- বাবা! জামগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব একটা মিষ্টি হবেনা...
- না বাবা... জামগুলো বেশ মিষ্টি হবে..
- বাবা! ভাল করে দেখো... জামগুলোর রঙ এখনও নীল। নীল জাম মোটেই মিষ্টি হয় না, নীল রঙ গভীর হয়ে কালো হলে তবেই জাম মিষ্টি হয়...
- ক্যামন কালো?
- এই যেমন ধরো ঝড়ের সময় ঘরের লম্ফ নিভে গিয়ে চারিদিকটা অন্ধকার হয়ে যায়... তেমন কালো....
- উঁহু... জাম কখনও অতটা কালো হয়না... জাম তো নীলই হয়.... ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির গাছটাতে যখন হনুমান বসতো, টুপটাপ করে জাম পড়ত, আমরা তিন ভাই কুড়িয়ে খেতাম... তখনও জাম নীলই ছিল....
- বাবা! তখনকার দিন অন্যরকম ছিল, তখন তো জামগাছ ছিল, হনুমান ছিল.. এখন আর দেখ? জামগাছ? হনুমান? আর কিছুদিন পর জামগাছ, জামরুল গাছ এগুলো সবই জাদুঘরে দেখানো হবে....
- তা ঠিক... তবে এই জামগুলো নিশ্চিতভাবে মিষ্টি হবে। তুই দুটো, তোর বুনুর দুটো, তোর মায়ের দুটো, আর আমার একটা... ব্যাস! সাত এ সমুদ্র....
- যদি কষাটে হয়, তাহলে আমার একটা; আর তোমার দুটো...
- আচ্ছা তাই...
- বাবা!
- হুঁ...
- একবার সূর্যের সামনে হাতটা গোলকরে ধরে চোখের সামনে জামটা নিয়ে দেখব?
- কী দেখবি?
- মিষ্টি না কষাটে...
- দেখ.... তবে জাম মিষ্টি কিনা জানার এর থেকেও ভাল একটা পদ্ধতি আছে?
- কী পদ্ধতি বাবা?
- মুখের মধ্যে নিয়ে, দাঁতে কেটেই হালুম...!!!
- সত্যি বাবা! একটা খেয়ে দেখব?
- দ্যাখ্ না!
- তাহলে আমি তিন, বুনি দুই, তুমি আর মা এক এ চন্দ্র!
- হুম! তাতে কী?
- বাবা!
- হুম.. বল...
- একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব?
- কর না!...
- বাবা, আমরা জামগাছের মত না? ইচ্ছে, স্বপ্নগুলো কত সুন্দরভাবে হারিয়ে ফেলতে পারি! বাবা! আমাদের এই ইচ্ছে আর লুকানো স্বপ্নগুলো কখনও মিউজিয়ামে ঠাঁই পাবে?
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন