কোনোক্রমে সৌভাগ্যবশত যদি মেট্রোতে বসার জায়গা পাই, আর তারপর আমার টিনের টিফিন কৌটোটা একটা ঘটাং আওয়াজে খুলি, চারপাশে তেল মাখানো মুড়ি লুয়ের মত বয়ে লোকের মুখে চোখে উড়ে পড়ে... তখন মানুষ আমার দিকে তাকাই..
এছাড়াও হঠাত বৃষ্টিতে পার্কস্ট্রীট পানামাখালে পরিণত হলে, বেনথসের ভয়ে যখন আমি আমার পায়ের চপ্পল মাথায় তুলে হাঁটি.. তখন মানুষ আমার দিকে তাকায়..
কিমবা খুব গরমে গায়ের গেঞ্জি ভিজে যখন তা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়, ট্রামের ঢংঢং শব্দ আর ধিকধিক গতির সঙ্গে আমার গায়ের দুর্গন্ধের একযোগে বিরক্ত হয়ে পাশে বসে থাকা মানুষটা আমার দিকে তাকাই ....
আজকাল হঠাত কেউ আমার দিকে তাকালে তার আমার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটা ঠিক কেমন হতে পারে তা বুঝতে আর বেগ পেতে হয়না। পড়াশোনার নিরক্ষর রেখা আমার মাথা উপর দিয়ে গেলেও, এই তাকানোর কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি, মকরসংক্রান্তি, শিরে সংক্রান্তি সবই বুঝি...
তাই আর যাইহোক, রাস্তা দিয়ে হাটলে 'দ্যাখ! দ্যাখ!' আর কিছু তীক্ষ্ণ আওয়াজসহ বিড়বিড় শব্দ কোনওদিনই শুনতে হয়নি। শুনলে খুশি হতাম হয়তো... আদম টিজিং!
মায়ের মতে আমার অবস্থান এখন হোমো হ্যাবিলিস পর্বে, জিমে না গেলে আর সেপিয়েন্স হতে পারবনা। তাই মাঝেমধ্যে দুপুরবেলার মিহি ঘুমে স্বপ্ন দেখি আমি আমার নিরানব্বইতম প্রেমিকার সাথে ব্রেকাপ করে, সেঞ্চুরি করতে যাচ্ছি... আর প্যাভিলিয়ন থেকে আমার অনুষ্কা হাত নাড়াচ্ছে....
এইসব খুচরো স্বপ্নগুলো জিইয়ে রেখে মধ্যবিত্ত পরিবারের ফেয়ার-লাভলির সৌন্দর্য নির্ণায়ক মাপকাঠিতে দশে শূন্য পাওয়া আমার মত নিম্নবিত্ত স্কোরাররা মেয়ে দেখলে দশ হাত দূর দিয়ে যায়। সেখানে টোটোই বসে থাকা লজ্জারা সমানুপাতের ভয়ে দেখতে থাকে কীভাবে 'কলকাতারা' হাত ধরে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর দিয়ে এগিয়ে চলেছে।
তাই আমরা শ্রাবণ মেঘের বৃষ্টিতে কাউকে ভিজতে দেখলে ভয় পাই... নিজেকে কারও হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে দেখলে ভয় পাই... দূরে থেকেও দূরত্ব কমাতে ভয় পাই...। একে অপরকে 'আরেকটু বেশি' জানা একটা আসক্তি ... যেকোনো মুহূর্তেই পশ্চিমাঝঞ্ঝা সবকিছু তছনছ করে আমাদেরকে 'আমি' আরেক অজানা 'তুমি'তে ফিরিয়ে দিতে পারে...ভালোবাসা বড্ড কঠিন অভ্যাস...।
এছাড়াও হঠাত বৃষ্টিতে পার্কস্ট্রীট পানামাখালে পরিণত হলে, বেনথসের ভয়ে যখন আমি আমার পায়ের চপ্পল মাথায় তুলে হাঁটি.. তখন মানুষ আমার দিকে তাকায়..
কিমবা খুব গরমে গায়ের গেঞ্জি ভিজে যখন তা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়, ট্রামের ঢংঢং শব্দ আর ধিকধিক গতির সঙ্গে আমার গায়ের দুর্গন্ধের একযোগে বিরক্ত হয়ে পাশে বসে থাকা মানুষটা আমার দিকে তাকাই ....
আজকাল হঠাত কেউ আমার দিকে তাকালে তার আমার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটা ঠিক কেমন হতে পারে তা বুঝতে আর বেগ পেতে হয়না। পড়াশোনার নিরক্ষর রেখা আমার মাথা উপর দিয়ে গেলেও, এই তাকানোর কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি, মকরসংক্রান্তি, শিরে সংক্রান্তি সবই বুঝি...
তাই আর যাইহোক, রাস্তা দিয়ে হাটলে 'দ্যাখ! দ্যাখ!' আর কিছু তীক্ষ্ণ আওয়াজসহ বিড়বিড় শব্দ কোনওদিনই শুনতে হয়নি। শুনলে খুশি হতাম হয়তো... আদম টিজিং!
মায়ের মতে আমার অবস্থান এখন হোমো হ্যাবিলিস পর্বে, জিমে না গেলে আর সেপিয়েন্স হতে পারবনা। তাই মাঝেমধ্যে দুপুরবেলার মিহি ঘুমে স্বপ্ন দেখি আমি আমার নিরানব্বইতম প্রেমিকার সাথে ব্রেকাপ করে, সেঞ্চুরি করতে যাচ্ছি... আর প্যাভিলিয়ন থেকে আমার অনুষ্কা হাত নাড়াচ্ছে....
এইসব খুচরো স্বপ্নগুলো জিইয়ে রেখে মধ্যবিত্ত পরিবারের ফেয়ার-লাভলির সৌন্দর্য নির্ণায়ক মাপকাঠিতে দশে শূন্য পাওয়া আমার মত নিম্নবিত্ত স্কোরাররা মেয়ে দেখলে দশ হাত দূর দিয়ে যায়। সেখানে টোটোই বসে থাকা লজ্জারা সমানুপাতের ভয়ে দেখতে থাকে কীভাবে 'কলকাতারা' হাত ধরে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর দিয়ে এগিয়ে চলেছে।
তাই আমরা শ্রাবণ মেঘের বৃষ্টিতে কাউকে ভিজতে দেখলে ভয় পাই... নিজেকে কারও হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে দেখলে ভয় পাই... দূরে থেকেও দূরত্ব কমাতে ভয় পাই...। একে অপরকে 'আরেকটু বেশি' জানা একটা আসক্তি ... যেকোনো মুহূর্তেই পশ্চিমাঝঞ্ঝা সবকিছু তছনছ করে আমাদেরকে 'আমি' আরেক অজানা 'তুমি'তে ফিরিয়ে দিতে পারে...ভালোবাসা বড্ড কঠিন অভ্যাস...।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন