#মনের_ডায়েরি
বাবা বাংলাদেশের মাধ্যমিক পাশ। বাহাত্তর সালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতে পালিয়ে আসে। তখন ভারত সেবাশ্রম সংঘের দৌলতে এক বেলা খেয়ে বেঁচেছিল কোনও রকমে। কখনও শিয়ালদহ স্টেশনে পেপার বিক্রি করতো, কখনও আরও কিছু করে টাকা রোজগার করত....যে সব কথা লেখার নয়।
যে দিন উচ্চমাধ্যমিক পাস করলাম, বুঝে গেলাম আমার দায়িত্ব সারা। এই প্রজন্মকে এক ধাপ এগিয়ে দিলাম। এ বার, আমার ভবিষ্যতকে অর্থাৎ আমার ছেলেকে গ্র্যাজুয়েশন করাতে পারলেই কর্তব্য থেকে মুক্তি।
মোটামুটি একটা স্কুলের গ্রুপ ডি পেলে, জল-চিঠি আর প্রধান শিক্ষরের স্বাক্ষরের জন্য কলম এগিয়ে দিতে পারলেই জীবন ধন্য। কোনও গাঁয়ের এক স্বল্পশিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করে নিলেই লাইফ সেটেল।
তা আর হল কৈ! আমার চাকরিই হল না , তো বিয়ে বাচ্চা! বাবা মা এখনও সে রকম বড় কিছু এক্সপেকটেশন রাখে না। কাল যদি মাথায় ঝুড়ি নিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে আলুকাবলি বেচতে যাই, তাতে আঘাত পেলেও অবাক হবে না। সেই অর্থে আমি স্বাধীন।
চড়ায়-উতরাই পথে বুকে ভর দিয়ে চলতে চলতে নিজের প্রতি এক ধরনের অদ্ভূত আস্থা তৈরি হয়েছে।
আসলে আমরা হলাম হস্টেলের ছাদ থেকে ফিরে আসা জঞ্জাল। মৃত্যুকেই ভয় পাই না, তো ব্যর্থতা!
হ্যাঁ, এত ক্ষণে ঠিক জাগায় এসেছি। এত শান্ত শিষ্ট আর দুঃখের মাঝে হাসিখুশি থাকার গোপন রহস্য এটাই।
তোকে নিজেকে আগে জয় করতে হবে। নিজের প্রতি এতটাই আস্থা তৈরি করতে হবে যেন কোন দুঃখ-ই দুঃখ না।
সমস্যা থেকে শিক্ষা নে আর এগিয়ে চল....
বাবা বাংলাদেশের মাধ্যমিক পাশ। বাহাত্তর সালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতে পালিয়ে আসে। তখন ভারত সেবাশ্রম সংঘের দৌলতে এক বেলা খেয়ে বেঁচেছিল কোনও রকমে। কখনও শিয়ালদহ স্টেশনে পেপার বিক্রি করতো, কখনও আরও কিছু করে টাকা রোজগার করত....যে সব কথা লেখার নয়।
যে দিন উচ্চমাধ্যমিক পাস করলাম, বুঝে গেলাম আমার দায়িত্ব সারা। এই প্রজন্মকে এক ধাপ এগিয়ে দিলাম। এ বার, আমার ভবিষ্যতকে অর্থাৎ আমার ছেলেকে গ্র্যাজুয়েশন করাতে পারলেই কর্তব্য থেকে মুক্তি।
মোটামুটি একটা স্কুলের গ্রুপ ডি পেলে, জল-চিঠি আর প্রধান শিক্ষরের স্বাক্ষরের জন্য কলম এগিয়ে দিতে পারলেই জীবন ধন্য। কোনও গাঁয়ের এক স্বল্পশিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করে নিলেই লাইফ সেটেল।
তা আর হল কৈ! আমার চাকরিই হল না , তো বিয়ে বাচ্চা! বাবা মা এখনও সে রকম বড় কিছু এক্সপেকটেশন রাখে না। কাল যদি মাথায় ঝুড়ি নিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে আলুকাবলি বেচতে যাই, তাতে আঘাত পেলেও অবাক হবে না। সেই অর্থে আমি স্বাধীন।
চড়ায়-উতরাই পথে বুকে ভর দিয়ে চলতে চলতে নিজের প্রতি এক ধরনের অদ্ভূত আস্থা তৈরি হয়েছে।
আসলে আমরা হলাম হস্টেলের ছাদ থেকে ফিরে আসা জঞ্জাল। মৃত্যুকেই ভয় পাই না, তো ব্যর্থতা!
হ্যাঁ, এত ক্ষণে ঠিক জাগায় এসেছি। এত শান্ত শিষ্ট আর দুঃখের মাঝে হাসিখুশি থাকার গোপন রহস্য এটাই।
তোকে নিজেকে আগে জয় করতে হবে। নিজের প্রতি এতটাই আস্থা তৈরি করতে হবে যেন কোন দুঃখ-ই দুঃখ না।
সমস্যা থেকে শিক্ষা নে আর এগিয়ে চল....
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন