"কারেঙ্গে দারু পার.....রি, কারেঙ্গে দারু পা......রি"
- ভাই পঞ্চাশটা টাকা দেতো..
- কেন ভাই! এখন তো পুজো নেই কোনো! খামোখা চাঁদা দিতে যাব কেন?
- পটাশপুরের নকুল দাদুকে চিনিস?
- গতবারের বাস দুর্ঘটনাতে মারা গেল কার্তিকের বাবা না!
- হুমম।
- তো কী হয়েছে?
- এমনিতেই স্ত্রীপুত্রের অকাল বিয়োগে শোকার্ত ছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাবা-মা'র ফেলে যাওয়া সন্তানটার ক্যান্সার ধরা পড়লো। বাড়ির পাশের পাটের জমিটা বেঁচে দিল একমাত্র নাতির চিকিৎসার জন্য। লোকটার আর যে কেউ ছিলনা, বংশের প্রদীপটাও নিভতে বসেছে। সেই মুহূর্তে কী করা উচিত ঠিক ঠাহর করতে পারছিলেন না।
- তারপর.........
- চোখের সামনে কাউকে মরতে দেখা যায় বল? মারা যাবে জেনেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানোর চেষ্টা করতে পিছপা হন নি। এই গরীব মানুষের রোগ হলে ডাইরেক্ট মরে যাওয়াই ভাল, জিইয়ে রেখে সক্কলকে মেরে যায়।
- তারপর কী হল বল না!
- তারপর আর কী! দেড়মাস মত বেঁচেছিল, বেসরকারি হাসপাতালের খরচা ভরতে ভরতে এক সময় পথে এসে দাঁড়াল। বাড়িটাও আর নেই, কাওকে বিক্রি করে দিয়েছে।
- মারা গেল? দাক্তার বাঁচাতে পারল না?
- না ভাই। এখন বেচারার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। সাদা ভ্রু-যুগল ধূসর বর্ণ ধারণ করে মনে হচ্ছে শেষ সময়ের সিগন্যাল দিচ্ছে। নিঃস্পৃহ মুখের দিকে তাকালে কেমন যেন মনে হয় জীবনের সমস্ত ট্রাজেডি এখানে এসে মিলিত হয়েছে, শরীরের নীল চোখে ঈশত আলো দেখা যায়, সন্ধ্যার শেষ আলো। পাঁজরার হার গুলি গোনা যায়। উনিও আর বেশিদিন বাঁঁচবে নারে!
- তা তোরা কী উনার চিকিৎসা করাবি বলে ঠিক করলি?
- তা তো পরে। এর আগে যা দরকার তা হল উনার নাতির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা। পাড়ার লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে হবে।
- নিমন্ত্রণ! বলিস কী!
- হ্যাঁ ভাই। শাস্ত্রের নিয়ম।
- সে তো আনন্দের অনুষ্ঠানে খাওয়ানোই যায়, কিন্তু এরকম এক দুঃখময়, বেদনাদায়ক পরিস্থিতেও!
- হ্যাঁ ভাই। শাস্ত্র অমান্য করলে অমঙ্গল হয়।
- আচ্ছা! উনার আরো কোনও অমঙ্গল বাকি আছে কী?
- ছাড় না.....
- এনে তোর পঞ্চাশ টাকা, বাই দা ওয়ে! এমন ভাবে চাইলি যেন মাল খেতে যাবি!
- ভাই, এটা এই জেনারেশনের বৈশিষ্ট্য। কেউ বোঝে কেউ বোঝেনা।
- শ্রাদ্ধ-শান্তি হয়ে গেলে, লোকটাকে দাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করিস।
- তার কী আর প্রয়োজন পড়বে!
...................................
- ভাই পঞ্চাশটা টাকা দেতো..
- কেন ভাই! এখন তো পুজো নেই কোনো! খামোখা চাঁদা দিতে যাব কেন?
- পটাশপুরের নকুল দাদুকে চিনিস?
- গতবারের বাস দুর্ঘটনাতে মারা গেল কার্তিকের বাবা না!
- হুমম।
- তো কী হয়েছে?
- এমনিতেই স্ত্রীপুত্রের অকাল বিয়োগে শোকার্ত ছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাবা-মা'র ফেলে যাওয়া সন্তানটার ক্যান্সার ধরা পড়লো। বাড়ির পাশের পাটের জমিটা বেঁচে দিল একমাত্র নাতির চিকিৎসার জন্য। লোকটার আর যে কেউ ছিলনা, বংশের প্রদীপটাও নিভতে বসেছে। সেই মুহূর্তে কী করা উচিত ঠিক ঠাহর করতে পারছিলেন না।
- তারপর.........
- চোখের সামনে কাউকে মরতে দেখা যায় বল? মারা যাবে জেনেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানোর চেষ্টা করতে পিছপা হন নি। এই গরীব মানুষের রোগ হলে ডাইরেক্ট মরে যাওয়াই ভাল, জিইয়ে রেখে সক্কলকে মেরে যায়।
- তারপর কী হল বল না!
- তারপর আর কী! দেড়মাস মত বেঁচেছিল, বেসরকারি হাসপাতালের খরচা ভরতে ভরতে এক সময় পথে এসে দাঁড়াল। বাড়িটাও আর নেই, কাওকে বিক্রি করে দিয়েছে।
- মারা গেল? দাক্তার বাঁচাতে পারল না?
- না ভাই। এখন বেচারার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। সাদা ভ্রু-যুগল ধূসর বর্ণ ধারণ করে মনে হচ্ছে শেষ সময়ের সিগন্যাল দিচ্ছে। নিঃস্পৃহ মুখের দিকে তাকালে কেমন যেন মনে হয় জীবনের সমস্ত ট্রাজেডি এখানে এসে মিলিত হয়েছে, শরীরের নীল চোখে ঈশত আলো দেখা যায়, সন্ধ্যার শেষ আলো। পাঁজরার হার গুলি গোনা যায়। উনিও আর বেশিদিন বাঁঁচবে নারে!
- তা তোরা কী উনার চিকিৎসা করাবি বলে ঠিক করলি?
- তা তো পরে। এর আগে যা দরকার তা হল উনার নাতির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা। পাড়ার লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে হবে।
- নিমন্ত্রণ! বলিস কী!
- হ্যাঁ ভাই। শাস্ত্রের নিয়ম।
- সে তো আনন্দের অনুষ্ঠানে খাওয়ানোই যায়, কিন্তু এরকম এক দুঃখময়, বেদনাদায়ক পরিস্থিতেও!
- হ্যাঁ ভাই। শাস্ত্র অমান্য করলে অমঙ্গল হয়।
- আচ্ছা! উনার আরো কোনও অমঙ্গল বাকি আছে কী?
- ছাড় না.....
- এনে তোর পঞ্চাশ টাকা, বাই দা ওয়ে! এমন ভাবে চাইলি যেন মাল খেতে যাবি!
- ভাই, এটা এই জেনারেশনের বৈশিষ্ট্য। কেউ বোঝে কেউ বোঝেনা।
- শ্রাদ্ধ-শান্তি হয়ে গেলে, লোকটাকে দাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করিস।
- তার কী আর প্রয়োজন পড়বে!
...................................
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন