যে বাড়িটাতে আমি থাকি তার নাম শর্মিষ্ঠা। শর্মিষ্ঠা আমার বৌয়ের নাম, আমরা সাতবছর সংসার করছি।
মায়ের মৃত্যুর পর শর্মিষ্ঠা স্বেচ্ছায় আমায় বিয়ে করে, আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিষ্কাম এবং আদর্শনিষ্ঠ বলা যেতে পারে।
শর্মিষ্ঠার জীবন ব্যস্ততাই পরিপূর্ণ। বাড়ির কাজকর্ম আমাকেই করতে হয়... এই রান্নাবান্না, বাসন মাজা, বাজারহাট, এমনকি সকালের চা টাও।
শর্মিষ্ঠা কখন কোথায় যায়, কে ওকে বাড়ি ছেড়ে দিতে আসে, বিদায় জানানোর সময় একে অপরের সঙ্গে কিভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়... তা আমার জানার প্রয়োজন নেই..।
মুদি দোকানের যে মাসিক হিসেবপত্রের খাতা আছে তার উপরে শর্মিষ্ঠার নাম লেখা। ঐ খাতা নিয়ে আমাকে বাজারে যেতে হয়... চাল, নুন, পাঁচফোড়ন, কালোজিরে, গরমমসলা আর সকালের চা,চিনি, আমূল দুধ.. কতটা জিনিস ফুরলো তার হিসেব আমাকে রাখতে হয়।
এই পাড়ার লোকজন চোখের আড়ালে আমাকে শর্মিষ্ঠার বর বলে ডাকে, তার প্রমাণ অনেকবার পেয়েছি।
বাড়িটা শর্মিষ্ঠার হলেও এর প্রত্যেকটা কাঠ, পাটাতন আর কড়িবর্গা আমার আত্মীয়। শর্মিষ্ঠা যখন বাড়ি থাকে না, আমি শান্তিতে ওদের সঙ্গে কথা বলি....
"ক্যামন আছো? মন খারাপ? আমায় ভালোবাসো?" ওরাই আমার শর্মিষ্ঠা।
এই বাড়িটাতে একটা ফুটফুটে বাচ্চা এলে মন্দ হয়না.... আমার না হলেও অন্য কারও হোক, তবে শর্মিষ্ঠার হোক।
শর্মিষ্ঠা যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে, ওর গায়ের উপর হাত রাখার চেষ্টা করেছি বারকয়েক, প্রতিবারই শর্মিষ্ঠা বিরক্ত হয়ে হাত সরিয়ে নেয়।
বিয়ের দিনই শর্মিষ্ঠা প্রমিস করেছিল আমায় ছেড়ে কোথাও যাবেনা, অথচ নামটা ছাড়া আজ শর্মিষ্ঠার কোনও অস্তিত্ব এ বাড়িতে নেই।
মায়ের মৃত্যুর পর শর্মিষ্ঠা স্বেচ্ছায় আমায় বিয়ে করে, আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিষ্কাম এবং আদর্শনিষ্ঠ বলা যেতে পারে।
শর্মিষ্ঠার জীবন ব্যস্ততাই পরিপূর্ণ। বাড়ির কাজকর্ম আমাকেই করতে হয়... এই রান্নাবান্না, বাসন মাজা, বাজারহাট, এমনকি সকালের চা টাও।
শর্মিষ্ঠা কখন কোথায় যায়, কে ওকে বাড়ি ছেড়ে দিতে আসে, বিদায় জানানোর সময় একে অপরের সঙ্গে কিভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়... তা আমার জানার প্রয়োজন নেই..।
মুদি দোকানের যে মাসিক হিসেবপত্রের খাতা আছে তার উপরে শর্মিষ্ঠার নাম লেখা। ঐ খাতা নিয়ে আমাকে বাজারে যেতে হয়... চাল, নুন, পাঁচফোড়ন, কালোজিরে, গরমমসলা আর সকালের চা,চিনি, আমূল দুধ.. কতটা জিনিস ফুরলো তার হিসেব আমাকে রাখতে হয়।
এই পাড়ার লোকজন চোখের আড়ালে আমাকে শর্মিষ্ঠার বর বলে ডাকে, তার প্রমাণ অনেকবার পেয়েছি।
বাড়িটা শর্মিষ্ঠার হলেও এর প্রত্যেকটা কাঠ, পাটাতন আর কড়িবর্গা আমার আত্মীয়। শর্মিষ্ঠা যখন বাড়ি থাকে না, আমি শান্তিতে ওদের সঙ্গে কথা বলি....
"ক্যামন আছো? মন খারাপ? আমায় ভালোবাসো?" ওরাই আমার শর্মিষ্ঠা।
এই বাড়িটাতে একটা ফুটফুটে বাচ্চা এলে মন্দ হয়না.... আমার না হলেও অন্য কারও হোক, তবে শর্মিষ্ঠার হোক।
শর্মিষ্ঠা যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে, ওর গায়ের উপর হাত রাখার চেষ্টা করেছি বারকয়েক, প্রতিবারই শর্মিষ্ঠা বিরক্ত হয়ে হাত সরিয়ে নেয়।
বিয়ের দিনই শর্মিষ্ঠা প্রমিস করেছিল আমায় ছেড়ে কোথাও যাবেনা, অথচ নামটা ছাড়া আজ শর্মিষ্ঠার কোনও অস্তিত্ব এ বাড়িতে নেই।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন