আমি যে আমার বৌকে অন্যান্য যেকোনও সাধারণ পুরুষের থেকে অনেক বেশি ভালবাসি তার একাধিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এই শীর্ণকায় শরীরের জন্যে নিজেকে স্লিম বলে চালালেও বন্ধুমহল রোগাপটকা বলত। তখন আমার বিয়ে হয়নি, চাকরিবাকরিও করিনা। এমনিতেই বেকার তার উপর দেখতে শুনতেও ভাল না। প্রেম ট্রেম হবে এইরূপ অনর্থক ভাবনাও কোনওদিনই মাথাতে আসেনি। এরকমই এক দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে আমার সাথে আমার বৌয়ের পরিচয়। বৌ? আরে না! না!
প্রথমেই কী কাউকে বৌ বলা যায়!
আমার বাবা-মা আমার একটাই নাম রেখেছে। আমার বৌ আমায় আদর করে 'ফড়িং সেন' বলে ডাকত। এমনকি, মাঝেমধ্যে এও বলত আমার মুখটা নাকি বিড়ালের মত!
দু-একটা ইংরেজি আমিও জানি, যদিও টেন্স আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিনশন শেখার জন্য আমার যে শতাধিক জন্মের প্রয়োজন তা ঠিকই বুঝতে পারতাম। এমনিতেই নিম্নমেধার হওয়াই বুদ্ধিসুদ্ধি আমার মাথাই খুবই কম। এই সহজসরল অনাড়ম্বরপূর্ণ জীবনে দু-একটা বাংলা বানান ভুল ছাড়া ভগবানচন্দ্র আমায় কিছুই দেননি তা আমি জানতাম। তাইবলে আমার বৌ যে আস্ত একটা গোটা পিএইচডি ডিগ্রিধারী হবে, সে আমি আমার বাপের জন্মেও কখনও ভাবিনি।
আমার বৌ বিয়ের আগে আমায় গুল্লু বলে ডাকত, আমি বলতাম সোনা। বৌ যে শুধু সায়েন্স এ তুখোড় তাই নয়, ইংরেজিতেও ভাল। আমি শালা বসে বসে ভাবতাম এই মেয়ে আমার মধ্যে এমন কী পেল! যে আমায় বিয়ে করার জন্য রোজ তিন বেলা পড়তে বসতে বলে।
- প্লিজ একটু ভাল করে পড়, সিকিউরিটি খুব দরকার। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু লুজ ইউ ইন এনিওয়ে........
যাইহোক, জীবনের চমৎকরণ যে কখন কিভাবে ঘটে বলা যায়না। আমার বৌ মাঝেমধ্যে বলত ওর হাইট কম, আমার বুকের কাছে পড়বে, আচ্ছা দাদা! আপনিই বলুন, বুক পর্যন্ত কাউকে পেলে খামোখা মাথাই তোলার কী দরকার! আমার বৌ বায়লোজি পড়েছে, ও কি জানেনা, হৃদয় মানুষের বুকে থাকে, মাথাই নয়।
জানেন, আমার দৌড় এই মাস্টার্স পর্যন্ত, তাই আমার বৌ যদি আরেকটু এগিয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চার ফিউচার প্ল্যান করতে বড় সুবিধা হয়। আমি শুধু বৌকে একটা কথাই বলতাম, পিএইচডি না করলে বিয়ে করব না।
তো যাইহোক, আমি অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির বৌকে আই লা বিউ বলতে আমার খুব লজ্জা লাগত, এখনও লাগে। ও হ্যাঁ, আমার একটা বাচ্চা হয়েছে জানেন, ওর নাম রেখেছি 'সংকেত সেন'।
ও বলাই হয়নি, আমার বৌয়ের পিএইচডি কমপ্লিট হল, আমিও ঠিক যেমনটি চাইছিলাম,তেমন একটা চাকরি পেয়ে গেলাম। মাঝখান থেকে কী হল জানেন! আমার বয়সের সাথে ভুঁড়িটাও বেড়ে গেল। এখন নিজের পুরনো 'ফড়িং সেন' মার্কা ছবি দেখলে কেমন যেন কষ্ট হয়। ঈশ! একটু যদি রোগা হতে পারতাম!
মোরাল অফ দি স্টোরি কী?
