সুচরিতা যখন চুড়িদার পরত আমার বড্ড মনে ধরত। রূপোর পায়ের তোড়া পরে ঝমঝম শব্দ করে রাস্তা দিয়ে যেত, আমি খুঁজতাম....  আরেবাবা! মকরসংক্রান্তিতে কর্কটক্রান্তিরেখার আশেপাশে র‍্যাটেল স্নেক কিভাবে এল?
সুচরিতা একটা হলুদ রঙের ওড়না নিত পিঠে... যার শেষপ্রান্তে বেগুনি আর লাল রঙ মেশানো... ওই রঙটার নাম কী? আমার জানা নেই।
সুচরিতা লেডিবার্ড সাইকেলের সামনের ঝাঁকাই থামস্আপের বোতলে ভরে দুধ দিতে আসত... আমি লুকিয়ে লুকিয়ে সুচরিতাকে দেখতাম। অনেকবার কাগজে লিখেছি...  সুচরিতা তুমি আমার...

আজ সুচরিতা এসেছে। ভায়োলেট রঙের শাড়িতে সোনালি ইঞ্চি পাড় দেওয়া... সুচরিতার মুখের চোয়াল বসে গিয়েছে, আগের মত হয়তো মুখে ক্রিম মাখেনা...কালো লাগছে। আগে তো কতকিছু মাখত.... মুসুরি ডাল! টম্যাটো! দুধের সর!
সুচরিতার বরের চেহারা ভারী, বাচ্চাটা চঞ্চল।আজ আর সুচরিতাকে ভাল লাগছেনা! আজ আর সুচরিতাকে ভাল লাগছেনা!

23/12