো টিউশন থেকে ফেরার পথে একটা পকোরার সাথে এক জগ জল খেয়ে পেট ভরাতে পারিস!

- আমরা দেশের ভবিষ্যৎ...  রেলের ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আমার টিকিট কাটাটা খুব জরুরি...  এই টাকা দিয়েই তো ডবল লাইন হবে, রেল আধুনিকীকরণ হবে, যাত্রী সুরক্ষার কথা ভাবা হবে, স্বয়ংক্রিয় মেশিন কেনা হবে....

সেদিন ঠাশ করে আচমকা একটা চর খেয়েছিলাম। হাতটা কার বুঝতে পারিনি। ডান গালে কিছুক্ষণ হাত বোলানোর পর, ওর মোবাইলে শেভ করে রাখা আমার নামটা রিনেম করে বি.সি রেখেছিলাম।