১) ভাই, ভেঙে পাড়িস না, তোর ও একদিন হবে।
২) আমি হেব্বি গল্প বানাতে পারি 😂😂😂😂😂
প্রথমত, এই শীর্ণকায় শরীরের জন্যে নিজেকে স্লিম বলে চালালেও বন্ধুমহল রোগাপটকা বলত। তখন আমার বিয়ে হয়নি, চাকরিবাকরিও করিনা। এমনিতেই বেকার তার উপর দেখতে শুনতেও ভাল না। প্রেম ট্রেম হবে এইরূপ অনর্থক ভাবনাও কোনওদিনই মাথাতে আসেনি। এরকমই এক দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে আমার সাথে আমার বৌয়ের পরিচয়। বৌ? আরে না! না!
প্রথমেই কী কাউকে বৌ বলা যায়!
আমার বাবা-মা আমার একটাই নাম রেখেছে। আমার বৌ আমায় আদর করে 'ফড়িং সেন' বলে ডাকত। এমনকি, মাঝেমধ্যে এও বলত আমার মুখটা নাকি বিড়ালের মত!
দু-একটা ইংরেজি আমিও জানি, যদিও টেন্স আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিনশন শেখার জন্য আমার যে শতাধিক জন্মের প্রয়োজন তা ঠিকই বুঝতে পারতাম। এমনিতেই নিম্নমেধার হওয়াই বুদ্ধিসুদ্ধি আমার মাথাই খুবই কম। এই সহজসরল অনাড়ম্বরপূর্ণ জীবনে দু-একটা বাংলা বানান ভুল ছাড়া ভগবানচন্দ্র আমায় কিছুই দেননি তা আমি জানতাম। তাইবলে আমার বৌ যে আস্ত একটা গোটা পিএইচডি ডিগ্রিধারী হবে, সে আমি আমার বাপের জন্মেও কখনও ভাবিনি।
আমার বৌ বিয়ের আগে আমায় গুল্লু বলে ডাকত, আমি বলতাম সোনা। বৌ যে শুধু সায়েন্স এ তুখোড় তাই নয়, ইংরেজিতেও ভাল। আমি শালা বসে বসে ভাবতাম এই মেয়ে আমার মধ্যে এমন কী পেল! যে আমায় বিয়ে করার জন্য রোজ তিন বেলা পড়তে বসতে বলে।
- প্লিজ একটু ভাল করে পড়, সিকিউরিটি খুব দরকার। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু লুজ ইউ ইন এনিওয়ে........
যাইহোক, জীবনের চমৎকরণ যে কখন কিভাবে ঘটে বলা যায়না। আমার বৌ মাঝেমধ্যে বলত ওর হাইট কম, আমার বুকের কাছে পড়বে, আচ্ছা দাদা! আপনিই বলুন, বুক পর্যন্ত কাউকে পেলে খামোখা মাথাই তোলার কী দরকার! আমার বৌ বায়লোজি পড়েছে, ও কি জানেনা, হৃদয় মানুষের বুকে থাকে, মাথাই নয়।
জানেন, আমার দৌড় এই মাস্টার্স পর্যন্ত, তাই আমার বৌ যদি আরেকটু এগিয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চার ফিউচার প্ল্যান করতে বড় সুবিধা হয়। আমি শুধু বৌকে একটা কথাই বলতাম, পিএইচডি না করলে বিয়ে করব না।
তো যাইহোক, আমি অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির বৌকে আই লা বিউ বলতে আমার খুব লজ্জা লাগত, এখনও লাগে। ও হ্যাঁ, আমার একটা বাচ্চা হয়েছে জানেন, ওর নাম রেখেছি 'সংকেত সেন'।
ও বলাই হয়নি, আমার বৌয়ের পিএইচডি কমপ্লিট হল, আমিও ঠিক যেমনটি চাইছিলাম,তেমন একটা চাকরি পেয়ে গেলাম। মাঝখান থেকে কী হল জানেন! আমার বয়সের সাথে ভুঁড়িটাও বেড়ে গেল। এখন নিজের পুরনো 'ফড়িং সেন' মার্কা ছবি দেখলে কেমন যেন কষ্ট হয়। ঈশ! একটু যদি রোগা হতে পারতাম!
মোরাল অফ দি স্টোরি কী?
১) ভাই, ভেঙে পাড়িস না, তোর ও একদিন হবে।
২) আমি হেব্বি গল্প বানাতে পারি 😂😂😂😂😂
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন