- এবার একটা সত্যি কথা বলবি?
- হুমম... বলার মত হলে নিশ্চয় বলব..।
- তুই কী কোনও তান্ত্রিক বাবার কাছে গেছিলি আমাকে বস করতে?
- না। তুই তো অটোমেটিক এমন হয়ে গেলি..।
- সীতাভক্ত রাম? নাকি ভোদাফোনের কুত্তা?
- ইশ! কুত্তা টা কী কিউট! ওকে পেলে তোকে ছেড়ে দেব..
- সত্যি বলনা... তুই কোথায় কোথায় উড়ে উড়ে বেড়াস, কোন দাদার সঙ্গে কুচকাওয়াজে ফুচকা খাস, পিসতুতো ভাইয়ের হেল্পি নিয়ে প্রিন্সেপ ঘাটে সেল্ফি তুলিস, আর গড়েরমাঠে নাইস ক্রিম মেখে আইসক্রিম ঠোঁটে নিস... ফেসবুকে তোর ছবি দেখে অ্যাক্টিভিটি চেক করতে করতে নিজেকে তোর বাবার বিনে পয়সার সিকিউরিটি গার্ড মনে হয়।
- এত সন্দেহ করিস ক্যানো? আসলে সন্দেহ না, তুই আমাকে নিয়ে বড্ড বেশি ভাবিস...। তুই এক কাজ কর.. জিমে ভর্তি হয়ে যা.. একটা টার্গেট কমপ্লিট করার চেষ্টা কর... না পারলেই ভাববি আমার সঙ্গে অন্য কোনও ছেলের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে.... আর এই টার্গেট অ্যাচিভ করতে পারলেই আমি তোর..। এতে আর যাইহোক আমার বাবা বডিগার্ড হিসেবে তোকেই রাখতে চাইবে...।
- আমি তোর! থুড়ি তুই আমার! তাহলে চল বিয়ে করে ফেলি। রাস্তায় কাউকে ধরে তোর বাবা বানিয়ে নেব... মন্দিরে বিয়ে।
- মন্দিরে! ধ্যাত! পালিয়ে গেলে মায়ের সব গয়নাগুলো আমার বোন পাবে... এই শোকে জর্জরিত হয়ে আমি মরেই যাব... তুই তো তাহলে ভাগ্যবান বল!
- হুমমম... কিন্তু ভাগ্যবানের বৌ বেঁচে থাকে... অফিস থেকে ফেরার পথে হোয়াটসঅ্যাপে মুগের ডাল আনতে বলে... রাস্তায় থাকলে তিন মিনিট অন্তর অন্তর কতদূর পৌঁছলাম জিজ্ঞেস করবে.. আর ফাইনালি বাড়ি ফিরলে এলাচ দিয়ে গরম চা... আমার মায়ের মত এলাচ দিয়ে গরম চা.. এই! মা আগে না বৌ আগে?
- তুই এক কাজ কর... কাল আমাদের দুজনের একটা দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন কর... যে ফার্স্ট হবে সেই আগে...
- তাতে তো তুই ই ফার্স্ট হবি.... কিন্তু তোকে তো আমি ঠিক ভরসা পাইনা... মাঝেমধ্যে মনে হয় তুই একটু ফর্সা কম হলে ভাল হত... মনে হয় তোর আরও কয়েকটা চুল পড়ে গেল মন্দ হতনা.. তোর ওই চোখটা অতটা সুন্দর হওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিলনা.... কিংবা মনে হয় বারবার বলি... প্লিজ কাজল লাগাস না...।
- হ্যালো! হ্যালো! এটাকি পুলিস স্টেশন! একটু এড্রেসটা নোট করুন প্লিজ... আমার পাশে একজন সুস্থ মানুষ আকস্মিকভাবে পাগল হয়ে গেছে...  কাইন্ডলি উনাকে একটু বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।