চোখে ওয়েফেয়ারার সানগ্লাস লাগিয়ে, মাটির দাওয়াই বসে ব্যাকাচোরা টিনের গ্লাসে লিকার চা আর সর্ষের তেল দিয়ে মাখানো মুড়ি খেতে ভালোই লাগে। পাশে হোয়াট্সঅ্যাপের পপ-আপ। শহুরে বান্ধবীদের কৃত্রিম ফোনালাপ, আর বসের জন্য নতুন মেয়ে খোজার অহেতুক চিন্তা.....চাকরিটা সামলাতে হবে।
জীবনটাই মরতে মরতে বাঁচা। অহেতুক অফুরন্ত ভালবাসা কোথায় পাই!
তবু কেউ বলেছিল......ধ্যান কর, দিন-রাতের দশটা মিনিট বাবা-মায়ের মুখটা স্মরণ কর। সন্ধ্যার নিস্তব্ধতা ঢেকে দিক ফেসবুকের যাবতীয় নোটিফিকেশন।
"শ্যাম ইজ ইটিং পায়েশ অ্যাট টয়লেট উইথ রাজা হরিশচন্দ্র অ্যান্ড নাইনটি নাইন আদার্স।"
"হ্যালো ফ্রেন্ড! মিট মাই নিউ বয়ফ্রেন্ড দেব। ভার্সন 2.3.5। হ্যান্ডসাম......হি ইজ।"
বিমূর্ত ভালবাসা নিষ্পলকে ধরা দেবে, এতটা প্রত্যাশী আমি নই। জীবন মানে ব্যর্থ প্রেমের উপাখ্যান অথবা "জুম্মে কি রাত হ্যায়", "মাই নেম ইজ শিলা, শিলাকি জবানী ", "সানি লিওন তেরে, পিঙ্ক নি** দে"।
কৌশিকের বয়স আর যাইহোক দশের বেশি নয়। রাজস্থানে মাসি থাকে, হয়তো এগারো মাস দেখেনি। মাসি উঠোনে চারচাকার ট্রলিটা দাঁড় করিয়ে সটান চলে এলো কৌশিকের কাছে। হাত দিয়ে ফর্সা গালটা স্পর্শ করলো। একটু কাছে টেনে......
'আয়, তোকে কতদিন কোলে নিইনি'।
মাসির বয়স কম হলেও মমত্ববোধ আমার মনে ঘা মেরেছিল, সজোরে। তার চকচকে দুটো উজ্জ্বল চোখ দেখেছিলাম। দেখেছিলাম হাত-পা-গাল সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে। কপালে স্নেহের চুম্বন করতে।
আমরা কতকিছু দেখেও দেখিনা....দেখার চোখ নেই...অথবা চোখ থাকতেও অন্ধ।
মুহূর্তে বসের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। ওহ! বেঁচে থাকতে হলে আমায় চাকরিটা টিকিয়ে রাখতে হবে। তৎপরতার সাথে নিজেকে প্রকৃতিস্থ করি।
- হ্যালো! কে? নন্দিনী!
হ্যাঁ, আমার বস। কত? ঘন্টাই তিন হাজার!
Sudip Sen
6 December 15
জীবনটাই মরতে মরতে বাঁচা। অহেতুক অফুরন্ত ভালবাসা কোথায় পাই!
তবু কেউ বলেছিল......ধ্যান কর, দিন-রাতের দশটা মিনিট বাবা-মায়ের মুখটা স্মরণ কর। সন্ধ্যার নিস্তব্ধতা ঢেকে দিক ফেসবুকের যাবতীয় নোটিফিকেশন।
"শ্যাম ইজ ইটিং পায়েশ অ্যাট টয়লেট উইথ রাজা হরিশচন্দ্র অ্যান্ড নাইনটি নাইন আদার্স।"
"হ্যালো ফ্রেন্ড! মিট মাই নিউ বয়ফ্রেন্ড দেব। ভার্সন 2.3.5। হ্যান্ডসাম......হি ইজ।"
বিমূর্ত ভালবাসা নিষ্পলকে ধরা দেবে, এতটা প্রত্যাশী আমি নই। জীবন মানে ব্যর্থ প্রেমের উপাখ্যান অথবা "জুম্মে কি রাত হ্যায়", "মাই নেম ইজ শিলা, শিলাকি জবানী ", "সানি লিওন তেরে, পিঙ্ক নি** দে"।
কৌশিকের বয়স আর যাইহোক দশের বেশি নয়। রাজস্থানে মাসি থাকে, হয়তো এগারো মাস দেখেনি। মাসি উঠোনে চারচাকার ট্রলিটা দাঁড় করিয়ে সটান চলে এলো কৌশিকের কাছে। হাত দিয়ে ফর্সা গালটা স্পর্শ করলো। একটু কাছে টেনে......
'আয়, তোকে কতদিন কোলে নিইনি'।
মাসির বয়স কম হলেও মমত্ববোধ আমার মনে ঘা মেরেছিল, সজোরে। তার চকচকে দুটো উজ্জ্বল চোখ দেখেছিলাম। দেখেছিলাম হাত-পা-গাল সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে। কপালে স্নেহের চুম্বন করতে।
আমরা কতকিছু দেখেও দেখিনা....দেখার চোখ নেই...অথবা চোখ থাকতেও অন্ধ।
মুহূর্তে বসের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। ওহ! বেঁচে থাকতে হলে আমায় চাকরিটা টিকিয়ে রাখতে হবে। তৎপরতার সাথে নিজেকে প্রকৃতিস্থ করি।
- হ্যালো! কে? নন্দিনী!
হ্যাঁ, আমার বস। কত? ঘন্টাই তিন হাজার!
Sudip Sen
6 December 15
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন