- বাবা, তোমার স্কুলে এখন কী শেখাচ্ছে?
- সরি অ, সরি আ।
- তোমার স্কুল ভাল না। প্রথমেই সরি বলা শেখায়। বাবা তুমি আর কদিন ক্লাস ওয়ানে পড়বে?
- জীবনের প্রথম থেকেই ছোট থেকে বড় হত হয় রিঙ্কি।
- বাবা তুমি বন্ধুদের টিফিন শেয়ার কর?
- হুম! মাঝেমধ্যে করি। তবে যেদিন স্ট্রবেরি কেক নিয়ে যায় সেদিন করিনা। আজ গুড়বাদাম নিয়ে গিয়েছিলাম পকেটে করে। জানিস আমার পকেটের গুড়বাদাম ভিজে গিয়ে থায়ের লোমের সাথে চেপ্টে ধরেছিল!
- বাবা! তুমি খুব বোকা! তোমার কবে বুদ্ধি হবে?
 এই কারণেই তোমার কোনও মেয়েবন্ধু নেই। একটু স্মার্ট হও বাবা!
- আচ্ছা! তা হব।
- তুমি তাড়াতাড়ি গুড়বাদাম লাগানো প্যান্টটা মাকে দিয়ে আসো। নইলে ইঁদুরে কাটবে।
- ঠিক আছে।
- বাবা তুমি মাকে কী বলে ডাকো?
- ওইগো, শুনছো! কখনওবা নাম ধরেই ডাকি।
- বাবা তুমি মাকে মা বলে কেন ডাকোনা?
- রিঙ্কি, মা টা তোর, আমার নয় সোনা।
- বাবা, তুমি গরুর পিঠে চেপে আমেরিকা যেতে পারবে?
- গরুর পিঠে চাপিনি, তবে গতপরশু মুরগির পিঠে চেপে ফিলিপাইন ঘুড়ে এলাম।
- বাবা, তুমি নৌকা চালাতে পারো?
- হুম।
- রথে চেপে আকাশে উড়তে পারবে?
- পারবো বৈকি।
- বাবা, তুমি এখনই পাখি হয়ে যাও, আমি তোমার পিঠে চেপে সারা আকাশ দেখতে চাই।
- চাপ।
- বাবা, তোমার গায়ে গন্ধ। তুমি স্নান করোনা!
- আমি তো পাখি। পাখিদের গায়ে গন্ধ থাকে।
- চল পাখি, আকাশে মেলে আঁখি।
- এই তো আকাশ, এই আকাশগঙ্গা।
- বাবা তুমি মাকে জড়িয়ে ধরতে পারো?
- না, তোর সামনে লজ্জা করে।
- বাবা! গ্রো আপ!


রিঙ্কি, খাবার টেবিল রেডি । বাবাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে খেতে বসো।

Sudip Sen
3/12