#লাইভ_দেব_অন_ঘন্টা_খানেক_সঙ্গে_সুমন

- নমস্কার! কে? সুমনবাবু? আমি দীপক অধীকারি বলছি।
হ্যালো! হ্যালো! ঘন্টাখানেক সঙ্গে সুমন?
আর বলবেন না সুমনবাবু, গতরাতে বিজয়ার খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি অম্বলের ট্যাবলেট খুঁজছিলাম। এমনিতেই রাতের অন্ধকার তার উপর লোডশেডিং ছিল। টেবিল হাতরে হাতরে ওষুধের প্যাকেট একটা খুঁজে পাই কিন্তু কী ওষুধ তা আর না বুঝেই গিলে নিয়। তারপর থেকে এক কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে।
ব্যাপারটা একটু খুলে বলি। কদিন আগেই শুভশ্রী হোয়াট্অ্যাপে আমায় একটা মেসেজ ফরোয়ার্ড করে। রকেট ক্যাপসুলের বিজ্ঞাপন। তাতে বলা হয়, মেসেজ পাওয়ার বারো ঘন্টার মধ্যে রকেট ক্যাপসুল কিনে খেলে ভাল, না খেলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আমার নিকটাত্মীয় মারা যাবে অথবা কেরিয়ারের বারোটা বাজবে। এমতাবস্থায় কী করি!
এমনিতেই স্যার কেরিয়ার নিয়ে চাপে আছি। আমার হলিউডে অ্যাক্টিং করার বড় শখ, নিজের পরিচিতি বাড়াতে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিদেশ যাত্রা করেছি, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বেশ কয়েকবার ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি 'এগিয়ে দে, এগিয়ে দে'। যাইহোক, এই অবস্থায় আমি আর চাইনা কেরিয়ার নষ্ট করতে। তাই রকেট ক্যাপসুল কিনে টেবিলে রেখেছিলাম।
সুমনবাবু, বিশ্বাস করবেন না, তার পর থেকে আমাকে শুধু মেঝেতে শুতে হচ্ছে। ক্যাপসুল খাওয়ার পর থেকে যেই খাটে শুচ্ছি, অমনি খটাং করে আওয়াজ হয়ে খাট ভেঙে পড়ছে। বিশ্বাস করবেন না, লোহার খাটও নিস্তার পাচ্ছে না। আমি নিজে সোজা হয়ে চুপচাপ বসে থাকলেও মাজা ঠিক থাকছে না। কন্সট্যান্টলি তা নড়তে থাকছে। আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না কী করব! ওদিকে কৌশিক গাঙ্গুলির নতুন ছবিতে স্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থাতে স্যুটিং করলে সেন্সরবোর্ড এর অথেন্টিকেশন পাওয়া যাবেনা, তার উপর আবার ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম বর্ণ লাগিয়ে তবেই ছবি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা। কী করি বলুন তো?

- দীপক বাবু, আপনি কী সিওর এটা কোনও বিরোধী দলের চক্রান্ত নয়! শুভশ্রী এই মেসেজ প্ল্যান করে পাঠিয়েছে কি না! অম্বলের ট্যাবলেটের জাগায় রকেট ক্যাপসুল কেউ চক্রান্ত করে রেখেছে কিনা? লোডশেডিং-ই বা ওই সময়ে কেন ঘটলো?
জানতে হলে দেখতে থাকুন ঘন্টাখানেক সঙ্গে সুমন পাওয়ার্ড বাই 'রকেট ক্যাপসুল'।

© Sudip Sen
27/Oct